বৃদ্ধাশ্রম।
আজ- ১০ই অগ্রহায়ণ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে একটা সময়ের পর অন্যের খুশি গুলো নিজের খুশিতে পরিণত হয়। যেমনটা আমাদের বাবা-মা আমাদের খুশিতে খুশি হন। তারা তাদের চাহিদা গুলো বিসর্জন দিয়ে আমাদের মাধ্যমেই তা পূরণ করার চেষ্টা করে।
প্রতিটা মা-বাবার স্বপ্ন থাকে তার সন্তানরা একদিন অনেক বড় হবে তখন তাদের সকল দুঃখ কষ্ট মুছে যাবে। তার সন্তানরা তাকে অনেক আদর যত্নে রাখবে যেমন প্রতিটা মা-বাবা ছোটবেলায় তাদের সন্তানদেরকে রেখেছিল। মা বাবা তাদের সন্তানকে পরম আদরে যত্নে আগলে রাখে। পৃথিবীর কোন সম্পর্ক এতটা নিঃশর্ত হয় না যতটা নিঃস্বার্থ একজন মা-বাবা তার সন্তানের প্রতি থাকে। কিন্তু দিনশেষে একজন মা-বাবা তার সন্তানের থেকে কি প্রতিদান পায়?
সমাজের অহরহ এরকম বাস্তব চিত্র ফুটে উঠছে আমাদের চোখের সামনে। যেখানে প্রতিষ্ঠিত সন্তান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাও বৃদ্ধ মা-বাবাকে পরিবারের বোঝা মনে করে বৃদ্ধ আশ্রমে রেখে আসছে। বৃদ্ধা বয়সে এসে এই মা বাবা তার সন্তান থেকে কি চেয়েছে শুধু মাত্র একটু আদর যত্ন ভালোবাসা এর থেকে বেশি কিছু তো একজন বাবা মায়ের আর চাওয়ার কিছু থাকতে পারেনা । কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠিত সন্তান তার বৃদ্ধ মা বাবার সে সামান্য চাওয়াটার ও মূল্য দিচ্ছে না ।
আমার কাছে এই সকল সন্তানদের মনে হয় নির্বোধ অবুঝ তারা যদি বুঝতো তার জীবনে তাদের বাবা-মায়ের অবদান কতখানি ছিল তাহলে তারা এরকম একটি জঘন্য কাজ কখনোই করতে পারতো না।
বৃদ্ধ বয়সে প্রতিটা মানুষ খুব অসহায় হয়ে পড়ে। একজন শিশু যেভাবে একা থাকতে পারে না, একজন বৃদ্ধ তার এই অন্তিম সময় এসে একা থাকতে পারে না। তার প্রয়োজন একটু ভালোবাসার, মায়া -মমতা, যত্নের। সে এই সকল কিছুই তার সন্তান থেকেই আশা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ ছোটবেলায় তার নিজেদের চাওয়া পাওয়া গুলোকে অপূর্ণ রেখে তার সন্তানকে সম্পূর্ণটা দিয়েছে মানুষ করার জন্য। সযত্নে আদরে বড় করেছে। সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এত কিছুর প্রতিদান হিসেবে সন্তান থেকে এতটুকু চাওয়া তো থাকতেই পারে।
একটি সন্তানকে লালন পালন করতে একজন বাবা-মা কতখানি পরিশ্রম করে তা কোন সন্তানেরে অজানা নয়। তাই কিভাবে পারে একজনকে প্রতিষ্ঠিত সন্তান তার বাবা-মাকে নিজের থেকে আলাদা করে রাখতে।
প্রতিটা মা-বাবা তার সন্তানদেরকে যেভাবে ছোটবেলা আগলে রেখেছে ঠিক একইভাবে যদি সন্তানরা তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের এই শেষ সময়গুলোতে আগলে রাখতো তাহলে এতসব বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হতো না। সমস্ত বৃদ্ধ আশ্রমগুলো শূন্য হয়ে থাকতে। প্রতিটা বৃদ্ধ তাদের শেষ সময়টা তাদের সন্তানদের সাথে ভালোভাবে কাটাতে পারতো।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গুটি গুটি পায়ে শীতকাল চলে আসলে কি হবে ভাইয়া এখন কি আর শীতকালে আগের মত সেরকম মজা পাওয়া যায়। শীতকাল আমার বরাবরই পছন্দ না।
যাইহোক আপনি খুবই বাস্তবসম্মত একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। প্রতিটি সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি মূল্যবোধের সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া জরুরী। তা না হলে বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পার করতে হবে। যেসব সন্তানেরা বাবা-মাকে অবহেলা করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তাদের থেকে অভাগা আর কেউই নেই। একটা সময় গিয়ে তারা উপলব্ধি করতে পারবে কিন্তু তখন খুব দেরী হয়ে যাবে। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
সত্যি বলতে ভাইয়া কি বলবো? অনেক খারাপ লাগে এ ধরনের বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মা গুলোর জন্য। কি আদর ভালোবাসা দিয়ে যে তার সন্তানদেরকে বড় করে আর মানুষ করে। কিন্তু অবুঝ সে সন্তানেরা ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে তাদের শেষ বয়সের স্থানটা করে বৃদ্ধাশ্রমে। যেটা মেনে নেওয়া অনেক বেদনাদায়ক। বেশ খারাপ লাগলো আপনার আজকে পোস্টটি পড়ে।
মা বাবা তার সন্তানদেরকে ছোটবেলা থেকে এমন ভাবে আগলে রাখে যেন তারা মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। কিন্তু এই সন্তানেরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তারা মা-বাবার কথায় মোটেও চিন্তা করে না বিশেষ করে যারা উচ্চপদস্থ তাদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তারা একটা সময় গিয়ে মা-বাবাকে বোঝা মনে করে। কিন্তু তারা হয়তো বা এটা জানে না যে এই মা-বাবা তাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। কোন একটা কারণে হয়তো বা মা-বাবাকে তারা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে যেটা মা-বাবা কখনোই তার কাছ থেকে আশা করেনা। সমস্ত সন্তানেরা যদি তার মা-বাবার এরকম খেয়াল রাখত তাহলে পৃথিবীতে বৃদ্ধাশ্রম হয়তোবা থাকতো না। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট পরে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শীতকাল বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ, আর সেই পছন্দের শীতকাল চলে আসতেছে, এটা ভাবতেই খুব ভালো লাগছে। যাইহোক বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারে দেখা যাচ্ছে, ছেলে বিয়ে করার পর মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসছে। যারা এমনটা করে, ভবিষ্যতে তাদের সন্তানেরা তাদের সাথে এমনটাই করবে। কারণ যেমন কর্ম তেমন ফল। পৃথিবীতে মা বাবার চেয়ে আপন কেউ নেই, আর সেই মা বাবা এখন সন্তানের কাছে বোঝা হয়ে যায়। আর যেন কোনো মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয় সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা খুবই দুঃখের যে, শেষ বয়সে বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিনগুলো কাটাতে হয়! সমাজের কিছু কুলাঙ্গার এমন কাজ করে থাকে। তারা ভুলে যায় বাবা মায়ের অবদানের কথা। এতে বড় বড় ডিগ্রি দিয়ে কি লাভ হবে যদি বাবা মাকেই সঠিক কদর করতে না পারে। সকল বাবা মা ভালো থাকুক এমনটাই কামনা করছি
আমার কাছে এখন খুবই ভালো লাগে আনন্দ লাগে যে আমি অন্যদের খুশি রাখতে অবদান রাখছি। আসলেই ভাই একটা শেষে মানুষ নিজের চেয়ে পরিবারের কথা ভাবে বেশি। আর সেই সব সন্তান আসলেই বোকা এবং দূভার্গ্যবান। যারা তাদের বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দেয়। তাদের নিয়ে বলার কিছু নেই।
শীতকাল তো দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছেই , তবে আসলে কি এই শীতকাল সবার জন্য মজার বা আনন্দের হয় না। রাস্তার মানুষগুলোর ভোগান্তির শেষ থাকে না এই শীতের সময়। যাইহোক, আসলেই যে সকল সন্তান বাবা-মায়ের বেঁচে থাকা অবস্থায় মূল্য দিতে জানে না তাদের মত বেকুব এবং নির্বোধ মানুষ দুনিয়াতে হয় না! উপরওয়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক এটিই কাম্য।
বর্তমান সময়ের বৃদ্ধাশ্রম খুবই সমালোচিত একটি বিষয়। আসলে খুবই দুঃখজনক একটি ব্যাপার। সবচেয়ে যেসব মানুষ গুলো তাদের সন্তানদেরকে বেশি পরিশ্রম দিয়ে বেশি টাকা পয়সা খরচ করে মানুষ করেছেন। তারাই আজকে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিয়েছেন। যেসব সন্তানদেরকে বেশি পড়ালেখা করিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছেন। কিংবা বড় বড় চাকরি ধরিয়ে দিয়েছেন তারাই আজকে মা-বাবার থেকে অনেক দূরে। অনেক বেশি খারাপ লাগলো আপনার বিস্তারিত পড়াগুলো পড়ে।