দিনশেষে আমরাই ভুক্তভোগী ।
আজ- ১৬ই কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের না হয় ঘরে বসে থাকা সম্ভব কিন্তু যারা নিয়মিত বাহিরে যাতায়াত করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে এই সকল পরিস্থিতি অনেকটাই ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে। কারণ রাস্তাঘাটে কখন কি হয় না হয় বলা যেতে পারে না। এই তো দুদিন আগেও এক বাজে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। বিকেলের দিকে একটি কাজে বাহিরে বেরিয়েছিলাম কিন্তু কাজ শেষ হতে হতে প্রায় অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে তো কাজ শেষ হতে দেরি হয়ে গিয়েছে তার উপরে আবার অনেকক্ষণ ধরে জ্যামে আটকা পড়েছিলাম । সাধারণত ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামে জ্যাম খুব একটা বেশি হয় না। হলেও অল্প কিছু সময়ের মধ্যে জ্যাম চলে যায় তবে ঐদিন অনেকক্ষণ ধরে জ্যামে আটকা পড়েছিলাম। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি কারণ এই জ্যাম । পরে অবশ্য লোক মুখের কাছে শুনতে পারলাম সামনে নাকি একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে । ফলে এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এসে পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং রাস্তার মাঝখান থেকে বাসটিকে একপাশে সরিয়ে নেই।
এরপর প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে বাড়ির সবাই খুব চিন্তা করছিল ফিরতে আমার এত দেরি হচ্ছিল দেখে। আসলে ওদিন রাত অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল।
এখন মূল কথা হচ্ছে, আমার হয়তো খুব একটা বাহিরে যাওয়া হয় না বলে এমন পরিস্থিতির শিকার এই একবারই হয়েছি। কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় তাহলে তাদের কতটা না দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কতটাই না বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে আমি শুধু সেটাই ভাবছি। আসলে এই সকল ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে দিনশেষে আমরা সাধারণ জনগণরাই এর ভুক্তভোগী।
আসলে দুইটি বিষয় নিয়ে আমাদের এই পৃথিবীতে সব থেকে বেশি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রাজনীতি আর অন্যটি হচ্ছে ধর্ম। অথচ এই দুইটি বিষয় কিন্তু মানুষের সুশৃংখল সুন্দর জীবন যাপনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই এখন আমাদের জীবনযাপনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল এই দুইটি বিষয় নিয়ে কখনোই তর্কে না জড়ানো। কারণ প্রত্যেকের চাইবে প্রত্যেকের দলকে সাপোর্ট করতে। এখানে কে দোষী কিংবা নির্দোষ সেটা কেউ ভেবে দেখবে না।
যাইহোক আজ এ পর্যন্তই, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারো অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কি আর বলব বলেন ভাইয়া? প্রতিদিন অফিস করতে হয়. একদিকে যানজট আর অন্যদিকে মনের ভিতর ভয়। কখন আবার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সমস্যার সমাধান কোথায়? এদিকে আবার অবরোধ এর মধ্যে অফিস করতে হচ্ছে। কি যে এক দুর্বিষহ জীবনেযাপন করছি। দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
খুব সুন্দরভাবে পোস্টটির মাধ্যমেই বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা হলেও তুলে ধরার জন্য অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এটা ঠিক বলেছেন ধর্ম আর রাজনীতি করাই হয়েছে আমাদের সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য। অথচ আমরা এই নিয়েই দ্বন্দে মেতে উঠি।সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাইয়া ভুক্তভোগীতে ু বাদ পরেছে,ধন্যবাদ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই নিজের দেশের জিম্মি হয়ে বেঁচে আছি। আসলে তাদের এই কাজগুলোর ভুক্তভোগী আমরা সাধারণ জনগণ। সত্যি কথা বলতে এই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ ভালো নেই। নিরাপদে চলাফেরা করাও আজকাল মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসলেই যে যেমন পারছে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখানোর চেষ্টা করছে। সত্যি এসব পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাইরে বেরোনোই মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু কাজের জন্য যাদের প্রতিনিয়ত বাইরে যেতে হয় তাদের অবস্থা কি হবে। আর তাদের পরিবার যারা বাসায় থাকে তাদেরও টেনশনের শেষ থাকবে না। জানিনা ওই সব মানুষগুলো কবে বুঝবে যে আমাদের এই সমস্ত কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ দের জীবনযাপনের কতটা কষ্ট হয়ে থাকে।
অবশ্যই দিনশেষে আমরাই ভুক্তভোগী। কারণ আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বাহিরে গিয়ে কাজ করতে হয়। হরতাল অবরোধের কারণে গাড়ি কম চলাচল করে এবং কর্মস্থল থেকে আসা যাওয়া করতে সবারই সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যে রাস্তা ঘাটে গাড়ি ভাংচুর, আগুন দেওয়া এসব সহিংসতার জন্য আতঙ্কে থাকতে হয়। জনসাধারণ না খেয়ে মরে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। কারণ তারা শুধু চিনে ক্ষমতা। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ,রাজনীতি আর ধর্ম নিয়েই আমাদের দেশে দ্বন্দ্ব।কিন্তু এইটা আসলে নিছক পাগলামি।এই নির্বাচনের কদিন এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তে কতো পরিবার যে বিপদে পড়বে তার ঠিক নেই।যারা শহরাঞ্চলে আছেন তাদের অনেকটা রিস্কের মধ্যেই দিয়েই যেতে হবে এই কয় মাস।বিশেষ করে রাতে বাইরে যাওয়াটা বেশি রিস্কি।কেননা রাতেই জ্বালাও পোড়াও সংঘটিত হয়।যেমন,আপনি জ্যামে পড়েছিলেন এজন্য।আর এইটা তো স্বাভাবিক পরিবারের লোকজন চিন্তা করবে বেশি রাত হলে এই সময়টায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে দেশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ ভাই । এখন রাস্তাঘাটেও সাবধানে চলাফেরা করতে হয় । আপনি বের হয়েই সমস্যায় পড়ে গেলেন । এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সামনে আরো খারাপ অবস্থা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । আসলে আমরা চাই শান্তি এসব সহিংসতা কখনোই চাই না ।