কর্ম ব্যস্ত জীবনটাই সুন্দর।
আজ- ৭ই পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমরা অনেক সময় ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তা করি কিন্তু এই ভবিষ্যৎ গুলো খুব শীঘ্রই আমাদের জীবনে চলে আসছে। আমাদের সবার কোন লক্ষ্য থাকে বা স্বপ্ন থাকে যে, আমরা ঐ সময়ের পর ওই পর্যায়ে পৌঁছাব ওই কাজটি করব। কিন্তু সময় যেভাবে পার হয়ে যাচ্ছে ওভাবে হিসাব করলে আমরা খুব দ্রুতই আমাদের ওই সময়টাতে পৌঁছে যাব কিন্তু আমরা হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারব না। এখন ২৪ ঘন্টার সময় যেন মনে হয় এখন ১২ ঘণ্টাতে পরিণত হয়েছে।
এই সময়টাই কাটানোর জন্য কত মানুষ কত কি করছে, কেউ গেম খেলে সময় পার করছে, আড্ডা দিয়ে সময় পাস করছে যে যেভাবে পারছে তার মতো করে সময় গুলো পাস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবার এই সময়ের অভাবে কিছু মানুষ তার জীবনটাকে উপভোগ করতে পারছে না। কারো কাছে সময় পাওয়াটা কষ্টের আবার অনেকের কাছে সময় কাটানোটা কষ্টের। আসলে যে যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছে তার কাছে ঠিক সেভাবে সময়টা কাটবে। বেকার মানুষদের কাছে সময় কাটানোটা কষ্টের আর কর্ম ব্যস্ত মানুষের কাছে সময় পাওয়াটা কষ্ট। বেকার হওয়া কিংবা কর্ম করা এটাতো সম্পূর্ণ নিজেদের উপর তাই সময়টা কার কিভাবে কাটবে এটাই সম্পূর্ণ নিজের উপর।
আসলে কর্মব্যস্ত জীবনটাই সব থেকে সুন্দর এবং সব থেকে ভালো। রোবটিক জীবন বলে আমরা যে কথাটা সবসময় বলি এটিকে আসলে বলা হয় কর্মব্যস্ত জীবন। ওই জীবনটাই সব থেকে বেশি ডিসিপ্লিন থাকে এবং এই জীবনটাই সুন্দর এবং আনন্দের। নিজের সময়গুলো সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য জীবনে একটি সুন্দর ডিসিপ্লিন এর প্রয়োজন। আর আমাদের জীবনে ডিসিপ্লিনটা কখনো এমনি এমনি আসে না। পারিপার্শিক পরিস্থিতি আমাদের ডিসিপ্লিনটি করে তোলে ।
যেমন ধরুন , সকাল দশটায় যদি আমাদের অফিস টাইম থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের সকল সাতটায় কিংবা ৮ঃ০০ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। আর এত সকাল ঘুম থেকে উঠতে হলে আমাদের ঘুমাতে হবে ও তাড়াতাড়ি। আর প্রতিদিন একই টাইমে ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমাতে যাওয়া এটাতো একটা ডিসিপ্লিন । আর যদি আমাদের কোন কর্ম ব্যস্ততা না থাকে তাহলে তো আমরা নিশ্চয়ই দশটার আগে ঘুম থেকে কখনই উঠবো না। ওদিকে আমরা ঘুমাবো রাত করে যখন যা খুশি তখন তাই করতে পারব কোন বাধা ধরা নেই তাহলে এখানে ডিসিপ্লিন টা কোথায় । তাই জীবনে ডিসিপ্লিন মেন্টেন করতে হলে কর্মব্যস্ত থাকাটা খুবই জরুরী।
জীবনে যদি ডিপ্রেশন, হতাশা মন খারাপ এই সকল কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চায় তাহলে মানুষের উচিত নিজেকে কর্মব্যস্ত করে তোলা। কর্মের মাধ্যমে মানুষ তার অবস্থান ধরে রাখতে পারে নিজেদের প্রয়োজনও মিটাতে পারে। অপ্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করার কি দরকার শুধু শুধু। লেগে থাকুন কর্মে দেখবেন জীবন থেকে আপনার অপ্রয়োজনীয় সব জিনিস দূরে সরে যাবে।
আজ এই পর্যন্ত এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুব সহজ ভাষায় বাস্তব সম্মত কিছু কথা লিখেছেন ভাইয়া। আপনার এই সকল কথার সাথে আমি সম্পূর্ণরূপে একমত। জীবনে ডিসিপ্লিন খুবই জরুরী। ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে জীবনটাকে কর্মব্যস্তময় করে রাখলে, এমন অনেক সাফল্য পাওয়া সম্ভব, যেটা হয়তো বা কল্পনাও করা হয়নি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা ঠিক ভাইয়া,ডিসিপ্লিন জীবনযাপন কিন্তু মানুষকে সুস্থ রাখে।আর সময়ের কাজ সময়ে করা হয় বলেই মানুষের জীবনটা সুন্দরভাবে পরিচালিত হয় একটা সময় ছিল যখন স্টিমিটে কাজ করতাম না তখন,সময় যেন কাটতো না। কিন্তু এখন সময় কিভাবে যাচ্ছে তাও টের পাই না।কিন্তু সেই অলস জীবন থেকে ব্যস্তময় জীবনটা মাঝে মাঝে ভালোই লাগে।
কর্মহীন জীবন মানে অলস জীবন যাপন করা। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত ভাইয়া আমার যেদিন কাজ একটু কম থাকে সেদিন সময় কাটে না এবং খুবই অস্থিরতার মধ্যে দিন যায়। শুয়ে থাকলেও ঘুম হয় না। কিন্তু যেদিন ব্যস্ততায় দিন যায় সেদিন কখন ঘুমাবো সেই অপেক্ষায় থাকে। সবকিছুই একটা নিয়মের মধ্যে থাকে ।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই পোস্ট করে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলেই একটা ডিসিপ্লিন এর মধ্যে থাকলে নিজের জীবন অনেক বেশি সুন্দর হয়। কর্মের মাধ্যমে মানুষ যদি নিজেকে ব্যস্ত থাকে তাহলে দিন কিভাবে যায় রাত কিভাবে আসে সেটা সে কিছুই বুঝতে পারে না। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা টাইম এর মধ্যেই কিন্তু সকল কাজকর্ম শেষ হয়ে যায়। আর এদিকে যদি আমরা নিজেদের টাইম সিডিউল মেনে নেয়া যাবে তাহলে সেই সময়টাও কোনো একভাবে চলে যায় তবে কাজকর্ম কোনটাই হয় না। বসে থাকার চেয়ে কর্মের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
খুব সুন্দর এবং বাস্তব একটি ব্লগ আজ শেয়ার করলেন। অলস মস্তিস্ক আসলেই শয়তানের কারখানা। কর্মবিহীন জীবনে যেন নেমে আসে হাজারও অন্ধকারের হাতছানি। সাথে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসে হতাশা, ডিপ্রেশন আর বিষন্নতাকে। তাই আমাদের উচিত জীবন কে কর্মব্যস্ততায় ভরে দিয়ে সুখের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে দেওয়া। বেশ সুন্দর ছিল ভাইয়া আজকের পোস্টটি।
কর্মব্যস্ত জীবন আসলেই সুন্দর! একটা রুটিনের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখা যায়। তবে সময়গুলো যে চলে যাচ্ছে এতো তাড়াতাড়ি সেটা বুঝায় যাচ্ছে। তবে আমি দেখেছি সকালে ভোরে উঠতে পারলে সারাদিন লম্বা সময় মনে হয়! হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর আমি করিও সেটা, একদম ভোরে উঠে যাওয়ার
কর্মব্যস্ত জীবন আসলেই খুব সুন্দর। কারণ একেবারে নিয়ম মোতাবেক চলা যায়। এতে করে শরীর স্বাস্থ্য এবং মনমানসিকতা ও খুব ভালো থাকে। হয়তো অনেক সময় কাজের চাপে মনে হয়, অবসর সময় কাটাতে পারলে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু কয়েকদিন অবসর সময় কাটাতে গেলে মনে হয় যে সময় কাটে না। এমনিতে কর্মরত অবস্থায় সাপ্তাহিক ছুটির সময় খুব ভালো লাগে। সুতরাং ডিসিপ্লিন অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চাইলে অবশ্যই কর্মব্যস্ত থাকতে হবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।