ব্যস্ততা।

কয়েকদিন ধরে খুবই ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে আমার। ঘুম থেকে উঠে ঘুমানো পর্যন্ত সারাটা সময় কাটছে আমার কম্পিউটারের সামনে। আসলে কয়েকদিন ধরে স্টিম ডেভেলপমেন্ট এর কিছু বিষয় নিয়ে এনালাইসিস এবং একটি প্রোগ্রাম তৈরিতে ব্যস্ত আছি। সারাদিন এই সকল কাজগুলো করার মধ্যে দিয়ে কিভাবে যে দিনটা শুরু হয় আর কবে যে শেষ হয় তা বুঝতেই পারিনা। যারা এই সকল প্রোগ্রামিং কাজগুলো সাথে জড়িত তারা নিশ্চয় জেনে থাকবেন এ সকল কাজগুলো করার পেছনে কতটা সময় এবং ধৈর্য ব্যয় করতে হয়। আমি যেহেতু এই প্রফেশনের তাই এ সকল কাজগুলো করার পিছনে সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হলেও কাজগুলো করতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। তবে সত্যি বলতে প্রচুর সময় দিতে হয় সকল কাজগুলোতে।

যাইহোক, ব্যস্ততার এই মুহূর্তগুলোতে মাঝে মাঝে মনে হয় দিনটা কেন এত ছোট। এত তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে যায়। দিনটা যদি ২৪ ঘন্টা না হয় যদি ৪৮ ঘণ্টা হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। আর এই সকল সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের প্রয়োজন এ কাজগুলো খুব সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারতাম। তবে সেটি তো কখনোই সম্ভব নয় প্রকৃতি প্রকৃতির নিয়মে চলবে আর এটাই স্বাভাবিক।

যাইহোক ব্যস্ততার কারণে হয়তো খুব বেশি সময় দিতে পারছি না অন্যান্য কাজগুলোতে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই আশা করছি এই কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে। এবং তখন এ ব্যস্ততাটা অনেকটাই কেটে যাবে। তবে যে যাই বলুক না কেন, আমি মনে করি ব্যস্ততা হয়েছে আমাদের জীবনের একটা অংশ। জীবনের সাথে ব্যস্ততা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর ব্যস্ততাময় জীবনটাই আসলে সুন্দর।

যাই হোক, শীতের তীব্রতা দিন দিন বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন চার দিন যাবত চারপাশ প্রচন্ড কুয়াশা আচ্ছন্ন ছিল। বাহিরে একদমই বের হওয়া যায় ছিল না প্রচন্ড ঠান্ডায়। বাহিরে রোদ ছিল না একদমই। মধ্য দুপুর হয়ে গেল ও মনে হচ্ছিল তখনও বুঝি ভোর। সূর্যি মামা উঠবে উঠবে করে তখনো পর্যন্ত ওঠেনি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল এই কয়েকদিনের কুয়াশাই। তবে আজ বেশ অনেকদিন পর কটকটে রোদ উঠেছে বাহিরে। খুবই ভালো লাগছে আজকের ওয়েদারটা। শীতকালের রোদটা কিন্তু সত্যিই দারুণ। গোসল করে এসে এই রোদে বসে গা গরম কিন্তু দারুন লাগে। তবে এটি যদি হতো গ্রীষ্মের রোদ তাহলে সেটি হতে একটি বিরক্তিকর বিষয়।

যাইহোক, দেখা যাক কয়দিনই বা এই এ ওয়েদারটা বিরাজ করে। তবে আশা করা যায় এই মাসটা শেষ হলেই শীতের তীব্রতাটা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। তবে সত্যি বলতে গত দুই এক বছরের তুলনায় এবার শীতের মাত্রাটা অনেকটাই বেশি। শীতের শুরুতে শীত খুব ভালোভাবে পরিলক্ষিত না হলেও কিছুদিনের মধ্যে এই শীতের তীব্রতা টা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যদিও শহরে চার দেওয়ালের মাঝে কোন মতে ধামাচাপা দিয়ে শীত আটকানো গেলেও গ্রামের শীতের মাত্রাটা কোনভাবে আটকানো সম্ভব না। শীতের এই মুহূর্তগুলোতে গ্রামের মানুষগুলোর প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

যাই হোক আজ এর পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy