শীতের অনুভূতি।
আজ - ১২ই ১২ই কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
তবে এখন যেহেতু শহর অঞ্চলে শীতের প্রভাবটা একটু একটু লক্ষ্যনীয় সেহেতু খুব সহজেই বলা যায় গ্রামের দিকে ইতিমধ্যে শীত পড়া শুরু করে দিয়েছে। আমরা যতই যায় বলি না কেন শীতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামে মানুষদের কিন্তু দিনশেষে গ্রামের শীতকালের সুন্দরটাই অনন্য।
ভোরবেলার শিশিরে ভেজা ঘাস; কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ; মাঠে ঘাটে শীতকালীন নতুন শাকসবজির আবাদ; শুকিয়ে যাওয়া পুকুর খাল বিলে নতুন করে শাকসবজি চাষাবাদ; পুকুরের কিংবা রাস্তার ধারে বাঁকা বাঁকা ওই খেজুর গাছগুলো থেকে মাটির পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা; আর হেমন্ত শেষে সোনালী রঙের সেই পাকা ধান গুলো ঘরে তোলা এবং সেই নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি তৈরি। খড় কুঠা পুড়িয়ে আগুন পোহানো । এই সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে গ্রামের বাড়ির শীতকালটা যেন অনন্য।
আসলে সারা বছর গ্রামের বাড়ি গুলোতে আত্মীয়-স্বজনের যাতায়াত না হলেও শীতকালের সময়টাতে দেখা যায় প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ প্রত্যেকে চাই শীতের এই মজা গুলোকে গ্রামে থেকে উপভোগ করতে। আসলে আমরা যারা শহরে থাকি তাদের কাছে গ্রামের এই শীতকালীন সৌন্দর্যগুলোকে খুব বেশি অনুভব করি।
শীত প্রধান দেশগুলোতে শীতের সময় তাদের গৃহবন্দী হয়ে সময় কাটায়। কিন্তু গ্রীষ্মে তারা বেশ আনন্দ করে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র। আমাদের মত দেশগুলোতে দেখা যায় শীতের সময়টাতে সবথেকে বেশি ঘোরাফেরা করে কাটায়।
সারা বছরের কর্মব্যস্ততা পর যখন স্কুল কলেজ থেকে কিছুটা ছুটি পাওয়া যায় তখন সবাই চলে যায় যার যার নিজ নিজ গ্রামে। পরিবারের সাথে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে থেকে সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করতে। আর সেই সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য তো আছেই।
গতবারের শীতে অল্প কিছুদিনের জন্য আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হলেও এবারের শীতে গ্রামে যাওয়া হবে কিনা তা অনিশ্চিত। তবে প্রতিটা মুহূর্তে গ্রামের সৌন্দর্যগুলোকে আমি খুব বেশি স্মরণ করি । যদিও এখন গ্রাম আগের সেই গ্রাম নেই। এখন গ্রাম অনেকটাই শহরের মতো আধুনিক হয়ে উঠেছে। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সেই গ্রাম এখন শুধুমাত্র কবিদের কবিতায়। ছবির মত, আমাদের কল্পনার মত সেই কুঁড়ে ঘর, মাটির তৈরি টিনের তৈরি সেই ছোট ছোট ঘরগুলো আর নেই।
যাইহোক, আজ এই পর্যন্তই সকালে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আসলেই ভাই শীতের মজাটা একমাত্র গ্রামে থেকেই উপভোগ করা সম্ভব। শহরে আসলে শীত বলতে কিছু নেই বললেই চলে। কিন্তু গ্রামে আসলে শীতের অনুভূতিটা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। কয়েকদিন হলো গ্রামে আসার পর বেশ ভালোই শীতের অনুভূতি উপভোগ করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কিছুদিন আগেও কতো গরম ছিলো। কিন্তু এই কয়েকটা দিন শীত শীত অনুভব করছি।আর ঠিক বলেছেন ভাইয়া,,শীতকালীন পরিবেশ শহর থেকে গ্রামে বেশি উপভোগ করা যায়। শীতকালে গ্রামে কত আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসে এবং কত রকম পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয়। সত্যিই খুব ভালো লাগে সেই সকল মুহূর্তগুলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,, শীতের অনুভূতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
শহরে শীতের আমেজ না পাওয়া গেলেও গ্রামে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে।শীতকালে গ্রামে গেলে বেশী ভালো লাগে।শহরে আসলে তেমন শীতের আমেজ পাওয়া যায় না।আগে শীত এলেই এক্সাম শেষ হলে দাদা বাড়ি,নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়া হতো। আজকাল গ্রাম ও শহর হয়ে উঠছে।তাই আগের মতো তেমন আর ভালো লাগে না।
হ্যাঁ শীতের মৌসুমের সকালের কুয়াশা ভেজা আবহাওয়া আর শীতের সকালে অনেক রকমের সবজি যেটা শীতের মৌসুমটাকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করাচ্ছে। এই কথা ঠিক বলেছেন যে সারা বছরের কর্মব্যস্ততা শেষে শীতের ছুটিতে একটু বেশি ঘোরাঘুরি করা হয়।
ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে এখন থেকে। কারণ শীতকাল আমাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে। যদিও আমাদের দিকে এখনও গরম লাগছে হালকা, তবে গ্রামের দিকে মনে হয় হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই, শীতকালে গ্রামের মানুষেরা কষ্ট বেশি ভোগ করলেও, তারা শীতকাল সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতে পারে। মজার মজার পিঠা, খেজুরের রস, তাজা শীতকালীন সবজি খেতে পারে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।