শিশু পার্কে ঘোরাঘুরি।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ১৩ই, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।





কেমন আছেন সকলে? আশা করি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। দেখতে দেখতে ঈদের বেশ অনেকগুলো দিন কেটে গেল। দিনে দিনে ঈদের সে আমেজটা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। ঈদের ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ও ঈদের ছুটি শেষে খুলতে আরম্ভ করবে। শহরটা হয়ে উঠবে সে আগের মতো কোলাহল যুক্ত এবং মানুষ ফিরবে সে আগের যান্ত্রিক জীবনে। এই কয়েকদিনে পুরা শহরের চিত্রটাই একদম পাল্টে গিয়েছিল। মানুষের আনাগোনা অনেকটাই কম ছিল। পুরো শহর একেবারে ভিন্ন এক চিত্র বহন করছিল এতদিন। রাস্তাঘাট গুলো একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল অথচ কিছুদিন আগেও পর্যন্ত যে শহর ছিল জ্যামে পরিপূর্ণ ।

সেখানে এখন একেবারে অন্য এক দৃশ্য ধারণ করছে। কেননা বেশিরভাগ মানুষই ঈদ কাটাতে চলে গিয়েছে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে। আর এই বিশেষ মুহূর্তগুলো পরিবার পরিজন সাথে কাটাবে বলে। তবে এখন ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পালা তাই ধীরে ধীরে শহরের সেই চিরচেনা রূপ ফিরে আসতে শুরু করেছে। আসলে সারা বছরে মাত্র এ কয়েকটি বিশেষ উপলক্ষের সময় শহরটা কিছুটা শীতল থাকে।

যাইহোক আজ ঈদের পঞ্চম দিন। আর আমার মতে ঈদের আমেজ যেহেতু সাত দিন থাকে সে হিসেবে এখনো দুদিন আছে ঈদের আনন্দ বিনোদন করতে।

কিছুদিন আগে বেশ কয়েকজন কাজিন ও তাদের বাচ্চারা এসেছে ঈদ উপলক্ষে আমাদের বাসায় বেড়াতে। পুরো বাসাটা একেবারে মেতে উঠেছে ভাইগ্না ভাগ্নির হইহুল্লোর ও চিল্লাচিল্লিতে। দুই দন্ড শান্তি নেই তাদের, এদিক ওদিক ছুটাছুটি, পুরো বাসাটা মাথায় তুলে রেখেছে তারা। তাদের সাথে আবার যোগ দিয়েছে আমার ছোট্ট দুই কাজিন। তারা দুইজন তো একাই একশ দুষ্টামির বেলায়।

যাইহোক এসবগুলো দুষ্টুদের নিয়ে চলে গেলাম শিশু পার্কে কিছুটা সময় কাটাতে। শিশু পার্ক টা আমাদের খুব কাছে তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি যেতে। আমরা বিকেলের দিকে সকালে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম আর সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে এসেছি।

বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ করে শিশু পার্ক গুলোতে ঈদ উপলক্ষে প্রচুর ভিড় থাকে সেটা আমার আগে থেকেই জানা। তবে আমি ভেবেছি আমরা যেহেতু ঈদের আরও বেশ কয়েকদিন পরে যাচ্ছি তাই হয়তো কিছুটা ভিড় কম থাকবে। তবে এখানে গিয়ে দেখলাম আমার পুরো ধারণাটাই উল্টো। অনেক মানুষই ঈদের সময়গুলোতে পার্কে আসেনি শুধুমাত্র ভিড়ের ভয়ে। তারাও ভেবেছিল ঈদের কয়েকদিন পর হয়তো ভিড়টা কমবে আর তখনই বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে আসবে। আর এমন চিন্তা ভাবনা থেকেই দেখা যাচ্ছে ঈদের সময় গুলো থেকে এখনই বেশি ভিড় হচ্ছে।

প্রচন্ড ভিড় ছিল আসলে ওই দিন ওই পার্কটিতে। পুরো পার্কটিতে মানুষের পরিপূর্ণ ছিল। আমরা যেহেতু বিকেলের একটু আগে অর্থাৎ শেষ দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম এবং তখন হালকা কিছুটা রোদ ছিল বিধায় শুরুতেই মানুষ অনেকটাই কম ছিল। পরে যখন একটু বিকাল হতে শুরু করলো তখন মানুষে আনাগোনা আরও অনেকটাই বাড়তে লাগলো। এরপর যখন আরো কিছুটা সন্ধ্যা হতে লাগলো তখন মানুষের আনাগোনা যেন আরও দ্বিগুণ হারে বাড়তে লাগলো।

IMG_20230425_173504.jpg

IMG_20230425_173313.jpg

যাই হোক আমরা ওখানে ঘন্টাখানেকের মতো থেকে দুষ্টু গুলোকে নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসি।

IMG_20230425_174359.jpg

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

ভাগ্নে-ভাগ্নির হৈ হুল্লোরে তাহলে আপনাদের বাড়িটা বেশ ভালই মেতে উঠেছে দেখছি। ঈদের পঞ্চম দিন তাদের সকলকে নিয়ে শিশু পার্কে গিয়েছিলেন তারা তো নিশ্চয়ই খুব মজা করেছে সেখানে গিয়ে। আর আপনি তো খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এই ব্যাপারটা বেশ মজার ছিল ।সবাই ভাবল ঈদের দিন বেশি ভিড় হবে তাই পরে যাবে তারপর গিয়ে দেখল ঈদের পরেও সেই একই রকমের ভিড় আছে হি হি হি।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া ঈদ উপলক্ষে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যায়। তাই শহর এলাকাটা একটু ফাঁকা হয়ে যায়। তবে ঈদ উপলক্ষে শিশু পার্ক গুলো বেশিরভাগ সময় লোকজনে পরিপূর্ণ থাকে। তাই আপনাদের বেড়াতে যাওয়া শিশু পার্কটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক লোকজন ছিল। আর ছোট বাচ্চাদের কাজই তো দুষ্টুমি করা। ঈদ উপলক্ষে তাদের দুষ্টুমির মাত্রাটা একটু হলেও বৃদ্ধি পায়। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমিও এমন অনুভূতি কিন্তু পূর্বে ফিল করেছি ঈদের সময় কিছু কিছু স্থানে লোকজন যেমন কমে যায় ঈদের জন্য নাড়ির টানে নিজের বাসভবনের দিকে ছুটে তাই বিশেষ কোনো জনবহুল এরিয়া খালি হয়ে যায়। আবার ঈদের ছুটি শেষে সেই স্থানগুলো মানুষের পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে আগের মত। আজ আপনি শিশু পার্কে ঘোরাঘুরের মুহূর্তে এমন অনুভূতিমূলক বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন এ পোস্টের মধ্যে। ঈদ মানুষের জীবনে যেমন পরিবর্তন আনে ঠিক তেমনি একটু হলেও আনন্দ দিয়ে যায় মানুষকে ব্যস্ততার মধ্য থেকে একটু শান্তিতে থাকার জায়গায় আরো আত্মীয়তার বন্ধন সৃষ্টি করে একে অপরের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েন।

 2 years ago 

আসলে ঈদের মধ্যে সবাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি না করলে তো ঈদ মনেই হয় না। আমার মতেও ঈদের আমেজ সাতদিনই থাকে। আপনি তো কয়েকজন দুষ্ট বাচ্চাদের নিয়ে শিশুদের পার্কে গিয়েছেন। এতে করে বুঝাই যাচ্ছে কতটা ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল আপনার। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.30
JST 0.033
BTC 110310.01
ETH 3889.44
USDT 1.00
SBD 0.59