জালি কাবাব তৈরি রেসিপি।
আজ - ২২শে আশ্বিন |১৪৩১ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বিয়ে বাড়ি কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জালি কাবাব তো আমরা প্রায় খেয়ে থাকি আর এই জালি কাবাব আমাদের প্রত্যেকেরই অসম্ভব প্রিয় । তবেএই জালি কাবাব টা যদি বাসায় তৈরি করা যায় তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা বেশ মজার হয়। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে একবারে একসাথে অনেকগুলো জালি কাবাব তৈরি করে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রোজেন করা যায় আর যখন তখন বিকেলে স্নাক্স হিসেবে খাওয়া যাই। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জালি কাবাব তৈরির রেসিপিটা শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা ।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- চিকেন।
- বিস্কিটের গুড়া।
- ডিম।
- কাবাব মসলা।
- ডাল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে মাংসগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব। এরপর ডাল এবং প্রয়োজনীয় মসলা অর্থাৎ হলুদে গুড়া, মরিচের গুড়া, কাবাবের মসলা, আদা বাটা, রসুন বাটা ও লবণ নিয়ে নিব।
ধাপ-২ঃ
এবার সবগুলো মসলা ও ডাল মাংস এবং সামান্য তেল ও পানি দিয়ে প্রেসার কুকারে বসিয়ে দিব।
ধাপ-৩ঃ
এরপর সবকিছু একসাথে সিদ্ধ হয়ে গেলে মাংস থেকে হাড় গুলো করে নিব এবং খুব ভালোভাবে সবকিছু মিশিয়ে নিব।
এবার পেঁয়াজকুচি কাঁচা মরিচ কুচি ধনেপাতা কুচি ও বেরেস্তা নিয়ে নিয়েছি ।
ধাপ-৪ঃ
এরপর জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া, কাবাব মসলা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা, ডিম, বিস্কুটের গুঁড়া, বেরেস্তা ও লবণ সবকিছু একসাথে দিয়ে খুব ভালোভাবে মেখে নিব।
ধাপ-৫ঃ
এরপর কাবাবের আকৃতিতে তৈরি করে নিব।
ধাপ-৬ঃ
এরপর মিডিয়াম জ্বালে ডুবো তেলে কাবাব গুলোকে ভেজে নিলেই হয়ে যাবে। যদিও এখানে কাবাব ভাজার সে ধাপটি ক্যামেরা বন্দি করা হয়নি বলে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কাবাব আমার খুবই পছন্দের একটা খাবার। তবে এটা বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা কখনও করিনি। জালি কাবাব টা দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। সত্যি দেখে বেশ চমৎকার সুস্বাদু লাগছে। আপনার উপস্থাপনা পরিবেশনা এবং ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বেশ মজা এই জালি কাবার। আর এ ধরনের স্ন্যাক্স বিকালের নাস্তার জন্য পারফেক্ট। আর এই কাবার খুব সহজেই বাসায় থাকা উপকরন ব্যবহার করে বানান যায়। বেশ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে ঝালি কাবার বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিকেন জালি কাবাব রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলেই এই খাবার গুলো বেশি খাওয়া হয়। আসলে বাসায় কখনো সেভাবে তৈরি করা হয়ে ওঠেনা। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
জালি কাবাবের রেসিপিটি দেখে ভীষণ লোভনীয় লাগলো।এ ধরনের রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে বৃষ্টি মূখর দিনগুলোতে।আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। জালি কাবাব আমার ভীষণ পছন্দ। বিশেষ করে বিরিয়ানির সাথে জালি কাবাব খেতে দারুণ লাগে। এই রেসিপিটা বাসায় ট্রাই করতে হবে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিয়ে বাড়ি কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জালি কাবাব দেওয়া হয়। আমিও জালি কাবাব খেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু কখনও বাসায় তৈরি করা হয়নি। তবে এটা ঠিক বাসায় অনেক গুলো কাবাব বানিয়ে ফ্রোজেন পদ্ধতিতে রেখে দিয়েও মাঝে মাঝে খাওয়া যায়। বিকালের নাস্তায় এমন খাবারের তুলনা নেই। আমার তো আপনার লোভনীয় জালি কাবাব দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এত মজাদার একটা রেসিপি কেন যে শেয়ার করলেন, দেখেই তো এখন খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। বুঝতে পারছি এই জালি কাবাব অনেক সুস্বাদু হয়েছে, আর মজা করে খেয়েছিলেন। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা শেয়ার করেছেন। এটা দেখলে কেউ চাইলে তৈরি করতে পারবে এই রেসিপি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এই মজাদার এবং মুখরোচক জালি কাবাব গুলো বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ ভালই চলে। আমাদের পরিবারেরও সবাই খুব পছন্দ করে এই কাবাব টি। আপনার এই জালি কাবাব রেসিপিটি দেখে অনেকেই উপকৃত হবে।এটা আমি বিশ্বাস করি।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
দারুন একটা কাবাব এর রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধরনের রেসিপি। এছাড়াও আপনি খুব সুন্দরভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটা ধাপ হুবহু আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জালি কাবাব আমার খুবই পছন্দের। এটা খেতে আমার এত বেশি ভালো লাগে যে বলে বোঝাতে পারবো না। হ্যাঁ এটা ফ্রোজেন করে রাখলে বিকেল বেলায় খাওয়া যাবে তৈরি করে। আর বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিন্তু এটা একেবারে পারফেক্ট একটা খাবার। নিশ্চয়ই এই জালি কাবাব অনেক মজা করে খেয়েছিলেন।