গেম আসক্তি।
আজ- ১৭ই মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![children-593313_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZiuA83BFExGHXQUNB8dzVoY2efKtsFaXJ1PbkcS7uCzu/children-593313_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনাটা আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, আমার এক দূর সম্পর্কের চাচ্চু, উনি বিদেশ থেকে এসেই আমাদের বাসায় উঠেছেন। তখন আমার স্বভাব ছিল নতুন কোন মানুষ দেখলে আমি সব সময় তাদের থেকে এড়িয়ে চলতাম। লুকিয়ে বেড়াতাম সারাক্ষণ। এবং খুবই লজ্জা পেতাম নতুন কোন মানুষের সামনে। আমার চাচ্চু আমাকে বারবার ডাকতে এবং আমার সাথে কথা বলতে চাইতেন তবে আমি তো এই সবের ধার ধারি না । সব সময় তার থেকে এড়িয়ে চলতাম। তাই তিনি আমার সাথে ফ্রি হওয়ার জন্য উনার পাশে বসিয়ে মোবাইলে গেম চালানো শিখাতে আমাকে। তখন ছিল বাটন নোকিয়া ফোন৷ ওখানে সাপের গেম খেলা যেতে শুধু। আর ওই থেকেই আমি সর্বপ্রথম মোবাইলে গেম খেলার এই বিষয়টির সাথে পরিচিত হয়েছিলাম।
যাই হোক যা বলছিলাম। তখন আমাদের ওই সময়টাতে মোবাইলে গেম বলতে , সাপ খেলা, ফুটবল খেলা, আর গাড়ির একটা গেম ছিল। আর এই সব গেমগুলো খেলেই বড় হয়েছি। এরপর অবশ্য আস্তে আস্তে আরো বিভিন্ন ডিভাইসে গেম খেলার সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। তবে শুরুটা কিন্তু এই বাটন মোবাইলে সাপের গেম খেলা দিয়েই হয়েছিল।
আমাদের ওই সময়ের জেনারেশন সাথে এখনকার জেনারেশন এর বাচ্চাদের মধ্যে অনেকটাই তফাৎ। আমার যে কাজিনের কথা বলছিলাম ওর তো পুরো অবসর সময়টা কাটে অনলাইন গেমস খেলে। সারাদিনটা চিন্তা থেকে কখন সে তার কাজগুলো শেষ করে গেম খেলতে বসে যাবে। খেতে গেলেও তার মোবাইল, শুতে গেলেও তার মোবাইল, এমনকি টয়লেটে গেল সে মোবাইল নিয়ে যাই।
বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা মাঠে কিংবা বাহিরে গিয়ে খেলা থেকে গেমস খেলার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে এতে প্রতিটা বাচ্চার মেধা বিকাশে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত করছে ।
আর এখন তো বাচ্চাদের হাতে হাতে ট্যাব মোবাইল খুবই সহজ দ্রব্য । ফলে তারা খুব সহজে ইন্টারনেট জগতে ঢুকে পড়ছে এবং পজিটিভিটির সাথে সাথে নেগেটিভিটি গুলো তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে । অনলাইন গেমস যেটা অত্যন্ত আসক্তির জন্ম দেয় । একবার যদি কোন ভাবে অনলাইন গেমসের মজা কোন বাচ্চা পেয়ে যায় তাহলে তাকে কোন ভাবে এর থেকে বের করা সম্ভব না।
ছোট ছোট বাচ্চারাও আজকাল পাওয়ারি চশমা ইউজ করছে শুধুমাত্র স্ক্রিন টাইম অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে। তাদের স্বাভাবিক আচারগুলো এখন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত টিভি ল্যাপটপ কম্পিউটার এ যে সকল ক্যারেক্টারগুলো তারা দেখছে তারা চেষ্টা করতে তাদের মত আচরণ করতে।
গেম আসক্তি এটি বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চাদেরকে পঙ্গু করে তুলছে এবং তাদের বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা এ প্রবণতা থেকে দূরে সরে আসছে । এক্সট্রা কারিকুলাম এর ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ করছে। প্রত্যেক বাবা-মা কিংবা গার্ডিয়ানদের উচিত বাচ্চাদেরকে অনলাইন কিংবা যে কোন গেমস থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে তাদের অবসর সময় গুলো কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া ।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে, আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
গেম আসক্তি খুবই বাজে একটা জিনিস। এখনকার বাচ্চারাতো মাঠে কিংবা বাইরে গিয়ে খেলা করেই না। সব বাচ্চারা যে যার মতো ঘরে বসে গেমস খেলে সময় নষ্ট করে। যার ফলে প্রতিটা বাচ্চার মেধা বিকাশে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এই গেমস আসক্তির কারণে। খুবই চমৎকার একটি টপিকস নিয়ে আজ আলোচনা করছেন আমাদের মাঝে। পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
আপনি তো দেখছি আমার মত ছোট্টবেলা খুবই লাজুক স্বভাবের ছিলেন । যাইহোক, নোকিয়া ফোনে সাপের যে গেমটি খুবই প্রিয় ছিল। আমিও খেলতাম আমার ইচ্ছে ছিল সাপের যে ঘর সেটা সম্পূর্ণ সাপের আকৃতি দিয়ে পূর্ণ করার যেটা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া অন্যান্য গেম খেলতে ভালোই লাগতো। আর বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ছোট বাচ্চারা অল্প বয়স থেকে আসক্ত হয়ে পড়ছে । যেটা একটা খারাপ দিক তাদের চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অল্প বয়সে পাওয়ার চশমা পড়তে হয় যেটা থেকে তাদের দূরে রাখা উচিত।
হ্যাঁ ভাই আমরা ছোটবেলা মোবাইল গেমস বলতে বুঝতাম নকিয়া ১১০০,৩৩১০ মডেলের ফোনের সাপ খেলা। তারপর দেখেছিলাম নকিয়া ১৬০০ মডেলের কালার মনিটর ফোন এসেছিল। সেটা দিয়েও সাপ খেলা খেলতাম মাঝেমধ্যে। আর বেশিরভাগ সময় বাহিরে গিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল,ব্যাডমিন্টন এবং বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা পুরোপুরি অনলাইন গেমসে আসক্ত। তারা এক মুহূর্তও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া চলতে পারে না। তাদেরকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনার দায়িত্ব হচ্ছে গার্ডিয়ানদের। নয়তো ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব কম বয়সে হাতে ফোন পেয়ে যাওয়ার কুফল এটা! বাচ্চারা অল্প বয়সেই গেম খেলায় আসক্তি হচ্ছে দিনকে দিন। তবে গার্ডেনসদের সচেতন হওয়া দরকার বাচ্চাদের নিয়ে। বাচ্চারাও পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।