কিছু সৎ ব্যবসায়ী প্রয়োজন মূল্যের বৃদ্ধি ঠেকাতে। ।
আজ- ৮ই পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আরো বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ঘটনা হঠাৎ করেই চোখে পড়ল। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি বাজারে দেখলাম একজন লোক যেখানে এক হাজার থেকে নয়শত টাকা কিলো দরে গরুর মাংস সাধারণত বিক্রি হয়ে আসছে সেখানে মাত্র ৫৯৯ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করে খলিল নামের একজন ব্যবসায়ী একেবারে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তার এমনই উদ্যোগে কিছু মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন কিছু মানুষ সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন আবার কিছু মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাদের মতে এত কম দামে আদৌ কি সঠিক জিনিসটি দেওয়া হচ্ছে নাকি সবটাই ধোঁকাবাজি। তবে ভোক্তা অধিদপ্তর এর লোক এসে বিষয়টি তদন্ত করে এই বিষয়টি নিশ্চয়তা প্রধান করেন। এবং তারাও খলিলকে বেশ উৎসাহিত করেন এমন একটি কর্মকান্ডের জন্য। খলিলকে প্রশ্ন করা হল এত কমে কিভাবে তিনি মাংস দিচ্ছে সে বিষয়ে। তিনি জানান এটা অসাধ্য কোন কাজ না। এখানে তার কোন লস হচ্ছে না তবে এটা ঠিক যে লাভ এর পরিমাণ কম। তাহলে আপনারাই ভাবুন যে কতটুকু দাম বাড়িয়ে সাধারণভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। খলিল জানাই কম লাভে বিক্রি হলেও তাতেও তার কোন কিছু এসে যায় না। কারণ সে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই সিন্ডিকেট টাকে ভঙ্গ করতে চাই।
এমনিতে সাধারণভাবে যেকোনো জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তবে এর মধ্যে এক দল ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূলের আরো কয়েক গুন হারে বৃদ্ধি করে দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এ দামগুলো ধরাছোঁয়ার বাহিরে হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি নিজ উদ্যোগে কম দামে মাংস বিক্রয় করার পরিকল্পনা করেছেন। খলিলের এই সৎ উদ্দেশ্যের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই বেশি দরে মাংস বিক্রি করা ওই মধ্যস্থ ব্যবসায়ীগুলো তাই তারা বারবার তাকে দাবানোর চেষ্টা করছে।
আসলে এভাবেই যদি ব্যবসায়ীরা নিজেদের সৎ সাহস এবং সৎ চিন্তার মাধ্যমে এগিয়ে আসতো তাহলে এই মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটটা ভেঙে যেত । আমরা যে কোন জিনিস যেই দামে কিনে থাকি প্রান্তিক কৃষকরা অর্থাৎ যারা উৎপাদন করে তারা কিন্তু ওই দামটি কখনোই পাইনা। শুধুমাত্র মাঝে দিয়ে কিছু ব্যবসায়ী লাভবান হয় আর প্রত্যেকটা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিছুদিন আগেও হঠাৎ করে পেঁয়াজের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা নিতান্তই একটি সিন্ডিকেটের চক্করে পরে হয়েছে। তারা চেয়েছিল বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধি করে নেওয়া আর এটাতেই তাদের সাকসেস। তারা কিন্তু ঠিকই কাজটি করে নিয়েছে। আর এভাবেই যদি হতে থাকে সবসময় তাহলে সাধারণ মানুষের না খেয়ে মরতে হবে।
যাইহোক সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই, দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি কিছু মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কিছু সৎ ব্যবসায়ীর প্রয়োজন। যারা এই খলিলের মত এগিয়ে আসবে। আর আমাদের উচিত এ সকল সৎ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ভিন্ন কোন আলোচনায় ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এটা একদমই ঠিক লোভী ব্যবসায়ীরা অধিক লাভে কিন্তু মাংস বা বাকি সবকিছু বিক্রি করে।এক্ষেত্রে মধ্যস্ত ব্যবসায়ীরা অধিক লাভবান হয়। যাইহোক খলিল মিয়ার মত লোকেরা যদি প্রতিটি সেক্টরে এভাবে কাজ করে যায় তাহলে হয়তোবা এমন সিন্ডিকেট ঠেকানো যাবে। সাধারণ মানুষ একটু নিশ্চিন্তে বাঁচতে পারবে।
আসলেই তাই ভাই। কিছু নির্দিষ্ট অসাধু ব্যক্তির হাতেই সবকিছু মুষ্ঠিগত হয়ে আছে। তাদের জন্যই আজ জনসাধারণের এত ভোগান্তি। সবাই শুধু নিজের লাভের অংশটুকুই বোঝে এবং খোঁজে। আমরা স্বভাবতই লোভী প্রকৃতির। এর ফলে যে ধীরে ধীরে সবকিছুই হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তা সেই মানুষগুলো বুঝেও বুঝতে পারছে না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
হুম ভাইয়া খলিল সাহেবের মাংসের দোকানটি আমাদের এলাকায়। বেশ ভিড় হয় তার দোকানে। আর আমাদের এলাকার মধ্যে খলিল ভাইয়ের মাংসের দোকানের বেশ সুনাম ও আছে। অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানের জন্য তার দোকান হতেই মাংস কেনা হয়। তবে খলিল ভাইয়ের এমন একটি উদ্যোগকে আমিও সাধুবাদ জানাই। আশা করি খলিল ভাইয়ের মত করে আরও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে এদেশের দ্রব্য মূল্য অনেক কমে আসবে।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য কিছু সৎ ব্যবসায়ীর খুবই প্রয়োজন। যেমনটা আমরা ব্যবসায়ী খলিলকে দেখেছি সে সমস্ত রকমের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে, বর্তমান সময়ে আমার এটাই মনে হয় যে কিছু কিছু সিন্ডিকেট সব কিছুর দাম দ্বিগুণ করে দিচ্ছে কিন্তু বাস্তবিকভাবে সকল কিছুই মজুদ করে রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগে পেঁয়াজের যে ঊর্ধ্বগতিটা হয়েছিল এটা মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই হয়েছিল বলে আমার ধারণা। আসলে এরকম কিছু ব্যবসায়ীর খুবই দরকার যারা সমস্ত রকমের সিন্ডিকেট ভেঙে চুড়ে তছনছ করে দেবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই ব্যবসায়ীরা যদি এরকম সৎ হত তাহলে সাধারণ মানুষের জনজীবনের দুর্ভোগটা আরো কমে যেত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম আরো কমে যেত। হ্যাঁ সাম্প্রতিক এই সংবাদটা যেন পুরো ঢাকা শহরের মাংসের দাম কমে যেতে সাহায্য করেছে।
আসলেই ঘটনাটি আমিও শুনেছি। এখানে দেখা যায় একজন ব্যবসায়ীর উদ্যোগে অনেক কিছুই হয়ে গেছে। যদি এভাবে আরও কিছু সৎ ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসতো এবং সব মানুষ তাদেরকে সাপোর্ট করতো তাহলে হয়তো বা এ ধরনের সিন্ডিকেটগুলো আর হতো না। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য।
বর্তমানে বিশ্বের সব দেশে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ছে, তবে বাংলাদেশে অতিরিক্ত বেড়েছে প্রতিটি দ্রব্য মূল্যের দাম। এর কারণ একটাই,সেটা হচ্ছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট এর কারণে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পায় না এবং আমাদেরকে চড়া দামে সবকিছু কিনতে হচ্ছে। খলিলের মতো এমন সৎ ব্যবসায়ী প্রতিটি জায়গায় দরকার। যাতে করে সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।