চির চেনা সেই শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
আজ- ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, আজকে সকালেই রওনা দিয়েছি আমার চিরচেনা সেই শহরটার দিকে। আমার কাছে কেন যেন আমার শহরটাই ভালো লাগে। ঢাকার ওই জ্যাম কোলাহল আমার একদমই পছন্দ না। যান্ত্রিক শহরের এ মানুষগুলোর জন্য আমার খুব খারাপ লাগে, ঢাকা শহরে বসবাসকরা অধিকাংশ লোকই কিন্তু চাইনা এই শহরটাতে থাকতে। শুধুমাত্র তারা জীবন জীবিকার তাগিদে থাকছে। এই রাজধানীটা আমার কখনোই ভালো লাগেনা এসব জ্যাম কোলাহের কারণে।
আমার মনে হয়, শহরের এই কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে পারে যদি এই শহর কেন্দ্রিক জীবনযাপন বেরিয়ে আসা যায় । গ্রাম এবং শহরের মধ্যে যখন কোন তফাৎ থাকবেনা তখন দেখা যাবে অধিকাংশ লোকই তার নিজ নিজ গ্রামের সেটেল হয়ে গিয়েছে । তখন আর শহরের উপর এতটা চাপ পড়বে না। সব জায়গায় সমান ভাবে মানুষ বসবাস করবে। উন্নত দেশগুলোতে দেখবেন গ্রাম এবং শহরের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না। শহর কেন্দ্রিক জীবন যাপনের জন্য গ্রামগুলো এখন ফাঁকা পড়ে আছে গ্রামে কোন লোকই নেই ধরতে গেলে।
বাংলাদেশের সাথে কোন দেশের তুলনা কখনই চলে না কারণ অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সম্পূর্ণ বিপরীত। তারপরেও এদেশে যেহেতু জন্মগ্রহণ করেছি তাই এদেশ যতই খারাপ হোক না কেন দেশটাকে মন থেকেই ভালবাসি। আর আমার এই দেশের আমার এই শহর টাই আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা। সবার ক্ষেত্রে মনে হয় এমনই, যার জন্মস্থান যেখানে তার কাছে সেই স্থানটাকে প্রিয় ।
মাত্র কয়েকটা দিন পরিবার থেকে দূরে ছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে যেন কতগুলো দিন যেন দূরে ছিলাম। আসলে এটিই পরিবার। আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন পরিবার ছাড়া কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
যারা দিনের পর দিন ফ্যামিলি থেকে দূরে লেখাপড়ায় কিংবা কর্মক্ষেত্রের জন্য ব্যাচেলার থাকে তাদের মনটা পড়ে থাকে কিন্তু ওই পরিবারের কাছেই। তারা অপেক্ষায় থাকে কখন সময় হবে পরিবারের সাথে দেখা করার, কখন একটু ভালো সময় কাটাবে পরিবারের সাথে। যতই যাই হোক না কেন মানুষ কখনো পরিবারকে ছাড়া ভালো থাকতে পারে না। সুখ দুঃখে বন্ধু, পরিচিত সবাই দূরে ফেলে দিল ও পরিবার কখনো দূরে ফেলে দেয় না। পরিবার হচ্ছে একটা নির্ভরযোগ্য জায়গা যেখানে প্রত্যেকটা মানুষ আপনাকে জানবে বুঝবে । আই উইশ, সবাই যদি পরিবারের সাথে থাকার সুযোগ হত।
যাইহোক, সন্ধ্যার মধ্যেই হয়তো পৌঁছে যাব আমার প্রাণের শহরে। দোয়া করবেন যাতে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারি। এরপর থেকে আবার সেই চিরচেনা ডেইলি রুটিন ফিরে ফিরে যাব। এইকদিন কাজের কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।
আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সুমন ভাইয়ার পোস্টে কাল জেনেছি আপনি ঢাকা এসেছেন।যাক কাজ ও হলো ঘোরা ও হলো।আজ চলে যাচ্ছেন নিজ শহরে।ঢাকায় কেউ থাকতে চায় না জ্যাম আর কোলাহলের কারনে।এটা খুব সত্যি কথাই।এতো মানুষের ভীড়, এতো শব্দ দূষণ সবকিছু মিলিয়ে বসবাসের অযোগ্য ই বলা চলে।এতোকিছুর পরেও আমার এই শহর আমার খুব প্রিয়।ওই যে পরিবার বললেন। এই পরিবার আর আমার বেড়ে ওঠা সবকিছু মিলিয়ে এই ভালো লাগাটা।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন ভাইয়া এই ঢাকা শহরে থাকতে চায় না ঢাকা শহরকে বরাবরই দূষিত নাগরিক বলা হয়। কিছুদিনের জন্য পরিবার ছেড়ে এসেছিলেন মনেই হচ্ছিল যেন অনেক দিন ছেড়ে চলে এসেছেন তাহলে বুঝতেই পারছেন যারা এখানে থাকে তাদের কতটা কষ্ট হয়। আমারও আপনার মত ঢাকা শহর খুব একটা বেশি পছন্দ না আমার কাছে বরাবরই আমার গ্রাম অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করি খুব ভালোভাবে বাসায় পৌঁছে যাবেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ঢাকায় এসেছিলেন আর সুমন ভাই, হাফিজ ভাই ওনাদের সাথে দেখা হয়েছে জেনে খুশি হলাম। ঢাকা শহর বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য নগরীর তালিকায় রয়েছে। বায়ুদূষণ, আর যানজটে নাকাল নগরবাসী। যে মানুষগুলো এখানে বসবাস করে একমাত্র জীবন জীবিকার তাগিদেই তারা রয়েছে। যাই হোক আপনি আপনার নিজের শহরে সুস্থভাবে ফিরে যান এই কামনা করছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি তাই দেশটা যেমনই হোক আমাদের কাছে কিন্তু এটা আমাদের গর্ব। আপনার মত আমার কাছেও রাজধানীর শহর টা একদম ভালো লাগে না বিশেষ করে প্রতিনিয়ত জ্যাম লেগে থাকে এজন্যই। আপনার মত আমার কাছেও আমার নিজের শহর টাই বেশি ভালো লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া বিশ্বাস করেন কেন জানি আমার এই শহরটা ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে হাপিঁয়ে উঠি। মাঝে মাঝে মনে চায় ছুটে যাই গ্রামের পথে আর প্রান্তরে। ইট পাথরের দালানের ভিড়ে এখানে কেউ কাউকেই চিনে না। তবে এই শহরে এসে সুমন ভাই আর হাফিয ভাইয়োর সাথে দেখা হয়েছে শুনে বেশ ভালোই লাগলো। ভালো করে বাড়ি পৌঁছান এই কামনায়।
ঢাকার শহরের যে দুরবস্থা সেখানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা সকল কার্যক্রম ঢাকা শহরের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত । সেজন্যই আজকের এই পরিস্থিতি। প্রত্যেকটা বিষয়ে একটু দূরত্ব থাকা উচিত। আসলে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন কাজ না করলে যেটা হয়। আমার কাছে সেজন্য জেলা শহর গুলো খুবই ভালো লাগে। শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দোয়া করি যেন ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে ন।
আসলেই ঢাকা শহরে এতো যানজট থাকে সবসময়, একেবারে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আজকে উত্তরা গিয়েছিলাম সকালবেলা। বাসায় আসার সময় বিকেলবেলা বেশ কয়েক ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়েছিল। ঢাকা শহরে এতো এতো মানুষ বসবাস করে অবশ্যই জীবন জীবিকার তাগিদে। দক্ষিণ কোরিয়াতে দেখেছি শুধু সিউল না,বরং সব জায়গা উন্নত করেছে এবং মানুষ যেকোনো জায়গায় সেটেল্ড হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই সুযোগটা নেই। সবাই বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে যায়। যাইহোক ঢাকায় গিয়ে কাজ কমপ্লিট করার পাশাপাশি, হাফিজ ভাই এবং সুমন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আশা করি ইতিমধ্যে বাসায় ঠিকঠাক মতো পৌঁছে গিয়েছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকায় এসে তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ফেললেন! ঘুরাও হলো সাথে হাফিজ ভাই আর সুমন ভাইয়ের সাথে দেখাও হলো! যাক এ ঢাকা শহরে কারো প্রিয় জায়গা আবার কাছে অসহ্যকর এক যন্থণার নাম! তবুও জীবিকার তাগিদে এ শহরটাতে অনেকেই পরে থাকে। কিন্তু মনটা পরে থাকে বাড়িতেই! আশা করি আপনি এতোক্ষণএ পৌঁছেগেছে প্রাণের শহর চট্রগ্রামে