গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
আজ- ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিয়ত এত তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনের কারণ হিসেবে কিন্তু আমরাই দায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণ পরিবেশ দূষণ। মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি নিয়ে আমাদের পরিবেশ গঠিত আর এই সকল পরিবেশ যখন প্রতিনিয়ত নানাভাবে দূষিত হতে থাকে তখন এর প্রভাব কিন্তু আমাদের উপরে এসে পড়ে। প্রকৃতিকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই দূষণ কমাতে হবে। কিন্তু আমরা এই সকল দিক দিয়ে কোন সচেতনতা অবলম্বন করি না।
পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও একটি মূল কারণ হচ্ছে গাছপালার সংখ্যা কমে যাওয়া। দিন দিন পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ছে ফলে তৈরি হচ্ছে ভূমি সংকটের। বিশেষ করে আমাদের দেশের মতো আয়তনের তুলনায় বেশি জনসংখ্যা বহুল দেশগুলোতে এই সমস্যাটা সবথেকে বেশি পড়তে হয়। বেশি মানুষ মানেই বেশি বাসস্থান আর বেশি বাসস্থান মানে অধিক পরিমাণ সমতল ভূমির প্রয়োজন। আর এই সমতল ভূমি গঠনে জঙ্গল কেটে সেখানে বাসতি স্থাপন করা গড়ে উঠছে। আর এর কারনে গাছপালা সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করেছে এবং বন জঙ্গল বিলুপ্ত হতে শুরু করেছে।ফলস্বরূপ নেমে আসছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়ন।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলতে সাধারণত বোঝায় ধীরে ধীরে পৃথিবী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে। আর এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর পিছনে অনেক অনেক কারণ রয়েছে আর এই সকল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে গাছপালা কাঁটা, যানবাহনে কলকারখানার ধোঁয়া, জ্বালানি ইত্যাদির মাধ্যমে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হয়ে থাকে।
আমাদের বায়ুমণ্ডল তিনটি স্তরে গঠিত আর এই তিনটি স্তর আমাদেরকে সূর্যের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করে। আর এই তিনটি উপকারী স্তর প্রতিনিয়ত দূষণের মাধ্যমে ক্ষতি হতে শুরু করছে। ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি গুলো সরাসরি পৃথিবীতে ঢুকে পড়ছে এবং আমাদের জন্য ক্ষতি স্বর বয়ে আনছে। আর এর কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে উত্তর মেরুর বরফগুলো বলতে শুরু করেছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরে এই ভাবে হতে থাকলে আমাদের বাংলাদেশের মতো নিচু ভূমিগুলো একসময় পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
তাই যত তো দ্রুত সম্ভব গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে হবে। আর এটি কমানোর লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
গরমের কথা আর কি বলবো। যতই পানি ছিটানো হোক, কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হোক প্রাকৃতিক উপায় ছাড়া গরম কমানো সম্ভব না। ঘরে ঘরে এসি লাগিয়ে গরম আরো বাড়াচ্ছে।
দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে, গরমের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে না পারলে,সামনে হয়তোবা পৃথিবীতে বসবাস করাটা মুশকিল হয়ে যাবে। যাইহোক সবার উচিত এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং যথাসম্ভব গাছ লাগানো। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।