মেলায় ঘুরাঘুরির ২য় পর্ব।
আজ - ১৯ই, মাঘ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

মেলায় ঘুরতে ঘুরতে যখন মেলার কিছুটা ভিতর দিকে প্রবেশ করলাম তখন শুনতে পেলাম কিছু চিৎকার চেঁচামেচি । আমি প্রথমদিকে ভেবেছিলাম এটি হয়তো ভূতের বাড়ি মানুষদের ভয় দেখানোর জন্য কোন রেকর্ড বাজানো হচ্ছে । পরবর্তীতে ওখানে কাছে গিয়ে দেখি একদমই অপ্রত্যাশিত কিছু ।
দোলনা নৌকা তে উঠা মানুষগুলোই এ ধরনের চিৎকার করছে। মেলাতে একটি দোলনা নৌকা রয়েছে আর এখানে যারাই উঠে তারা প্রচন্ড ভয়ে চেঁচাতে থাকে। সত্যি বলতে খুবই ভয়ংকর এই দোলনা নৌকাটি। কোন বাচ্চাদেরই এই দোলনা নৌকাতে উঠা একদমই উচিত নয়। কেননা বাচ্চাদের জন্য এটি খুবই বিপদজনক। এবং এখানে যে কোন সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বাচ্চাদের ছাড়াও আমি মনে করি হার্ট দুর্বল মানুষদের জন্য ও এটি বিপদজনক।
যাইহোক ওই সময় দোলনা নৌকাতে যারা উঠেছিল তাদের চিৎকার চেঁচামেচি দেখে আমার ওই ছোট্ট কাজিনটি প্রচন্ড হাসছিল আর হাততালি দিচ্ছিল। সে মনে করেছিল তারা বুঝি মজা করছে ওখানে।
মেলায় বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য আরো অনেক কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন ওয়াটার বেলুন, স্লিপার, নাগরদোলা, ভূতের বাড়ি, দোলনা, রেলগাড়ি ।
এই বেলুন ফাটানোর গেম টা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। মেলায় গেলে আমি সবসময় এই গেমটা ট্রাই করি। যদি ও আমি খুব একটা বেলুন ফাটাতে পারি না তারপরও বেশ ভালো লাগে। আমি এখানে দশটা গুলির মধ্যে মাত্র চারটা বেলুন ফাটাতে পেরেছি। এটি সত্যিই খুব লজ্জাজনক। হা হা!
মেলায় অতি পরিচিত একটি স্টল হচ্ছে এই ধরনের স্ন্যাকস আইটেমের স্টল। এই স্টাইলটি তে চিপস, চকলেট, আচার এবং শাম পাপড়ি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এই স্টলটিতে আমার আমার খুবই পছন্দের একটা আইটেম হচ্ছে তিলের টফি। যেকোনো মেলায় গেলে প্রতিবার আমার এই জিনিসটি কেনা হয়।
মেলায় সব থেকে মানুষের ভিড় হচ্ছে এই আসবাবপত্র জনিত স্টল গুলোতে। এই স্টল গুলোতে প্রত্যেকটির দ্রব্যমূল্যের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। প্রায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসই এখানে পাওয়া যায়।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে মেলায় ঘোরাঘুরি পর প্রচন্ড খিদা লেগেছিল তাই আমরা খাওয়ার জন্য মেলা থেকে বাহিরে বেরিয়ে আসি। যদিও মেলার ভিতরে অনেক খাবার স্টল রয়েছে। তবে সেখানের খাবারের মান এবং দাম সাশ্রয়ী না হওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেলার বাহিরে গিয়ে খাওয়ার।
যাই হোক ,মেলা থেকে বেরিয়ে সামনে কিছুটা হাটার পর, আমরা একটি রেস্টুরেন্টে পেয়ে যায়। এবং ওখানে আমাদের খাওয়া দাওয়ার পর্বটি সেরে নিই। এবং রাত ০৮:০০ টার মধ্যেই আমরা বাড়ি ফিরে আসি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
গত পর্বে মেলায় প্রবেশের কিছু মুহূর্ত আপনি শেয়ার করেছিলেন। আর আজকে আবার এত সুন্দর করে প্রত্যেকটি ছবির মাধ্যমে মেলার দৃশ্য গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বাণিজ্য মেলাগুলোতে যেতে বেশ ভালই লাগে। চট্টগ্রামের যে বাণিজ্য মেলা হত সেখানে যাওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে চট্টগ্রামে তেমন একটা যাওয়া হয় না তাই বাণিজ্য মেলায় ঘুরাও হয়ে ওঠে না। যাইহোক নাগরদোলায় প্রথম যেদিন আমি উঠেছিলাম তখন আমার খুবই ভয় লেগেছিল। আর তারপর থেকে নাগরদোলা অথবা নৌকায় আমি উঠি না। আর এখন তো তেমন যাইও না উঠবো আর কিভাবে। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো পুরো পোস্ট দেখতে পেরে।
মেলার দৃশ্যগুলো বেশ ভালো লেগেছে আর বিশেষ করে ছোটবেলায় মেলায় ঘোরাঘুরি করার মজাটা বেশি ছিল তবে এখন সেই মজার আসে না কারণ আগের থেকে অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছি। তবে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি পড়ার পরে রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে খাওয়া-দাওয়া করেছেন সেটা আমরা নজরে পড়েছে 😜 খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল ভাইয়া।
আপনার মেলায় ঘোরাঘুরি করার প্রথম পর্বটা আমি পড়িনি তবে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। পড়ে বুঝতে পারলাম মেলায় আপনি খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলেন। আর হ্যাঁ এইসব মেলাতে এমন কিছু রাইড থাকে যেগুলো আসলেই খুবই বিপদজনক। বিশেষ করে এগুলো বাচ্চাদের জন্য ও হার্ট দুর্বলদের জন্য বেশি বিপদজনক। যাইহোক আপনি বেলুন ফাটানো গেম খেলে দশটার মধ্যে চারটা বেলুন ফাটাতে পেরেছেন জেনে ভালোই লাগলো। আসলে এগুলোতে আমরা অভ্যস্ত নয় তাই যে কয়টা পারি ওই কটাই অনেক আনন্দ লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মেলায় ঘোরাঘুরি করার এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
মেলায় ঘোরাঘুরি করার প্রথম ব্লগটি আমার পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। মেলাতে অনেক ধরনের রাইড থাকে যা সবার জন্য আসলে নয় বিশেষ করে বাচ্চাদের। কিন্তু আমার খুব ভাল লাগে। আপনার মেলায় ঘোরার গল্প পড়ে মনে হচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ফেরার পথে আবার মজার কিছু খাবারও খেয়েছেন দেখে বেশ ভাল লাগলো।