সময় এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
আজ- ২৩শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আজ পুরনো দিনগুলোর কথাগুলোই মনে পড়ে যাচ্ছে। যখন ভোটের সময় আসতো তখন সবাই সব কাজ ফেলে রেখে ওই দিনটাতে ফ্রি থাকতো শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য। আম্মাকে দেখতাম সকাল সকাল রান্নাবান্না করে রেডি হয়ে থাকতো ভোট দিতে যাবে বলে আর আব্বু ও অফিস ছুটি থাকতো সব মিলিয়ে ওই দিনটাতে অন্যরকম একটা ভালো লাগতো। অনেক দূর দূর থেকে মানুষ যে যার কেন্দ্রে আসতো ভোট দিতে। যে যেখানেই থাকুক না কেন ভোটের সময় সকলের চলে আসতো ভোট দিতে। কেউ কখনো ভোট দেওয়াটা মিস করত না। আমার নানাকে ও দেখতাম উনি শুধুমাত্র একটা ভোটের জন্য গ্রাম থেকে শহরে চলে আসতেন। এবং আমাদের বাসায় উঠতেন। ওই সময়গুলোতে নিজেদের ভোট দেওয়াটা অনেক মূল্যবান একটি বিষয় ছিল।
নানার মুখে শোনা একটা গল্প। একবার নাকি আমাদের গ্রামে শুধুমাত্র একটা ভোটের ব্যবধানে একজন জয়ী হয়েছেন । আর ওই ভোটটাও অনেকটা নাটকীয় ভাবে দেয়া হয়েছে। যে লোকটা শেষ ভোট দিয়েছেন তিনি নাকি শহর থেকে এসেছেন শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য। তখন আসলে জনগণের ভোট দেওয়ার এ বিষয়টা ছিল অন্যরকম মানুষ তাদের মনের ইচ্ছাতেই পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতেন। তখন প্রত্যেকের কাছে ভোট দেওয়াটা ছিল অনেকটা মূল্যবান এবং জনগণ যাকে চাইতেন সেই আসনে বসত।
কিন্তু বর্তমানের চিত্রটা পুরোটাই উল্টো। মানুষ এখন তার মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়। আর সেই ভয় থেকে কেউ এখন আর ভোট দিতে যেতে চাই না। অনেকটা আতঙ্কে এবং ভয় কাজ করে মনের মাঝে। কি হয় না হয় এসব বিষয় নিয়ে। মানুষ এখন নিজের জীবনটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। কারণ ভোট দিতে গিয়ে নিজের জান সংশয়ের আশঙ্কা থেকেই জনগণরা এখন নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে যে যেভাবে পারছে।
দেশের জনগণ হিসেবে আমাদের অবশ্যই কর্তব্য ভোট দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে এই কর্তব্যটা থেকে আমরা অনেকটাই দূরে সরে আসছি। যদি ও এখানে জনগণের কোন দোষ নেই কারন পরিস্থিতিটাই এমন হয়ে গিয়েছে। অনেকটা সংশয়, অনেকটা ভয় এবং অনিশ্চিতার মধ্যে দিয়ে মানুষ এখন চলছে। কোথায় আবার হাঙ্গামা বেঁধে যায়, কোথায় আবার মারামারি হয় সেসব নিয়েই প্রত্যেকের বেশ চিন্তিত। তাই এ সকল ঝামেলাগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার সে প্রবণতাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
যাই হোক রাজনীতির এ বিষয়গুলো নিয়ে আমি আর বেশি কথা বলতে চাই না। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আগেকার দিনে ভোটের সময় কেমন একটা উৎসব পরিবেশ থাকতো সারা বাংলাদেশে। এখন ভোটের সময় মানুষজন আরো আতঙ্কে ঘরে বসে থাকে। কালকে সন্ধ্যার পরে দেখলাম যে রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা। আগের মত ভোটের অধিকার সবার থাকলে হয়তো এবারও একটা উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ভোট দিতে যেত। জানিনা সেদিন আর ফেরত আসবে কিনা।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আগের মানুষের তুলনায় এখনকার মানুষ বেশ পরিবর্তন হয়েছে। ভোট নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে বেশ বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে। আগের মানুষ নিজেদের কাজকর্ম ফেলে রেখে নিজেরা ভোট দেওয়ার জন্য ভোট সেন্টারে যেত। অবশ্যই ভাই দেশের জনগণ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য ভোট দেওয়া।
ছোটবেলায় দেখতাম নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই মিছিল মিটিং হতো এবং নির্বাচনের দিন এলাকা কতোটা গরম থাকতো। সবাই আগ্রহের সাথে ভোট দিতে যেতো নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে। তারপর রাতের বেলা ফলাফলের জন্য সবাই অধীর আগ্রহে বসে থাকতো টিভির সামনে,কখন ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আমার দাদাকে দেখতাম প্রচন্ড উত্তেজিত থাকতেন ফলাফলের সময়। টিভির সামনে থেকে উনি একেবারেই উঠতেন না। কিন্তু এখনকার চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বলতে গেলে আগের সাথে বর্তমান সময়ের তফাৎ একেবারে আকাশ পাতাল। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সত্যি কথা ভাইয়া আগে ভোটের আগের থেকেই খুব উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করতো। আর এখন সবাই আতঙ্কে থাকে।স্বাধীন ভাবে নিজের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারায়,মানুষ সব ঘরেই বসে থাকে।আজকাল আর কজনাই বা ভোট দিতে যায়।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।