পুরনো সেই সময় গুলো।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আজ- ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000057030.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বেশ কিছুদিন হল ঈদের লম্বা ছুটি শেষে সবকিছু এখন আবার নিজ গতিতে ফিরে এসেছে। আবারো মানুষ নিজ নিজ কর্মকান্ডে ঢুকে পড়েছে স্কুল কলেজগুলো খুলে গিয়েছে এবং কর্মক্ষেত্র গুলোর ও কাজ শুরু হয়েছে পুরো দমে। তাছাড়া আজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা ও শুরু হল। ছাত্র জীবনের প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হলো এই মাধ্যমিক পরীক্ষা। স্টুডেন্টদের সাথে সাথে পরিবারের এবং আত্মীয়-স্বজনদেরও এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে বিপুল আগ্রহ এবং উদ্দীপনা।

এই পরীক্ষাটিকে ছাত্রজীবনের জীবনের প্রথম ধাপ বলা চলে এটিকে। ভালো একটি ফলাফল ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠন করতে সাহায্য করে। তবে অসন্তোষজনক ফলাফল যে মানুষকে তার নিজ জীবন থেকে অনেকটা পিছিয়ে দিবে ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয়। পরীক্ষার ফলাফল এটি আমাদের জীবনের সব সময় কাজে আসে না। বরং আমাদের নিজেদের জ্ঞান এবং প্রকৃত শিক্ষা টাই আমাদের জীবনের সবথেকে বেশি কাজে আসে।

আমাদের সমাজে এমন এমন সব ঘটনা আমরা প্রায় দেখতে পাই যে, পরীক্ষায় খারাপ করায় পরিবারের সম্মানবোধের কারণে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে। তাদের মনে শুধু একটাই চিন্তা থাকে সমাজে কিভাবে দাঁড়াবে । তার পরিবারকে সে কি জবাব দেবে আর সেই ভয়ে সে জীবনের সবথেকে জঘন্যতম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ফলাফল খারাপ হয়েছে এই ভয়ে পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের কুটু কথা শুনতে হবে সে কারণে অনেক অবুঝ স্টুডেন্টরাও তাদের মূল্যবান জীবনটাও দিতে দ্বিধাবোধ করে না। আর এই সকল অপ্রিতিকর ঘটনা গুলো যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার দেখতে পায় তখন আসলেই অনেক খারাপ লাগে।

আমি আমার জীবনের সে অনেকগুলো বছর আগে পেরিয়ে আসার সেই সময় গুলো নিয়ে যখন ভাবই তখন আসলে নিজের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তখন আমার সাথে সাথে যেন আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে ব্যস্ত। আমার পড়াশোনা আমার যত্ন যেন কোন অংশে কম না হয় সে ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকতে না আমার আম্মু। পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে যাব কিংবা শরীর খারাপ হবে সেই ভয়ে ভয়ে একদম নিয়মমাফিক চালাতেন। দিন 5 থেকে 7 ঘন্টা করে পড়া এই যেন এক ডেইলি রুটিন হয়ে উঠেছিল পরীক্ষার আগের ওই সময় গুলোর জন্য। এছাড়া পরীক্ষা দিব সেই জন্য বকশিশ তো আছেই। নানা, মামা খালা, ফুপি, চাচা সবার থেকে বকিস সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা উপার্জন হতো। এরপর পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে কৌতুহল প্রশ্নোত্তর মিলানো। আহা!! সেই সব স্মৃতি যেন এখনো চোখে ভাসে।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 5 months ago 

আপনার ব্লগটি পড়তে পড়তে আমার নিজেরও পরীক্ষা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যিই আমাদের সময় পরীক্ষার একটা আলাদাই আমেজ ছিল। তবে আনন্দও ছিল সব সময় ভাবতাম যা পড়লাম তার পুরোটা কিভাবে লিখতে পারবো। আর পরীক্ষা শেষের পর ফলাফলের জন্য তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার ব্লগটা পড়ে।

 5 months ago 

এরপর পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে কৌতুহল প্রশ্নোত্তর মিলানো।

এটা আমি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় এসে প্রায়ই করতাম এবং ভুল হলে অনেক আফসোস করতাম হা হা হা। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় সবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে যেতাম। সেই স্মৃতি গুলো মনে পড়লে আসলেই খুব ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.033
BTC 116103.16
ETH 4517.84
SBD 0.85