বৃষ্টি বাদল।
আজ - ৭ই, চৈত্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
এই কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে আমাদের এদিকের ওয়েদারটা একেবারে ঠান্ডা হয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন আবার শীতকাল ফিরে এসেছে। পানি গুলো একেবারে বরফের মত ঠান্ডা। যা হাত দিলে ঘা শিউরে ওঠে।
মানুষটা আমি এমনিতেই অনেক অলস তার ওপরে এ ওয়েদারটা যেন আমাকে আর অলস বানিয়ে দিয়েছে। সত্যিই কোন কাজে মন বসছে না ইচ্ছে করছে সারাদিন কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে। আসলেই বৃষ্টি বাদলের এই সময়গুলোতে মানুষকে একেবারেই অলস করে দেয়। যেটা একদমই বাস্তব।
আর এমন পরিবেশে হাতে পপকর্ন নিয়ে শুয়ে শুয়ে মুভি দেখতে বেশ মজাই লাগে। যদিও আমার এখন আর সেই সুযোগটি নেই কেননা হাতে প্রচন্ড কাজ। যদি হাতে খুব বেশি সময় থাকতো তাহলে এই সময়টাতে মুভি দেখার মতো একটি সুন্দর ওয়েদার ছিল ।
যাইহোক, বর্ষার এই সময় গুলো উপভোগ্য হলেও মাঝে মাঝে খুবই বিরক্ত লাগে কেননা বৃষ্টিপাতের সময় চাইলে খুব একটা বাইরে বের হওয়া যায় না। আর তাই তখন এক প্রকার ঘরেই বন্দী জীবন পার করতে হয়।
যাই হোক, সকাল থেকে বাসায় ইলেকট্রিসিটি নেই। যার কারণে মোবাইল ল্যাপটপ কোন কিছুতে চার্জ নেই। আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না ক্রমশ আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই সঠিকভাবেও বলতে পারছি না যে আজ আদৌ ইলেকট্রিসিটি আসবে কিনা। ওয়েদারের এমন খারাপ পরিস্থিতির কারণেই ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর যতক্ষণ না ওয়েদার ভালো হয় ততক্ষণ হয়তো ইলেকট্রিসিটি আসবেনা।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি অনেকটা বেলা করে। আসলে এমন ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ বেশি করে ঘুম পায়। যাহোক, ঘুম থেকে উঠে ব্রাশটা মুখে নিয়েই চলে গেলাম বারান্দায়। রাতে ও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল বিধায় পুরা বারান্দাটা একেবারে ভিজে ভিজে হয়ে আছে । এবং বারান্দার গিরিলগুলোতে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে। আর বারান্দার গ্রিলে এই রকম পানির ফোটাগুলো জমে থাকলে আমার ওগুলা হাত দিয়ে ধরতে বেশ ভালো লাগে।
আর মোবাইলটা হাতে নিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি। যদিও তখনও পর্যন্ত একটু একটু বৃষ্টি পড়ছিল এবং মোবাইলে পানির ফোটা পড়ছিল। আর আচমকা হাওয়া দিচ্ছিল যার কারণে বৃষ্টির পানি এসে গা ভিজে যাচ্ছিল। আর এমন পরিস্থিতিতে পুরো গা শিউরে উঠছিল । তারপরও কিন্তু বেশ ভালো লাগছিল।
বৃষ্টি পড়লেও তো মানুষের কর্মজীবনের ছুটি নেই। তাই সকলেই ছুটছে তার কর্মজীবনের পেছনে। কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে আবার কেউ বা রিকশায় চড়ে ছুটে চলছে নিজের গন্তব্যে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বৃষ্টিময় দিনে অসল সময় দারুণ ভাবে কেটে যায়, যদি সিনেমা দেখা যায়,পরিবারের সাথে লুডু খেলা যায়।তবে ইলেকট্রিসিটি না থাকায় সিনেমা দেখা মিস করেছেন। বৃষ্টি দিনের সুন্দর অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়।আর ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
হ্যাঁ সব জায়গাতে কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এখানেও বৃষ্টি হয়েছে ভাই। তাছাড়া এই ঠান্ডা শীতল দিনে আবার মনে হচ্ছে শীতের মৌসুম চলে এসেছে সত্যি। এই দিনগুলো যেমন অনেক সুন্দর আবার অনেক কষ্টের মুহূর্ত ডেকে আনে মেঘের গর্জন আবহাওয়া খারাপ সত্যি মাঝে মাঝে এগুলো ভাবায়।
গত দুইদিন আমাদের এখানে হালকা হালকা বৃষ্টি ছিল কিন্তু আজকে কোন বৃষ্টি নেই। আর আকাশটাও যেন একেবারে ক্লিয়ার হয়ে আছে। আর হ্যাঁ একটা কথা কিন্তু ঠিক বলেছেন জোরে জোরে মেঘ ডাকলে এমনিতেই অনেক ভয় করে। কারণ মনে হয় কখন যে কি হয়ে যাবে এই বুঝি আকাশ ভেঙ্গে পরল। তবে এই বৃষ্টির দিনে সব থেকে যেটা ভালো লাগে আমার কাছে সেটা হচ্ছে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা। আমার মনে হয় এটা শুধু আমার না সকলেরই প্রায় ভালো লাগে। যাইহোক ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আসলে অসময়ে এমন বর্ষাকালের মত বৃষ্টি আমাদেরকে কিছুটা ভয়ে সৃষ্টি করাচ্ছে। তবে আমাদের এদিকে ইলেক্ট্রিসিটি খুব বেশি সমস্যা করছে না এখনো। আসলেই বৃষ্টি বাদলের এমন দিনে কাঁথা মুড়য়ে পছন্দের গরম গরম খাবার গুলো খেতে আর মুভি দেখতে খুবই ভালো লাগে। যদিও এখন সেই সময় হয়ে ওঠেনা কর্মব্যস্ততার কারণে। তবে কিছুটা হলেও উপভোগ করা হচ্ছে।
জি ভাইয়া এরকম ঠান্ডা পরিবেশে অনেক ঘুম ঘুম লাগে। তবে এরকম একটানা বৃষ্টির ফলে স্বল্প আয়ের মানুষদের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর সময় থাকলে এরকম বৃষ্টির দিনে মুভি দেখার মুহূর্তটুকু খুবই উপভোগ্য হয়। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ।