প্রস্তুতি চলছে।
আজ - ৪ই, মাঘ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
একটু ঘুম ভাঙলেই মোবাইলটা হাতে নিয়ে মার্কেট প্রাইস দেখেটা আমার বরাবরের অভ্যাস। পুরানো সেই অভ্যাসের বসে সাড়ে ছয়টার দিকে একটু ঘুম ভাঙতেই মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখছিলাম মার্কেটের অবস্থা। স্টিম প্রায় তখন ৩০% আপ যেটি দেখে বেশ বিস্ময়কর হয়ে গেলাম।
সত্যি অনেক দিন ধরে মার্কেটের যে বেহাল অবস্থা চলছে তাতে এই রকম একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা অবশ্যই খুশির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । বর্তমানে ধীরে ধীরে মার্কেটের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে দেখে বেশ ভালো লাগছে। আশা করছি সামনে আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের সকলের জন্য। অবশ্যই আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। এটা আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে কোন না কোন সময় ভালো দিন আসবেই। হতাশ হওয়া চলবে না একদমই।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক আজ অন্য দিনের তুলনায় ঠান্ডাটা একটু কম অনুভব হচ্ছে আর যেটা এক দিক দিয়ে খুবই ভালো বিষয় । আরো কিছুদিন হালকা শীতলময় এই সুন্দর ওয়েদারটা বিরাজ করুক এটাই একান্ত কাম্য। কেননা কিছুদিনের মধ্যেই গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাই চাচ্ছি না আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাক। কেননা এমনিতে সাধারণত গ্রামের বেশি শীত পড়ে তার উপরে যদি আরো শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে তো আনন্দের থেকে ভোগান্তি হয়ে যাবে বেশি।
যাই হোক, বর্তমানে কিছুটা দৌড়াদৌড়ির মধ্যে আছি টুকটুক কিছু শপিং নিয়ে। না! আমার জন্য শপিং নয়। আমি ছেলেমানুষ অতশত শপিংয়ের আমার প্রয়োজন হয় না। একটি শার্ট-প্যান্ট হলেই চলে আমার। তবে প্রায় অনেক বছর পর যেহেতু গ্রামে যাচ্ছি তাই গ্রামে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য টুকটাক কিছু গিফট কিনার জন্য মার্কেটে ছোটাছুটি চলছে। যদিও আমার নিজের জন্য শপিং করাটা মাত্রা ঘন্টা খানিকের ব্যাপার। তবে অন্যের জন্য যেহেতু কিনতে হচ্ছে তাই একটু ভেবেচিন্তে কিনতে হয়। কেননা যাকে গিফট দিব তার পছন্দ হওয়া না হওয়ার একটা ব্যাপার আছে।
যাইহোক, গিফট শুধু পেতে নয় দিতেও বেশ ভালো লাগে। কথায় আছেনা, ভোগে নয়তো ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। এখানেও বিষয়টি ঠিক তাই। গিফট পাওয়ার থেকে গিফট দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ কাজ করে। তবে এখনো সবার জন্য গিফট কেনার শেষ হয়নি। আর কিছু গিফট কেনা বাকি রয়েছে। সব গিফট কেনা শেষে সম্ভব হলে আপনার সাথে গিফট শেয়ার করব।
যাইহোক প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের সাথে এক্সট্রা কিছু কাজে এর কারণে ইদানিং কাজের চাপটা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা ওই যে বললাম গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। গ্রামে যাওয়ার আগে চেষ্টা করছি কিছু কাজ গুছিয়ে রাখার। যাতে ওখানে গিয়ে সমস্যা না হয়। কেননা গ্রামে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। এছাড়া কোথাও বেড়াতে গিয়ে কাজ করাটা আমার আমার দ্বারা হয়ে ওঠেনা । তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে কাজগুলো শেষ করে রাখার।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ভাই শুধু আপনি না। সকালে মার্কেট দেখে তো হাততালি দিতে মন চাচ্ছিল।মনে মনে প্রার্থনা করছি মার্কেট যেন আর ডাউন না হয়।আমার জন্যও একটা গিফট পাঠিয়ে দিন ভাই৷ আপনার গ্রামে যাত্রা শুভ হোক।সবাই গিফট পেয়ে অনেক খুশি হবে আশা করি।
ভাইয়া মার্কেটের কথা কিছু ভাল শুনে ভাল লাগলো। আপনি গ্রামে বেড়াতে যাবেন তাই সবার জন্য কিছু কিছু গিফট কিনতে হচ্ছে আপনার।জেনে খুব ভাল লাগলো। আসলে শুধু কিছু পেতে নয়,দিতেও ভাল লাগে।আপনি শেয়ার করেছেন জেনে ভাল লাগলো। পরবর্তী পোস্টে গিফট শেয়ার করবেন। ঠিক আছে ভাইয়া ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রাইস চেক করা আমারও একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাইস দেখে বেশ ভালো লেগেছে। যাইহোক গ্রামে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে উপহার পেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি উপহার দিতেও ভালো লাগে। যেহেতু অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছেন তাই সবার জন্য উপহার নিয়ে গেলে তারা অনেক খুশি হবে।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন মার্কেটের অবস্থা আপ ডাউন হবে আমাদের হতাশ হলে চলবেনা।আপনি গ্রামে যাচ্ছেন তার জন্য অনেকের জন্য গিফট কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।এটা অনেক ভালো একটি কথা আসলেই ভোগে নয় ত্যগেই সুখ।গিফট পেতে যেমন ভালো লাগে দিতেও ভালো লাগা জরুরি। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে কাজ শেষ করে ফেলায় ভালো।কারণ গ্রামে নেটওয়ার্ক এর অবস্থা সাধারণত ভালো থাকেনা,এটা খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ব্লগটি,ভালো লিখেছেন।