গড় আয়ু ।

কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কয়েকদিন ধরে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সিজনাল ভাইরাস জ্বর, সর্দি, কাশি এই সব। যাকে জিজ্ঞেস করছি সেই বলছে অসুস্থ। মাঝে কিছুদিন যাবত কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এখন আবার বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি এইসব। আমরা পরিবারের মোটামুটি সুস্থ থাকলেও আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই জ্বর কাশিতে আক্রান্ত । সাধারণভাবে দুই মাসের মাঝামাঝি সময় গুলোতে এমন জ্বর সর্দি কাশি বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও এই জ্বর সর্দি কাশি হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হলো ওয়েদার চেঞ্জ। আর এখন যেহেতু রোদ বৃষ্টির খেলা চলছে সব সময় তাই এই গরম ঠান্ডা মিলিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়েপড়ছে।

পরিবারের কেউ যদি কোন ভাবে এই সিজনাল ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে দেখা যায় পরিবারে এক এক করে সকল সদস্যের মধ্যে এই এটি ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রত্যেক বারই হয়েছে আমাদের সাথে। কোনভাবে যদি পরিবারের একজন আক্রান্ত হয় তাহলে দেখা যায় সে ভালো হাওয়ার সাথে সাথে আরেকজনের আক্রান্ত হয়ে যায় এভাবে করে বাসার সকল সদস্যদের আক্রান্ত করে ছাড়ে এ সকল সিজনাল ভাইরাসগুলো।

যাইহোক চারদিকে এই সব পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও এখনো পর্যন্ত আমি এবং আমার পরিবার সুস্থ আছি এটাই সব থেকে বড় ব্যাপার। আসলে আমরা বলি জীবনটাকে উপভোগ করতে অনেক কিছু প্রয়োজন।কিন্তু এটি ভুল আমার মতে, জীবনটা উপভোগ করতে হলে আমাদের সবার প্রথমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া জরুরী। কেননা যখন আমরা সুস্থ থাকবো তখনই একমাত্র আমরা জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবো। অসুস্থ ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সব ধন-সম্পদ ঐশ্বর্য নিয়ে এসে তার সামনে হাজির করলেও সে এইসবে কোন আনন্দই খুঁজে পাবে না। তার এসব ধন সম্পদ তার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

কিন্তু সব থেকে বড় কথা হয়েছে আমরা কয়জনেই বা আমাদের সুস্থতা সম্পর্কে সচেতন? আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর যে জুলুম করতে থাকি তা হয়তো আমরা নিজেও বলতে পারি না।

যেমন গভীর রাতে ঘুমানো খুব দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, জিব্বার স্বাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর সব খাবার খাওয়া , এছাড়া আরো কত শত অনিয়ম যে অনিয়মগুলো আমরা করতে করতে একটি নিয়মে পরিণত করে ফেলেছি।

আমরা জানি যে এই সকল বিষয়গুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা প্রতিনিয়ত এই সকল কাজগুলো করি। অনিয়মিত কাজগুলো আমরা নিয়মিত করার মাধ্যমে আমাদের শরীর যে কতটা ভঙ্গর হতে শুরু করেছে তা আমরা হয়তো আগামী দিনগুলোতে জানতে পারবো। আমরা শিক্ষিত আমরা বুঝতে পারি কোনটি আমাদের জন্য ভালো আর কোনটি আমাদের জন্য মন্দ তারপরও আমরা আমাদের কষ্ট হবে জেনে ভালো কাজগুলো বাদ দিয়ে সহজ কাজের দিকে ছুটে চলছি।

আগেকার মানুষদের কথাই ভেবে দেখুন না কেন, তারা এই যুগের মত এতটা শিক্ষিত, এতটা প্রযুক্তির মধ্যে ছিল না তারপরেও তারা আমাদের থেকে আরো অনেক বেশি স্ট্রং এবং পরিশ্রমী ছিল। তাদের গড় আয়ু যেখানে ছিল ১০০ বছর আর সেখানে এখন আমাদের গড় আয়ু হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ বছর। আমাদের গড় আয়ু ছোট হতে হতে তখনকার যুগের অর্ধেক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত দিন যাচ্ছে যতই যেন মানুষের গড় আয়ু কমতে শুরু করেছে। এক সময় যেখানে এক বৃদ্ধ তার তিন প্রজন্মের স্বাক্ষী হতো এখন সেখানে মানুষ তার পরবর্তী প্রজন্মের মুখ দেখতে পারে কয়েকজন সৌভাগ্য মাত্র। অর্থাৎ যেখানে মানুষ তার নাতি কিংবা নাতনির ছেলে মেয়ে পর্যন্ত দেখতে পেত আর সেখানে এখন মানুষের আয়ু এত কমে গিয়েছে যে নাতি কিংবা নাতনির মুখটা পর্যন্ত দেখে যাওয়া সে সুযোগ হয়ে ওঠে না।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy