সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন।

কেমন আছেন সকালে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। জুমার দিনে চারদিকে কেমন যেন একটি উৎসব উৎসব ভাব আসে। প্রত্যেকে বাড়ির গৃহিণীরা এই দিনে ভালো-মন্দ রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমার বাড়িতে ও এই জিনিসটা হয়। শুক্রবারে চেষ্টা করা হয় একটু স্পেশাল কিছু তৈরি করার। তাই আম্মু আমাদের প্রত্যেকের পছন্দের কথা মাথায় রেখে কোন সপ্তাহে বিরিয়ানি কোন সপ্তাহে পোলাও অথবা গরুর কালা ভুনা তৈরি করে।

আজকেও এর বিকল্প নই। আজও বাসায় তৈরি করা হচ্ছে বিফ বিরিয়ানি। ইতিমধ্যে এই বিরিয়ানির খুশবু বাসার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পোস্ট লেখতে লেখতে বিরিয়ানি গন্ধ পাচ্ছি। একটু পরে গিয়ে কষানো মাংস খেয়ে আসব। আসলে বিরিয়ানির জন্য মাংসগুলো যখন কষানো হয় তখন ওই মাংসগুলোতে আলাদা একটা টেস্ট পাওয়া যায় এবং ওই মাংসটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। আমি তো প্রতিবার বিরিয়ানির মাংস কষানোর সময় দুই তিন টুকরা সাভার করে আসি। আজকেও এমনটা করবো।

যাই হোক শুক্রবার মানেই হচ্ছে একটা আলাদা আনন্দ। বেলা বারোটা পর থেকে চারিদিকের মসজিদ থেকে ভেসে আসে খুতবা। আমার কাছে এই খুতবা গুলা শুনতে খুবই ভালো লাগে। আর এই খুতবার কারণে দেখা যায় পরিবেশটা একটু ভিন্ন রূপ নেই। খুতবা ছাড়া আমার কাছে কেন যেন শুক্রবার বলে মনেই হয় না। আমি মনে করি আমরা খুবই ভাগ্যবান কেননা পাঁচ ওয়াক্তের আযানের ধ্বনি আমরা শুনতে পাই। বাইরের দেশের নন মুসলিম কান্ট্রি গুলোতে এরকম আজান শুনে নামাজ পড়াটা আসলে অনেকটা দুষ্কর । তাদের নামাজের জন্য এলাম ক্লক এর নির্ভরশীল হতে হয়। নন মুসলিম কান্ট্রি গুলোতে মুসলমানরা কিন্তু আজানের এই ধ্বনিটা খুব বেশি মিস করে। তো সেদিক থেকে বলতে গেলে আমার অনেক লাকি।

আর একটি বিষয় আপনারা কখনো খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা এই দিনটাতে চারিদিক থেকে খুব সুন্দর আতরের একটা ঘ্রান ভেসে আসে। মূলত প্রত্যেকেই মসজিদে যাওয়ার সময় আতর দেয় বলে চারদিক থেকে এই আতরের ঘ্রাণ ভেসে আসে।

সব মিলিয়ে এই দিনটা আসলে একটু ভিন্নরকম সপ্তাহের বাকি ছয়টা দিন থেকে। যদিও বড় হওয়ার সাথে সাথে জীবনের সবকিছু পরিবর্তন এর সাথে এই দিনটির ও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আগে শুক্রবার মানেই যেমনটা ছিল - সারাদিন খেলাধুলা, বেড়াতে যাওয়া, পড়াশুনার ছুটি। আর একটা জিনিস আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি যে আব্বা প্রত্যেক শুক্রবারে ফকিরদের কে দাওয়াত করে খাওয়াতো। সব মিলিয়ে ওই দিনটি ছিল সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ দিন। এবং আমরা সারা সপ্তাহ ধরে অপেক্ষায় থাকতাম কখনো ওই দিন আসবে। ছোটবেলার সেই স্বর্ণালী মুহূর্তগুলো তো আর আসলে নেই। তবে এই বয়সে এই এ সময় টার কাছে এই দিনটা একটু হলেও স্পেশাল।

যাইহোক আজ আর বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। একটু পরেই গোসল করে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। প্রতিদিন আসলে একটু দেরি করে মসজিদে গেলেও আজকে ভাবছি একটু তাড়াতাড়ি করে যাব। সেই উদ্দেশ্যেই সকালে ঘুম থেকে উঠে সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিয়েছি। তবে এখন ঘুম ঘুম পাচ্ছে ।

যাই হোক, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিনে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy