কাঁকড়া অভিযান ।
আজ - ৩০শে জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
গ্রামে ওই অল্প কিছু সময় থাকলেও প্রতিটা দিনই বেশ মজা এবং উপভোগ করেছি। আমাদের বাড়ির ঠিক পাশেই পন্ডিতের হাট নামে একটি জায়গা আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ওই জায়গাটিতে একটি হাট বসে। একদিন হঠাৎ ইচ্ছা হলো গ্রামের ভাই ব্রাদার নিয়ে গ্রামের ওই হাট থেকে হেঁটে আসার। এমনেও গ্রামের হাট দেখা হয় না বেশ কয়েক বছর হল। তো যে ভাবা সে কাজ, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমরা চলে গেলাম হাটে। এবারের হাটে বেশি কিছু উঠে নাই কেননা তখন সাগরে মাছ ধরার একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। মা ইংলিশ সংরক্ষণে সরকার প্রায় ৬৫ দিনের একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওই সময়টাতে এই নিষেধাজ্ঞা ছিল বিধায় সাগরে সচরাচর জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারত না। তাই বাজারে খুব বেশি সাগরের মাছ উঠেনি ।
তবে হাটের মধ্যে শুধু যে মাছ বাজার রয়েছে তা কিন্তু নয়। ফ্রেশ ফ্রেশ শাকসবজি থেকে শুরু করি আমাদের অঞ্চলের বিখ্যাত মহিষের দই এছাড়াও গৃহস্থদের টুকটাক ফল উঠেছিল। এসব ফলগুলো খুবই ফ্রেশ এখন অর্গানিক ছিল। তাই আমার পছন্দের কিছু ফল এবং সবজি কিনে নিলাম।
কিন্তু হাটে এত সকল জিনিসের মধ্যেও একটি জিনিস দেখলে আমার লোভ লেগে গেল আর সেটি হচ্ছে কাকড়া। শেষ কবে যে কাকড়া খেয়েছি তা আমার সত্যিই মনে নেই। আর এই হাটের কাঁকড়া গুলো ছিল অনেক বড় বড়। দামেও দামে অবিশ্বাস্য রকমের সস্তা। বেশ বড় বড় এই কাকড়া গুলোর দাম ছিল প্রতি পিস ১৫ টাকা করে। অন্য জায়গায় হলে এই কাঁকড়া গুলোর দাম মিনিমাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হতো।
যাইহোক অনেকদিন পর চোখের সামনে এমন বড় বড় কাঁকড়া দেখে কিছু কাঁকড়া কিনে নিলাম। কাঁকড়া নিয়ে এরপর আরো বেশ কিছুক্ষণ হাটে ঘোরাফেরা করলাম এবং আমাদের অঞ্চলের সব থেকে বিখ্যাত একটি মিষ্টি যেটির নাম " বিনাশার মিষ্টি " ওই মিষ্টিটি খেলাম সকল ভাই ব্রাদার্স মিলে । মিষ্টির সাথে ছিল গরম গরম পরোটা। সত্যি অমৃতের মত লাগছিল এই পরোটার সাথে মিষ্টিটা দিয়ে খেতে।
হাতে কিছু পরিচিত লোকের দেখা পেলাম তাদের সাথে গল্প আড্ডা মেরে প্রায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমরা আবার বাড়ি ফিরে আসি। এবার আমাদের পালা কাঁকড়া রান্না করার। আমরা ঠিক করলাম ছেলে সদস্যরাই সকলকে কাঁকড়া রান্না করে খাওয়াবো। যদি ও আমি এই রান্নার আগামাথা কিছুই জানি না, সবকিছু তারাই করেছে আমি শুধুমাত্র লাইটটা ধরে রাখার এই কাজটি করেছি। হি হি। আসলে এই মুহূর্তে কারেন্ট ছিলনা।
কাকড়া কাটা, এরপর ওই রাত্রিবেলা আবার পুকুরে গিয়ে কাঁকড়া ধোয়া এরপর লারকির চুলাতে এই কাকড়া রান্না করা। এসব কিছুই করেছে আমাদের ছেলের সদস্যরা। রান্নাবান্নার শেষে আমাদের আমাদের সেকাঙ্ক্ষিত কাকড়া খাওয়ার পালা। সত্যি কাঁকড়াটা খেতে যে পরিমাণ মজা হয়েছিল যা বলে প্রকাশ করার মতো না। আর সকলে মিলে বেশ মজা করে এই কাকড়া খেয়েছি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
অনেকদিন পর তাহলে গ্রামের বাসায় গিয়েছিলেন যদিও বেশি দিন থাকতে পারে নি তবে যতটুকু সময় থেকেছেন খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যেটা আপনার এই পোস্ট করেই বুঝলাম। কক্সবাজার গিয়ে কাকড়া খেয়েছিলাম তারপর থেকে আর কখনোই খাওয়া হয়নি তবে আপনার এই কাকড়া খাওয়ার মুহূর্তের গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে আরো একবার খাই। বাজারে গিয়ে কাকড়া কিনে নিয়ে এসে রান্না করে খেয়েছেন দিনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার কাকড়া খাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে গ্রামে গিয়ে এ ধরনের খাবার গুলো খাওয়ার মধ্যে খুবই আনন্দ রয়েছে। যদিও আমি কখনো এ ধরনের খাবার খাইনি। কিংবা এ ধরনের খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও আমার নেই। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।