কোরবানি ঈদকে ঘিরে আমার ব্যস্ততা।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ১১ই আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




man-gdf85105cd_640.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। তবে একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আসলে এই ব্যস্ততা মূলত সামনের কোরবানি ঈদকে ঘিরে । কোরবানি ঈদের আর বেশি দেরি নেই। ধরতে গেলে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন আছে। তাই এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গরু কেনার সেই দৌড়ঝাপ ।

আমরা যেহেতু ছেলে মানুষ তাই তাই গরু কেনার এই দায়িত্বটা থাকে সবসময় আমাদের উপরে। তবে এই দায়িত্বটা পালন করতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আগে দেখা যেতে বেশ কয়েকবার করে হাটে যাওয়া হতো। কয়েকদিন হাটে গিয়ে ভেবেচিন্তে তারপরে সবাই মিলে একদিন গরু কিনতে যাওয়া হতো। আর হতে পারে আমাদের গরুগুলো কিনা হতো ঈদের তিন থেকে চার দিন আগে।

আসলে আগে এতবার করে হাটে যাওয়ার মূল কারণ ছিল গরু কেনা নয় বরং গরু দেখে আসার। হাটে যাওয়া হতো একবার পরিবারের সাথে, একবার ফ্রেন্ডের সাথে এভাবে করে বেশ অনেকবারই হাটে যাওয়া হতো। বিভিন্ন বড় বড় হাট গুলো ঘোরাঘুরি হত। এছাড়াও এলাকাভিত্তিক যে ছোট ছোট হাট গুলো বসে সেগুলোতে গরু দেখা হতো। আসলে তখন অন্যরকম এক ব্যস্ততার মধ্যে থাকা হতো এই কোরবানি ঈদকে ঘিরে।

প্রত্যেক কুরবানি ঈদে কতবার করে যে হাটে যাওয়া হতো তার কোন হিসেবে থাকতো না। তবে এখন আর সেটা একদমই হয়না। এখন শুধুমাত্র একবারে হাটে যাওয়া হয় আর তা শুধুমাত্র যেদিন গরু কেনা হবে সেদিন ।

আসলে ছোটবেলায় সে আনন্দ কিংবা ঈদকে ঘিরে যে একটি উচ্ছ্বাস অনুভূতি থাকতো ওই জিনিসটা এখন অনেকটাই কমছে গিয়েছে। জীবনটা ততদিনে সুন্দর থাকে যতদিন না আমার বাস্তবতা বুঝতে শিখি। যখনই আমরা জীবনে বাস্তবতা বুঝে যাব তখনই আমাদের জীবন থেকে সমস্ত রঙিন স্বপ্ন একে একে কমতে থাকবে ।

এখনকার এই সময় গুলো কিন্তু আরো পরবর্তী দশ বছরের সময়গুলোর মধ্যে কিন্তু অনেক তফাৎ থাকবে। এখনকার এই জেনারেশনে ছেলেমেয়েরা দশ বছর পর এসে গল্প করবে এ সময় গুলোর। তাদের কাছে মনে হবে এই সময় গুলোই তাদের জীবনের অনেক সুন্দর সময় ছিল। কিন্তু অথচ আমাদের কাছে এই সময় গুলোর থেকেও আমাদের পূর্ব সময়গুলো ছিল সবথেকে সুন্দর।

যতই চায় না কেন ছোটবেলার সে সময় গুলোকে মনে না করে বর্তমান এই সময় গুলোকে ইনজয় করতে কিন্তু দেখা যায় বারবারই সে ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে যায়।

যাই হোক, আমরা যেহেতু ভাগে কোরবানি করি তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করি এবারের গরুটা কিছুটা দূরের হাট থেকে কিনবো। মানে আমাদের মেইন শহর থেকে কিছুটা দূরে একটি বিখ্যাত হাট রয়েছে এবার ওই হাট থেকে মূলত গরু কেনার প্ল্যান। ওই হাটের কথা অনেকবার শুনেছি, ওখানে নাকি বেশ ভালো মানের গরু পাওয়া যায় এবং অনেক ফেমাস একটা হাট।

আর এই হাট থেকে সবথেকে বেশি গরু কেনার আগ্রহের কারণ হচ্ছে যে ভালো মানের গরুকেনা। কিছু অসাধু ব্যবসায় আছে যারা কিনা শুধু মাত্র কোরবান উপলক্ষে বিভিন্ন এন্টিবায়োটি কিংবা ওসব পত্র খাইয়ে গরুকে একেবারে তরতাজা বানিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় গরুগুলা অল্প কিছুদিনের মধ্যে মারা যায়। আসলে এই সকল গরু গুলো মোটেই আমাদের জন্য ভালো না তাই বলতো ফার্মের থেকে খুব ভালো একটি গরু কিনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

তবে একটা বিষয় কি , কোরবান টা হচ্ছে সম্পূর্ণ রিজিকের ব্যাপার যার রিজিকে যেটি আছে সেটিই হবে। তাই গরু কিনার ক্ষেত্রে হারা বা জিতা এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি আফসোস করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

যাইহোক এবার হাটে গিয়ে যা বুঝলাম, গরুর দামটাও কিছুটা আগে তুলনায় বেড়েছে। আসলে বাড়বেই নাই কেন। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছে দুই তিনগুণ হারে সেখানে গরুর দাম বাড়াটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার।

যাইহোক, আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

জ্বী ভাইয়া গরুর দাম বেড়েছে আসলে এতে ওদের কোন দোষ নেই যে হারে গরুর খাদ্যদ্রব্য দাম বেড়েছে তার উপর গরু নিয়ে ওরা যে কষ্ট করছে সে হিসেবে দাম বাড়বেই। আমরা কখনো গরুর হাটে যায়নি,তাই আসলে গরু কেনার মজাটা বোঝিনা ।তবে ঠিক বলেছেন গরু কেনার ত দায়িত্বটা সবসময় ছেলেদের উপরেই পড়ে। জি ভাইয়া সবাই আস্তে আস্তে যতই বড় হচ্ছে ততই তাদের জীবন থেকে আগের আনন্দগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কুরবানী গরু নিয়ে হারা আর জেতা আফসোস করতে ইসলামে নিষেধ করেছে।

 2 years ago 

ঈদুল আজহায় ছেলেরা গরু কেনা নিয়ে ব্যস্ত।আর মেয়োরা রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত।ব্যস্ততা কারোই যেনো কম নয়।আপনি ঠিক বলেছেন,আগের সেই ঈদ আনন্দের আমেজ অনেকটাই কমে গিয়েছে।আর সব জিনিসের দাম যেখানে বেশি সেখানে গরুর দাম বেশি তো হবেই।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ছেলেবেলার ঈদ গুলো কি এখন আর আছে। এখন আর ছেলেবেলার সেই আনন্দ পাই না। আগে ছেলেবেলায় গুরু আনলে দৌড়ে যেতাম কিন্তু এখন কেন জানি গরু দেখে তেমন কোন অনুভূতি আসে না। আর আপনাদের কথা তো ভিন্ন। কারন আপনারা ছেলেবেলা থেকেই কোরবানীর গরু কেনার দায়িত্বে থাকেন। তাই আপনাদের আনন্দটাও বেশী। তবে একটি কথা একেবারে ঠিক বলেছেন ভাইয়া গরু কেনাটা রিজিকের ব্যাপার।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ভাইয়া, কোরবানির গরু কিংবা ছাগল ক্রয় করার জন্য পশু হাট বাজারে যাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে কোরবানি করতে হয় প্রিয় পশুকে। তাই পশুর হাটে নিজে উপস্থিত থেকে পছন্দের গরু ক্রয় করাটাই উত্তম। আর ভাগে গরু কিনলে সবথেকে সুবিধা হয় একবারে অনেক মানুষ গরু কিনতে যাওয়া যায়। যাহোক আমি আশা করি, আপনাদের এলাকার ফেমাস পশুর হাট থেকে আপনারা খুবই সুন্দর একটি গরু ক্রয় করে কোরবানি করতে পারবেন।

 2 years ago 

আপনাদের বড় উৎসব ঈদ তাই ব্যাস্ততা থাকাটাও স্বাভাবিক।বাইরের কাজগুলো ছেলেরা খুব ভালোভাবেই সামলাতে পারে বলে আমার মনে হয়।তাছাড়া পুরোনো দিনগুলি আসলেই বেশ ভালো ছিল কিন্তু দিন যতই এগোচ্ছে সেটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।বলেন কি !অসাধু ব্যবসায়ীরা গরুকে এভাবে ঔষধ খাইয়েও তরতাজা করে।আপনি খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

শুধু গরুর দাম না ভাই প্রত্যেকটি জিনিস যে হারে দাম বেড়েছে মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যদিও গরুর হাটে কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু গরুর হাট সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি এবং অনেক মজা হয়। তবে ঠিক বলেছেন ভাই কুরবানী আসলে রিজিকের ব্যাপার। যার রিজিক যেখানে আছে সেখানেই হবে আর দাম কমবেশির তুলনা তো প্রশ্নই আসে না। সবকিছুর মালিক উপরওয়ালা ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 111107.86
ETH 4299.29
SBD 0.83