বাংলা মাসের চর্চা।
আজ - ৪ঠা আশ্বিন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
নতুন মাসের আগমন তাই ওয়েদারটা একটু একটু করে পরিবর্তন হচ্ছে আর এই ওয়েদার চেঞ্জটাই মূলত এ সকল জ্বর, সর্দির মূল কারণ। তাছাড়াও এখন কখনো কখনো বৃষ্টি পড়ছে আবার কখনো প্রচন্ড গরম এসব কিছু মিলিয়ে আসলে আমাদের একজাস্ট হতে কিছুটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এমন সব সমস্যা হচ্ছে। এইতো কালকেও প্রচন্ড পরিমাণ বৃষ্টি ছিল আমাদের এদিকে তবে সকালে উঠে দেখি একদম কটকটে রোদ উঠেছে আবার ঠিক একই ভাবে পরের দিন রাতের বৃষ্টি আবার সকালে দেখলাম রোদ এভাবেই চলছে ওয়েদার টা।
শুনেছি ভাদ্র মাসে নাকি যেদিকে মেঘ জমবে সে দিকেই বৃষ্টি নামবে। বিষয়টা আসলেই সত্য। এই মাসটাতে বর্ষাকালের মত ওরকম অনেক মেঘ জমে টানা বৃষ্টিটা কিন্তু হয় না এখানে হঠাৎ করে বৃষ্টি নামে আবার ঠিক হয়ে যাবে । এই মাসে বৃষ্টির কোন ঠিক ঠিকানা নেই যখন তখন যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামে।
আসলে আমি একটি জিনিস প্রায় সময় খেয়াল করি বাংলার মাস গুলো পরিবর্তনের সাথে সাথে কিন্তু প্রকৃতিরও পরিবর্তন দেখা যায়। তবে ইংরেজি মাস গুলোর সাথে পরিবর্তন খুব একটা চোখে পড়ে না । আগেকার দিনে আসলে দেখতাম দাদীরা নানীরা তারা বাংলা মাস এবং আরবি মাস গুলোর উপর বেশিই নির্ভরশীল ছিল। তারা বাংলা মাস দেখেই বলে দিতে পারতো ওয়েদার কেমন হবে না হবে।
আমার কিন্তু আগে বাংলা মাস সম্পর্কে অত বেশি হিসাব ছিল না তবে এখন পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে যেহেতু আমি বাংলা তারিখ এবং মাস ব্যবহার করি তাই বাংলা মাস এবং তারিখ গুলা মনে রাখা হয়। এখনকার জেনারেশন অনেক বাচ্চারাই কিন্তু বাংলা তারিখ এবং মাস সম্পর্কে অবগত না। তারা এখন বাংলা মাস বলতে শুধু মাত্র পহেলা বৈশাখটাকেই চিনে। কারণ এই মাসটাই সবথেকে বেশি ঘটা করে পালন করা হয়। আমাদের প্রত্যেকেরই ইংরেজি মাস গুলোর পাশাপাশি বাংলা মাস গুলো চর্চা করা উচিত। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমি মনে করি বাংলা মাস গুলো জানার বিষয়ে আরো বেশি জোরদার করা উচিত।
যাইহোক, আজ আর বেশি কথা বাড়াবো না৷ সকালে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। এমন সচেতন থাকবেন। দেখা হবে আবারো পরবর্তীতে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহাফেজ।
আমি শুধু বাংলা ঐ বৈশাখ মাস টাই বুঝতে পারি পহেলা বৈশাখ এর ছুটির জন্য হা হা। আশাকরি আপনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবেন। এখন সর্দি জ্বর টা স্বাভাবিক তবে জ্বরে আবার ডেঙ্গুর ভয়ও আছে। বাংলা মাস গুলো মূলত পরিবেশের পরিবর্তন এর উপরে ভিত্তি করেই নামকরণ করা সম্ভবত। সেজন্যই এমনটা হয়।।
ঠিক ভাইয়া,আপনার পোস্টে বাংলা মাসের চর্চা হতে দেখি।আসলে আমরা বাঙালি কিন্তু আমরা পহেলা বৈশাখ ছাড়া কেউ তেমন মাস সম্বন্ধে অবগত নই।আগের সময়ে দাদু-লানুরা বাংলা আর আরবি মাসের হিসাব খুব মনে রেখে চলতো।এখন আর তা নেই।আমাদের সকলের উচিত বাংলা মাসের হিসাব করে চলা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই, এখন সময়টাই জ্বর সর্দির। তবে আপনি কাজের কাজ করেছেন গরম রঙ চা এলাচ, দারচিনি দিয়ে। প্রাকৃতিক চিকিৎসাই সবচেয়ে ভালো। আসলে আমিও দেখতাম দাদা দাদীরা বাংলা মাসের হিসাবটা খুব ভালো করেই রাখতো। আর এখনকার জেনারেশন এক পহেলা বৈশাখ ছাড়া আর কিছুই মনে রাখে না। সত্যি বলতে, বাংলা ব্লগে আসার পর নিয়মিত বাংলা ক্যালেন্ডার ফলো করতে হয়। তাই জানা যায় বাংলা কি মাস চলছে।
ভাই ওয়েদার পরিবর্তনের কারণে কমবেশি প্রায় সবার জ্বর ঠান্ডা লেগেই আছে। আজকে সারাদিন যে কয়বার বৃষ্টি হয়েছে এবং কতোবার রোদ উঠেছে আমাদের এখানে, তার কোনো হিসাব নেই। বৃষ্টিতে বেশ কয়েকবার ভিজে গিয়েছিলাম। ঠিক বলেছেন ভাই, বাংলা মাসের পরিবর্তনের সাথে প্রকৃতির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বাংলা মাসের চর্চা অবশ্যই করা উচিত আমাদের। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি একদম ঠিক বলেছেন,রং চা হালকা সর্দি কাশির জন্য বেস্ট নিরাময় পলিসি।নিয়মিত পান করলে সুস্থ হয়ে যাবেন দ্রুতই মেডিসিন ছাড়া।আসলেই এই ভাদ্র মাসের বৃষ্টির কোনো ঠিকঠিকানা নেই।যখন তখন এসে যায়।আপনার পোস্টে আপনি সবসময় বাংলা মাসের কোন তারিখ সেটা উল্লেখ করেন।আপনার পোস্ট পড়তে এলেই জানতে পারি বাংলা মাসের তারিখ সম্পর্কে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।