বাসার পাশের রেস্টুরেন্টে একদিন ।
আজ - ৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ইদানিং রাতের বেলা বেশ গরম পড়তেছে, যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তর বলতেছে , কিছুদিনের মধ্যে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের আসংখ্যাও আছে । তার মানে গরম আর দু এক দিন বাড়তে থাকবে এবং এরপরে বৃষ্টি আসবে ।
যদিও গরম পড়তেছে তবুও বিকেলের দিকে কিছুটা ঠান্ডা থাকে । বিকেলে যখন হাটতে বের হলাম চিন্তা করলাম, এলাকার পাশের একটি রেস্টুরেন্টে হয়েছে নতুম। ওখানে যাওয়া যাই কী না। । আমরা দুইজন ছিলাম । রেস্টুরেন্ট বেশ ভালো মানের ।
রেস্টুরেন্টের নাম ছিল দি ক্যাফে। সাধারণত বিকেলে অনেক ভীড় থাকে কিন্তু ওই দিন তেমন একটা ভীড় ছিলো না।
আমরা যেহুতু হালকা নাস্তা করতে গিয়েছিলাম। তাই প্রথমত চিকেন নাসোস অর্ডার করছি। আর সাথে মিলারেল ওয়াটার । পরে চিন্তা করলাম একটা ড্রিংকস নেওয়া দরকার। তাই মিন্ট লেমনডি নিলাম। ২ টা।
চিকেন নাসোস গুলো বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু ক্রিসপি টা একটু কম ছিলো। আর মিন্ট লেমনডি টা বেশি ভালো লাগছে কারণ গরমে ঠান্ডা কিছু বেশি ভালো লাগে। আরেকটি মজার বিষয় হলো রেস্টুরেন্টে ওদের একটা বুক শেলফ আছে যেটা সচারাচর কোন রেস্টুরেন্টে দেখা যাই না।
বেশ ভালো কিছু বই ছিল সেখানে। কিন্তু দূ:খের বিষয় আমরা পড়তে পারি নি। সময়ের অভাবে। তবে দেখছিলাম শেলফ টি।
আমরা প্রই ঘন্টা খানেক ছিলাম ওখানে। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। আসলে বিকেল এ একটু বেরিয়ে আসলে কাজে মন ভালো বসে। মন ভালো থাকে, আর সবছেয়ে বেশি যেটা হয় একটু হাটাহাটি হয়। তাই আমাদের সকলের ই উচিত বিকেলে একটু হাটা হাটি করা।
সবাই দোয়া করবেন যেন বৃষ্টি হয় খুব তাড়াতাড়ি। আর আমাদের এলাকা টাকে ঠান্ডা করে দিয়ে যাই।
আর নিম্নচাপ এএ প্রভাবে বৃষ্টি হলেও ঘূর্ণিঝড় যাতে কোন ক্ষতি না করতে পারে এই দোয়া করি ।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই বিকেলের সময়টা যদি উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করা যায় তাহলে অটোমেটিকলি মনটা ভালো হয়ে যায়। আর হ্যাঁ ইদানিং তো বিকেল বেলায় আবহাওয়া টা তুলনামূলক অনেক ঠান্ডা থাকে। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই বৃষ্টি হবে কারণ চারিদিকে শুধু মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে।
যেরকম গড়ম পরছে বৃষ্টি দ্রুত হানা দিবে মনে হচ্ছে।বিকেলে ঘুরতে সবারি ভালো লাগে।আপনি যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন সেখানের বুক সেল্ফ এর কথা শুনে ভালো লাগলো সময়ের অভাবে পরতে পারেন নি বই।দারুন লিখেছেন শুভ কামনা ভাইয়া।
সত্যিই কিন্তু এখন রাতে বেশ গরম লাগে। তবে ভাইয়া আপনার বাসার পাশের রেস্টুরেন্টের প্রশংসা না করলেই কিন্তু না। আমার তো মনে হয় এমন রেস্টুরেন্টে বসে সময় পার করলে পেটের সাথে সাথে মনটাও ভরে যাবে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই মূহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাসার পাশে এমন সুন্দর ক্যাফে যেখানে আবার বই পড়ারও সুন্দর ব্যাবস্থা আছে, তাহলে তো দারুণ বিষয়। আসলেই বিকেলে কিছুটা রিফ্রেশমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। তেমন ভীড় না থাকায় দুজন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আশা করছি। রেস্টুরেন্টে অল্প জায়গায় অনেক মানুষের ভীড় থাকলে সেই ভীড় আর অতিরিক্ত কেওয়াস আমার ভীষণ বিরক্ত ই লাগে!
আসলেই ভাইয়া, আশেপাশে যদি রেস্টুরেন্ট হয়, তাহলে সেখানে যেতে ইচ্ছা করে। তবে আপনাদের বাসার পাশেই নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে দেখছি। আপনারা দুইজন মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। চিকেন নাসোস গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। সব মিলিয়ে ভীষণ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো দেখতে।
সাথে আরেকজন কে ছিল তা তো বললেন না। ভাইয়া স্পেশাল কেউ নাকি? নাসোস ক্রিসপি না হলে খেতে মজা লাগে না। তাছাড়া রেস্টুরেন্টে বুকশেলফ বিষয়টি শুনে অবাক হলাম। এখনকার রেস্টুরেন্টগুলোতেতো এরকম কোন কিছু চিন্তাই করা যায় না। যাক ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
বৃষ্টি হওয়াটা আসলেই খুব দরকার। কারণ গরমের তীব্রতা অনেক। যদিও খুব শীঘ্রই নাকি রেমাল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। যাইহোক বিকেল বেলা হাঁটাহাঁটি করতে খুব ভালো লাগে। আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক চিকেন নাচোস দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা দারুণ লেগেছে। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ব্যাপারটা একদমই ঠিক, বিকেল বেলা একটু হাঁটাহাঁটি করলে কাজে বেশ ভালোই মন বসে। আমিও এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছি। যাইহোক, আপনারা দুইজনে যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। তবে সব থেকে আশ্চর্য হলাম এটা জেনে যে, আপনারা যে নতুন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন, সেখানে বুক শেলফ ছিল। সাধারণত সব রেস্টুরেন্টে এরকম থাকে না। যাইহোক, খাবারগুলো দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল দাদা।