ঈদের সকালটা যেভাবে কাটলো।
আজ - ৯ই, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, আজ একটি স্পেশাল দিন হলে ও আমার এই দিনটি কাটছে কিন্তু খুব সাদামাটা ভাবেই। মসজিদ থেকে এসে বেশ লম্বা একটি ঘুম দিয়েছি। যাই হোক চলুন কিভাবে কেটেছে আমার ঈদের সকালটা তা আপনার সাথে শেয়ার করি।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে গোসল করতে চলে যাই। আমাদের এলাকায় ঈদের জামায়াত হচ্ছে আটটার দিকে। হাতে একদমই সময় নেই তাই গোসলটা সেরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে যায় । এদিকে আম্মু টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে রেখেছে। সারারাত জেগে অনেক কিছুই তৈরি করেছে। যাতে দিনের বেলায় ঝামেলা কম হয় এবং মসজিদে যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে যেতে পারি। তবে এতদিন ধরে রোজা রাখার ফলে সকালে নাস্তা না করার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে তাই খুব একটা কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। এছাড়াও কেমন জানি একটু ভয় ভয় লাগছিল এই বুঝি রোজা ভেঙে যাবে। মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে রোজা এখন শেষ।
যাইহোক, কিছু খেতে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আম্মু জোড়াজড়িতে অল্প কিছুটা সেমাইয়ের জর্দা খাওয়া হয়েছে। এমনিতে দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি তার উপরে এসব করতে করতে আরো অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিলে। তাই কি আর করার তাড়াহুড়া কর বাইরে বেরিয়ে গিয়েছি ।
যাইহোক, নামাজ পড়া শেষে আর এক মুহূর্ত দেরি না করে চলে গেলাম আমার প্রিয় মানুষটির কাছে। যে কিনা শুয়ে আছে চিরনিদ্রায়। আসলে অন্য সময় গুলোতে প্রিয় মানুষটির কথা ভুলে থাকা গেলেও বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে তাকে খুব বেশিই মনে পড়ে। আব্বু চলে যাওয়ার পর আমাদের পরিবারে ঈদগুলো কাটে একদমই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে। কোন কিছুই যেন তখন ভালো লাগেনা। সারাক্ষণই মন খারাপ থাকে। ওই সময় গুলোর কথা খুব মনে পড়ে, আব্বুর সাথে আমাদের ঈদ কাটানো সেই মুহূর্তগুলোর। লোকে বলে, সময়ের সাথে সাথে যে চলে যায় তাকে নাকি ভুলা কিছুটা সহজ হয়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম যতদিন যেতে থাকে ততই যেন তার অনুপস্থিতিটা বেশি দুঃখ দেই। যাইহোক আব্বু চলে গিয়েছে প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি হতে চলল আর এই পাঁচটা ঈদ যে কিভাবে কেটেছে তা শুধুমাত্র আমার পরিবার এবং আমি ভালো জানি।
যাইহোক কবর জিয়ারত করে ফিরে এসে বসে পড়ি নাস্তার টেবিলে। আজকে মেনুতে ছিল, সেমাইয়ের জর্দা, পুডিং,কাস্টার্ড, পাস্তা, চিকেন রোল। আর এই প্রতিটি আইটেম আমার খুবই প্রিয়। এছাড় ও দুপুরের মেনুতে রয়েছে কাচ্চি এবং রোস্ট। যাইহোক, ভরপেট নাস্তা করে আত্মীয়-স্বজন সকলকে কল দিলাম এবং কিছুক্ষণ কথা বললাম। এরপর discord এ বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। কিছুটা সকালে ঘুম থেকে উঠায় প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিল তাই কোন কিছু না ভেবেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আকাশ বেশ চকচকে চমৎকার একটি ওয়েদার। রোদ উঠেছে বাহিরে তবে তেমন একটা গরম না। সকালের দিকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল তাই ভেবেছিলাম হয়তো বৃষ্টি নামবে দুপুরের দিকে। তবে এখন দেখলাম আজ আর বৃষ্টি নামার তেমন কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে গতকাল থেকে এখানে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। গতকাল ভেবেছিলাম আজকের ঈদের দিন তা বুঝে মাটি হতে চলল। তবে সকালের ঈদ আনন্দ বাড়ানোর জন্য চমৎকার একটি ওয়েদার বিরাজ করছে আজ। যাইহোক, আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং ঈদ উদযাপন করেন। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ওয়াও! আপনি তো বেশ সুন্দর সাদামাটা অনেক আনন্দময় দিন উদযাপন করলেন ঈদের নামাজ পড়লেন এরপরে এসে লম্বা একটা ঘুম দিলেন বেশ ভালো সময় যাচ্ছে আপনার। আপনার আব্বুর জন্য অনেক দোয়া রইল। যে মানুষ এতদিন আপনাদের সাথে ঈদ করেছেন কিন্তু এখন আপনাদের সাথে আর নেই অনেক খারাপ লাগলো। আপনার ঈদের পরবর্তী দিনগুলো ভালো কাটুক এই কামনা করছি।
আপনার আম্মু তো দেখছি সারারাত জেগে অনেকগুলি সুন্দর খাবারের আইটেম তৈরি করেছেন। সেমাই এর জর্দা, আমিও আজ তৈরি করেছি বাড়িতে। আপনিও দেখছি সকালে সামান্য পরিমাণে খেয়েছেন বলছেন। আর দুপুরের মেনু এর নাম শুনেই তো আমার জিভে জল চলে আসছে। তবে আপনার আব্বুর বিষয়টা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনার ঈদ অনেক ভালো করে কাটুক এই কামনা করি।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। খুব সাধারন ভাবে ঈদের দিনটি কাটালেন।ঘুমালেন বেশ সময়।মায়ের হাতের খাবারের মজাই অন্য রকম। বেশ অনেক কিছুই রান্না করেছেন।আমিও রাতে বেশকিছু আইটেম রান্না করে রাখি।আপনার বাবা পাঁচবছর আপনাদের সাথে নেই, খুব খারাপ লাগলো ভাইয়া। সময়ের সাথে সাথে আসলে সব কিছু ভোলা যায় না।বাবার জন্য দোয়া করেন ভাইয়া ।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া প্রিয় মানুষকে কখনোই ভুলে থাকা সম্ভব নয়। ঈদের দিনের মতো বিশেষ বিশেষ দিনে নিশ্চয় আপনার আব্বুর কথা আপনার খুবই মনে পড়বে। ভাইয়া আমার খুবই ভালো লাগলো যে, ঈদের নামাজ শেষ করে আপনি আপনার আব্বুর কবর জিয়ারত করে এসেছেন। ঈদের নামাজ আদায়ের ওসিলায় মহান সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয় আপনার আব্বুকে জান্নাত নসিব করবেন। ভাইয়া আমি প্রত্যাশা করি আগামী দিনগুলো যেন আপনি খুবই আনন্দের সাথে কাটাতে পারেন।
প্রথমেই আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাইয়া। আসলে দিন যত যাচ্ছে ঈদের আনন্দ ততই কমে যাচ্ছে। আমিও ঈদের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম। সারা মাস রোজা রেখে এখন দিনের বেলায় খেতে মাঝে মধ্যে একটু ভয় ই লাগে। মনে হয় যে রোজা ভেঙ্গে যাবে। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার আব্বুর কবরের আজাব মাফ করে দেন। যাইহোক বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবেই ঈদের দিনটা কাটিয়েছেন। সাধারনত রোজার ঈদের নামাজ পড়ে সবাই আপন মানুষদের কবর জিয়ারত করতে যায়। আমিও বাড়িতে থাকলে যেতাম। খাবারের আইটেম গুলো ধারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।