পরিকল্পনা।
আজ - ২০শে ভাদ্র |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমি যে কোন কাজের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা তে বিশ্বাসী।
যেমন প্রতিদিনকার মতো ঘুম থেকে উঠে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে আমার সারাদিনে কর্মকাণ্ডের একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে নেওয়া। কোন সময় কি কাজটা করব, কিভাবে কি করলে ভালো হবে এবং সময় বাঁচবে সে সব কিছুর একটা সুন্দর পরিকল্পনা করে রাখি। এর ফলে দেখা যায় খুব অল্প সময়ে সবকিছু সুন্দরভাবে হয়ে যাচ্ছে ।
এখানে, শুধুমাত্র পরিকল্পনা করলেই হবে না বরং পরিকল্পনা অনেকগুলো ধাপ রাখা প্রয়োজন। কেননা পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছু আমাদের হাতের মধ্যে নেই, যে কোন সময় যেকোনো পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে ফলে আমাদের পরিকল্পনাও ভেস্তে যেতে পারে। এতে করে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত । কখনো একটা পরিকল্পনা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না ধাপে ধাপে পরিকল্পনা ভাগ করে নাওয়াই উত্তম ।
যেমন ধরুন আপনি একজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । আর এই সময়টাতে জীবনের অগ্রসর হওয়ার অনেক পথ খোলা আছে। এখন কথা হচ্ছে আপনি কোন পথ বেছে নিবেন। আর এসব কিছুর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি সুস্থ পরিকল্পনার মধ্যে আসতে হবে কিন্তু একটি পরিকল্পনা নিয়ে বসে থাকলে কখনোই কোন কিছু করা সম্ভব হবে না বরং আমাদেরকে একাধিক পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।
অর্থাৎ পরিকল্পনা এক পরিকল্পনা দুই পরিকল্পনা তিন, চার... এভাবে করে আমরা আমাদের মত করে পরিকল্পনা গুলোকে সাজিয়ে নিতে হবে। ফলে আমাদের একটি পরিকল্পনা সফল না হলে আমরা পরবর্তী পরিকল্পনাতে চলে যেতে পারবো এবং পরবর্তী পরিকল্পনা সফল না হলে এর পরবর্তী পরিকল্পনা তোমরা যেতে পারবো। এর ফলে আমাদের আর খুব বেশি দ্বিধাদ্বন্ধে পড়তে হবে না।
যেমন আপনি পরিকল্পনা করে নিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষে ভার্সিটিগুলোর জন্য ট্রাই করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওভাবে পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কোন কারণে হয়তো এই ভার্সিটিরতে আসলেন না। তখন নিশ্চয়ই আপনাকে অন্য এক বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের আগে থেকেই যদি দ্বিতীয় পরিকল্পনা করা থাকে তাহলে সেই পরিকল্পনা দিয়ে আমরা সামনে এগোতে পারবো। এবার ধরুন দ্বিতীয় পরিকল্পনা আপনি ভেবে রেখেছেন বাহিরের দেশে যাওয়ার জন্য কিন্তু কোন কারণে ধরেন সেটিও হলো না তাহলে আমরা সময় নষ্ট না করে আমাদের করা তৃতীয় পরিকল্পনাতে আমরা চলে যেতে পারবো।
ঠিক এভাবেই যদি আমরা আমাদের প্রতিটা কর্মক্ষেত্রে কয়েকটি পরিকল্পনা দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারি তাহলে আমাদের সময় এবং কাজগুলো খুবই সুন্দর ভাবে হবে। একটি পরিকল্পনা সফল নাহলে আবার পরিকল্পনা অন্য পরিকল্পনা আর সেটি না হলে এর পরের পরিকল্পনা এভাবে করে প্রতিটি পরিকল্পনা কোন না কোনটা তো আপনার জীবনে অবশ্যই কাজে আসবে। তাই পরিকল্পনা ক্ষেত্রে অনেক অপশন তৈরি করে নেওয়া উচিত।
আসলে জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কথায় আছে পরিকল্পনায় হচ্ছে একটি কাজের অর্ধাংশ। যেকোনো কাজের পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়ে যাওয়া মানে আপনার কাজের অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। তবে যে কোন ক্ষেত্রে সুস্থ পরিকল্পনা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া যে কোন কাজ আসলে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।
যাইহোক আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ্ ভাই আজকের পোস্টর বিষয়টা অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় পারে আমাদেরকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। আপনি এটা বেশ ভালো বলেছেন যে পরিকল্পনার অপশন রাখা লাগে। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা মিসটেক হয়ে গেলে দ্বিতীয় পরিকল্পনা সবকিছু সাজিয়ে নিতে হবে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন। সত্যিই আমাদের পরিকল্পনা করে চলতে হবে।আর শুধু একটা পরিকল্পনা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না।পরিকল্পনা করতে হবে এক সাথে কয়েকটাই।একটা না হলে অন্যটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনার উদাহরণটা ও বেশ ভালো ছিল পরিকল্পনা নিয়ে বোঝানোর জন্য। আশাকরি পড়ে সবাই বুঝতে পারবে পরিকল্পনা সম্বন্ধে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি ভাইয়া,যে পরিকল্পনা একটি কাজকে প্রায় অর্ধেক শেষ করে দেয়।আর পরিকল্পনার স্তর গুলো রাখা জরুরি।কেননা পারিপার্শিক কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম কাজ না হলে তখন হতাশা চলে আসে।তাই দ্বিতীয় তৃতীয় পরিকল্পনা ঠিক করে রাখা জরুরি।যাতে করে একটিতে ব্যর্থ হলে অন্যটায় যাওয়া যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পরিকল্পনা মোতাবেক চললে জীবনটা অনেক গোছালো এবং সুন্দর হয়। কারণ হুটহাট কিছু করলে অনেক সময় ভুল হয়ে যেতে পারে। একদম ঠিক বলেছেন ভাই, পরিকল্পনা কয়েকটা করে রাখা উচিত যেকোনো বিষয়ে। একটা ফেইল হলে আরেকটা এপ্লাই করা যায়। এতে করে সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই পরিকল্পনা নিয়ে আপনি খুব চমৎকার লিখেছেন। আমি যখন নবম শ্রেণীতে পড়তাম, তখন আমাদের একটা বই ছিল, ব্যবসায় উদ্যোগ। ওই বইতে লেখা ছিল, একটা ভালো পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক সম্পন্ন করে। এই কথাটি সত্যি, যেকোনো কাজ আপনি করতে গেলে, সেই কাজ যদি আগে থেকে কোন পরিকল্পনা করে যান তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সত্যিই ভাইয়া পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা করলে সে কাজের অর্ধেক প্রায় পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে হয়ে যায়। তবে একটা জিনিস জেনে ভালো লাগলো আপনি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে পরিকল্পনা করেন এবং সেই পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই সকল কাজ সম্পন্ন করেন। আসলে ভাইয়া আমি এই বিষয়টি করে থাকি। আমি ক্লাস এইট এ থাকতেই আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে এভরি ডে ওয়ার্ক নামের একটা খাতা বানিয়েছিলাম সেখানে আমি প্রতিদিন কি কি করব কখন কোনটা করবো সেটা খুব সুন্দর ভাবে লিখে রাখতাম। ঠিক এভাবে আজও এভাবে প্রতিদিনের কাজ খাতায় লিখে সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। তবে আপনার পরিকল্পনাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমারও মনে হয় তাই। একটি নয় আমাদের কে দশটি স্বপ্ন দেখতে হবে। করে রাখতে হবে কয়েকটি পরিকল্পনা। এতে করে আমরা নিরাশ হবো না। আমাদের পরিকল্পনা গুলো হতে একটি না একটি সফল হবেই। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটিও। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া খুবই দামি একটি ব্লগ শেয়ার করলেন। পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ হয় না। আর প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রে প্লান এ প্লান বি থাকা জরুরী। কারন সব সময় যে একটি পরিকল্পনা দিয়ে কাজ সফল হবে এমন কোন নিয়ম নেই। তাই বিকল্প চিন্তা চেতনাও মাথায় রাখতে হবে। তাহলে আর অযথা সময় নষ্ট হবে না। ধন্যবাদ।