কলকাতার কেনাকাটা -পর্ব ১।
আজ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

কলকাতা ভ্রমণের অনেকগুলো পোস্ট এখনো বাকি রয়েছে। আসলে আলসেমি করে পোস্ট করলে আর শেয়ার করা হচ্ছে না। তবে আজ ভাবলাম এ বৃষ্টি ভেজা ওয়েদার আপনাদের সাথে , আমার কলকাতা ভ্রমণের সিরিজের একটি পর্ব শেয়ার করি।
কলকাতা ভ্রমণে ঘুরাঘুরির পাশাপাশি আমরা বেশ কেনাকাটা ও করেছিলাম । তবে কেনাকাটার মধ্যে সবচেয়ে জুতা কেনা হয়েছে বেশি। মোটামুটি বাসার সবার জন্যই জুতা কেনা হয়েছে। এর পেছনে একটা কারণও আছে। আস্তে আস্তে আমি সব বলছি, পুরো পোস্টে বললে আশা করি বুঝতে পারবেন।
মোটামুটি যারা বাংলাদেশ থেকেই ভ্রমণে যায় ইন্ডিয়ায়, এমন খুব কম লোককে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ইন্ডিয়ায় গিয়ে শ্রীলেদার্সের জুতা কেনেন নাই।
আসলে বাংলাদেশে থাকতেই আমরা শ্রীলেদারস এর নাম শুনেছিলাম। হাফিজ ভাই ই বলেছিলেন শ্রীলেদারস এর কথা, উনার সাথে যখন বাংলাদেশে কথা হয়েছিল বলেছিলাম ইন্ডিয়ায় যাওয়া কে কেন্দ্র করে জুতা কেনা দরকার, আমি জানিয়েছিলাম বাংলাদেশ থেকে না কিনে ইন্ডিয়াতে কিনলে অনেক সস্তায় ভালো মানুষ জুতা পাওয়া যাবে। আমিও সে আশায় রইলাম। তো ওখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম শ্রীলেদার্স থেকে জুতা কিনব। আসলে আমরা শ্রীলেদার্স এর দুটি শোরুম থেকে জুতা নিয়েছিলাম, প্রথমটি আমাদের হোটেলের পাশে ছিল। দ্বিতীয়টি একটু দূরে। প্রথম যেই শোরুমে ঢুকেছিলাম সেটি আসলে তেমন একটা বড় ছিল না, কিন্তু দ্বিতীয় শোরুমটি হচ্ছে উনাদের সবচেয়ে বড় শোরুম। এমনকি এটি নাকি পুরো এশিয়ার মধ্যেও নাকি সবচেয়ে বড় জুতার শোরুম।
মোটামুটি হিসাব করতে গেলে আমি এখান থেকে প্রায় দশ জোড়ার উপরে জুতা কিনেছি। বাসার ছোট বড় সবার জন্যই নেওয়া হয়েছে জুতা। কারণ এখানকার জুতাগুলো খুবই উন্নত লেদার দিয়ে তৈরি। আর দামে ও অনেক সস্তা। যেটা বাংলাদেশে আসলে পাওয়া যায় না।
এখানে একটা বিষয় সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে। চামড়া শিল্পায় বাংলাদেশ হচ্ছে সবার উপরের দিকে। কিন্তু বাংলাদেশেই জুতার দাম সবচেয়ে বেশি অন্যান্য দেশের তুলনায়। আমি সত্যিই আশ্চর্য হয়ে গেলাম। আমার জন্য যে শু জুতাটি টি কিনেছি। এটি বাংলাদেশে কম না হলেও ৩-৪ হাজার টাকা হবে। কিন্তু এটা আমি শ্রীলেদার থেকে, ১২০০ টাকাই নিয়েছি।
এছাড়াও আমার পরিবারের সবার জন্যই জুতা নাওয়া হয়েছে, আর কয়েকজনের জন্য তো ২ জোড়া ও নেওয়া হয়েছে। নিচে জোতার কয়েকটি ছবি দেওয়া হয়েছে আপনারা দেখলেই তা বুঝতে পারবেন।
কেনাকাটার প্রথম দিকে সবার জন্য সাইজ গুলো মিলাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কেননা বাংলাদেশের জোতার সাইডের সাথে এখানে যেটা সাইজ গুলো খুব একটা মিল দেখছিলাম না। বাংলাদেশের যে জুতার সাইজ দেখাচ্ছে ৭ নম্বর সে ক্ষেত্রে ওখানে ৬ নাম্বার সাইজের সমান। তাই জুতার সাইজ মেলাতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দেই পড়ে গিয়েছিলাম। পরে অবশ্য যতগুলো এনেছিলাম প্রত্যেকের পায়ে একবারে ফিট হয়েছিল। সবাই জুতা গুলো বেশ পছন্দ করেছিল।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR










Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া, শ্রীলেদার্স শোরুমের জুতার কথা আমিও শুনেছি। আমার বড় বোন দুলাভাই শ্রীলেদার্স থেকে জুতা কিনেছিল। তাদের মতেও শ্রীলেদার্সের জুতাগুলো অনেক মানসম্মত ও সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। যাই হোক ভাইয়া, আপনি শ্রীলেদার্স শোরুম থেকে ১০ জোড়া জুতা কিনেছেন এবং সেই জুতা সবার পায়ে ফিট হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। কলকাতার কেনাকাটায় শ্রী লেদার্স শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে কলকাতায় কেনাকাটার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় জুতার দোকান ভাবতেই অবাক লাগছে ভাইয়া। বাংলাদেশে তো ভালো জুতা কিনতে গেলে ৩-৪ হাজার টাকা লেগে যায়। আর বারোশো টাকায় পছন্দের জুতা পেয়ে গেলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি কিন্তু সত্যিই অনেক দক্ষ মানুষ। তাই তো সবার পায়ের মাপ অনুযায়ী পছন্দমত জুতা কিনতে পেরেছেন। আর সবার পায়ে ঠিক ঠিক হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
জানতাম না যে শ্রীলেদার্স শোরুম এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি জুতার শুরুম। আর সেখান থেকে আপনি পছন্দ করে পরিবারের সবার জন্য জুতা কিনে নিলেন। আবার নাকি সে জুতাগুলো সবার ঠিকই হয়েছে। কি আশ্চর্য রে। আপনি তো দেখছি ভালোই দক্ষ একজন মানুষ। কলিকাতা থেকে জুতা আনলেন আর বাংলাদেশে এসে সবার পায়ে লেগে গেল।
এটা সত্যি দুঃখজনক ভাই, চাড়রা শিল্পে উন্নত হতেও আমাদের দেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমার অফিসের এক কলিগ কোলকাতা গিয়েছিলেন, উনি শুধুমাত্র শ্রীলেদার্স জুতা কিনেছিলেন বাড়ীর সবার জন্য।