শহরটা পানির নিচে।
আজ - ২৩শে শ্রাবণ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
তবে সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোর। এই সকল বর্ষার পানিতে তাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাচ্ছে তাছাড়াও যারা দিনমজুর তাদের দেখা যায় এ বৃষ্টি বাদলের কারণে কাজে যেতে পারেনা ফলে তাদের আয় রোজ ও হয় না। সব মিলিয়ে তাদের অবস্থায় সব থেকে বেশি করুন।
আমরা তো দালান বিল্ডিং ঘরে উপর বসে বসে এই বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে পারি কিন্তু তাদের তো এটি সম্ভব নয়। আসলে মাঝে মাঝে খারাপ লাগে এই সকল মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে। আবার আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা গৃহহীন রাস্তায় রাস্তায় দিন কাটে তাদের। আর তাদের তো আরও বেশি বেহালা অবস্থা আসলে তাদের এই বৃষ্টি পানিতে যাওয়ার কোন জায়গা নেই।
এছাড়া রাস্তাঘাটের যে কুকুর বিড়াল রয়েছে তাদেরও এই বর্ষার পানিতে আসলে খুব কষ্ট হচ্ছে কেননা তাদের তো আর আশ্রয়স্থল নেই । তারা তো বেশিরভাগটাই রাস্তাঘাটে কিংবা বিল্ডিং এর গ্যারেজের গুলোতে সময় কাটায়। কিন্তু এই বৃষ্টির পানিতে তাদের সে আশ্রয়স্থল গুলো ও চলে যায়। সব মিলিয়ে আসলে এই ভরা পানিতে সকলেরই কমবেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজকে বিকালের দিকে আসলে একটি দৃশ্য দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। জানালা দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম বেশ চার-পাঁচটা কুকুর আমাদের বিল্ডিং এর ঠিক সামনের একটা বিল্ডিংয়ের নিচে গ্যারেজের এক কোনে বেশ গুটি শুটে মেরে বসে আছে। আর যেটি দেখে ঐ বিল্ডিং এর দারোয়ান ওই কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে দেয়। বাহিরে বৃষ্টি পড়ছিল তাই কুকুরগুলা আসলে ওখানে আশ্রয় নিয়েছিল কিন্তু এখন সে আশ্রয়টুকু চলে গেল। আসলে এই বিষয়টা আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে । ওদের ওই জায়গাটাতে আমাদের নিজেদেরকে বসিয়ে দেখলেই বুঝতে পারব ওরা কতটা অসহায়। আমাদের তো অন্তত মাথা গুজার ঠাই পর্যন্ত আছে তবে তাদের কাছে তো সে সুযোগটাই নেই। তাই এই বর্ষায় আমাদেরকে জীবের প্রতি আরো বেশি দয়াশীল হতে হবে। কথায় আছে - "জীবে দয়া করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।
যাইহোক সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই যে, এই সকল বর্ষের সময় গুলোতে আমরা চেষ্টা করব যতটুকু সম্ভব একে অপরকে সাহায্য করা।
তাহলে আজ এ পর্যন্তই, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গরমের কারণে আমরা সবাই বৃষ্টির প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু অতি বৃষ্টি সাধারণ মানুষের জন্য সত্যিই অনেক কষ্টের। আমরা হয়তো ঘরে থেকে কোন কষ্ট বুঝতে পারি না। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষগুলো দিনের পর দিন না খেয়ে দিন পার করছে। রোদে পুড়ে তাদেরকে যেমন জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে তেমনি বৃষ্টিতে ভিজেও তারা কষ্ট পাচ্ছে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সৃষ্টিকর্তার যখন মর্জি তখন তিনি বৃষ্টি দান করেন। যাইহোক অতি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম সহ সব জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়টাতে নিন্মবিত্ত মানুষের কষ্ট আর ভোগান্তির শেষ থাকে না। তাছাড়াও প্রানীদের অবস্থা বেশি খারাপ থাকে। এই সময়টাতে যতটা সম্ভব মানবিক আচরণ করা উচিত।
অনেকদিন ধরেই সবাই মনে প্রাণে চাচ্ছিল যে অনেক বৃষ্টি হোক। যাতে করে তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকে। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকদের দুশ্চিন্তারও শেষ ছিলো না। তবে এই কয়েকদিন যাবৎ এতো বৃষ্টি হচ্ছে যে,জনজীবনের আসলেই ব্যাঘাত ঘটছে। নিম্নবিত্ত মানুষদের কথা ভাবলে আসলেই খুব খারাপ লাগে। সবার উচিত বিপদগামী মানুষদের যথাসম্ভব সাহায্য করা। তথাপি অবলা প্রাণীদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হওয়া। যাইহোক এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শহরটা পানির নিচে "এই ক্যাপশনটা চোখে পরার সাথে সাথে মন খারাপ হয়ে গেল।
সকালেই আমার এক কাজিন যিনি চিটাগং ফোন করে সেখানকার দূরাবস্থার করে বলেছেন। সাথে কদিন থেকে টিভিতেও দেখছিলাম।আপনার লেখা পড়ার পর শহরের কুকুর বিড়ালগুলোর কথাও মাথায় আসলো।আসলেই ওদের কথা ভাবিনি আমি আমরা মানুষেরাতো আসলে অনেক কিছুই করতে পারি।কিন্তু ওরা আসলেই খুব অসহায়।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য
ভারী বর্ষণ, নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সাথে পশুপাখির জন্যও বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে।আপনার বাসার সামনে একটি গ্যারেজে আশ্রয় নেওয়া কুকুরগুলোর আশ্রয়টুকু দারোয়ান কেড়ে নিলেন।এটা আসলেই দুঃখজনক।এই অবস্থায় পশুপাখি গুলো বেশি অসহায় হয়ে পড়ে।কয়েকদিন আগেও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিলনা আর এ ক'দিনে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আজকের পোষ্টে আপনি খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আরিফ ভাই৷ আসলেই এমন টানা বৃষ্টিতে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।বিশেষত যাদের মাথা গোজার মতন জায়গাটুকুও নেই তাদের অবস্থা তো করূণ। আসলেই যাদের সুযোগ রয়েছে, তাদের উচিত আরেকটু বেশি সহানুভূতিশীল হওয়া অবলা জীবদের প্রতি...
ভাই যখন প্রচন্ড গরম পড়ছিল সবাই পানির জন্য হাহাকার করছিল, তখন আমি একটা কথা বলছিলাম যে, এর ধকল সবাইকে নিতে হবে। অর্থাৎ এখন গরম পড়ছে পানি হচ্ছে না একটা সময় এত পরিমাণ পানি হবে যে পানির নিচে সব তলিয়ে যাবে। বর্তমানে ঠিক এমনটাই দেখা যাচ্ছে। এক দিকে যেমন চিটাগাং ঢাকা রংপুর গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ ইত্যাদি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে এবং শহর গুলো প্রায় পানির নিচেই চলে গেছে এমন একটা অবস্থা।
আপনাদের শহর জলে তলিয়ে দিয়েছে দেখে খারাপ লাগলো।এটাও ছোট খাটো বন্যার তুলনায় কম কিছু নয়।৫ দিনের দিনেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি পড়ছে বলে এত জল জমে গিয়েছে।এতে পশুপাখি ও সাধারণ মানুষের জন্য খুবই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।তাছাড়া জল জমে নানা রকম মশার উপদ্রব দেখা দেবে এবং অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেবে মানুষের।তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।অসহায় জীবের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা অবশ্যই জরুরি।দ্রুত জল সরে যাক এই প্রত্যাশা করি।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
অতি বৃষ্টির জন্য চট্টগ্রাম একদম দলবদ্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে আমার আত্মীয় আছে। তাদের কাছে শুনলাম ভগন্তের শেষ নেই সবার। অতি বৃষ্টির জন্য সমাজে নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা একটু বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। এই তো কিছুদিন আগেই প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আমি নিজেও বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম। আর এখন এর পুরোটাই উল্টোটা প্রার্থনা করছি।