অপূর্ণতা।
আজ - ১লা আশ্বিন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
চেষ্টা করা উচিত অপূর্ণতা গুলোকে কিভাবে জীবনের কাজে লাগানো যায়। ধরুন কোন একজন মানুষ সে খুব রাগী, জেদি। এই রাগ এবং জেদের এই অপূর্ণতাটা যদি কোন একটি ভালো কাজে লাগানো যায় তাহলে কিন্তু অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব অর্থাৎ এই জেদটা যদি তার জীবনের সফলতার পিছনে বা কাজে লাগায় তাহলে নিঃসন্দেহে সে অনেকটাই উন্নতি করতে পারে। কারণ রাগ এবং জেত মানুষকে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
একজন ঠান্ডা মাথায় মানুষ যা করতে পারে না রাগের মাথায় কিন্তু ওই মানুষটা অনেক কিছুই করতে পারে ফলে এই রাগ এবং জেদটা যদি ভালো কাজে লাগে তাহলে তার এই অপূর্ণতাটাও একসময় পরিপূর্ণ তাই রূপ নিবে। ঠিক এভাবে জীবনে অনেক অনেক অপূর্ণতাটা জীবনের কাজে লাগানো সম্ভব।
জীবনের অপূর্ণতা গুলোকে আসলে কখনো অবহেলা করা উচিত না বরং চেষ্টা করা উচিত এই অপূর্ণতা গুলোকে কাজে লাগানোর পথ খুঁজে বের করার।
চলুন আপনাদেরকে এ অপূর্ণতা বিষয়ে একটি গল্প শেয়ার করি। একজন বৃদ্ধ মহিলা প্রতিদিন দুইটি কলসি কাধে নিয়ে নদী থেকে পানি উঠায়। তার এই দুটি কলসির মধ্যে একটি কলসি ফাটা আর একটি কলসি ভালো। আর এই বিষয়টি জানার সত্বেও মহিলাটি কিন্তু দুটো কলসিতে পানি ভর্তি করে নেই। ফাটা দিয়ে সব সময় পানি গড়িয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ে। যার ফলে বাড়ি নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত কলসিতে আর পানী অবশিষ্ট থাকে না তবে ভালো কলসিটির পানি ভরা থাকে।
এতে ফাটা কলসিটি বেশ লজ্জিত তার অপূর্ণতা নিয়ে। কারণ কখনোই তার পানি গুলো সে আটকে রাখতে পারে না এবং বুড়ির বাড়ি যাওয়ার আগের পুরো কলসিটা খালি হয়ে যায়।
তবে বুড়ি কলসিকে তার এই অপর্ণা তা নিয়ে লজ্জিত হতে মানা করে। আর তাকে বলে, সে যখন প্রতিদিন এই কলসি নিয়ে বাড়ির পথে যাই তখন এই ফুটো কলসি থেকে পানি গুলো রাস্তায় পড়ে ওখানে নতুন গাছ জন্ম নেয়। এখানে ফুল ফল ফুটে এবং তা বুড়ির উপকারে আসে। যদি কলসিটি ফোটা না থাকতো পানি গড়িয়ে নিচে না পড়তো তাহলে ওই জায়গায় ফুল ফল হতো না। তার এই ফোটা থাকার কারণে গাছগুলো প্রতিদিন পানি পাই।
আসলে ঠিক এভাবেই ফুটো কলসি টার মত আমাদের জীবনের অপূর্ণতাগুলো কেউ যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে এই অপূর্ণতা গুলোই আমাদের সব থেকে বেশি কাজে লাগবে। তাই সবার আগে অপূর্ণতাগুলো নিয়ে লজ্জিত বোধ না হয়ে বরং অপূর্ণতা গুলো কাজে লাগানোর সঠিক পথ ঠিক করতে হবে।
আজ চেষ্টা করেছি একটি গল্পের সাহায্যে বিষয়টি আপনাদেরকে তুলে ধরার। যাই হোক, আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আজ আমাদের মাঝে। আজকের পোস্টটি কিন্তু একটি শিক্ষনীয় বিষয়। আসলে জীবনের অপূর্ণতা থেকেই আমাদের কে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আর নিজের মাঝে জিদ সঞ্চার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। এতে করে আমাদের জীবনে সাফল্য নেমে আসবে ধীরে ধীরে। আমি তো মনে করি অপূর্ণতা গুলো কে ঝেড়ে ফেলে নতুন ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই জীবনের সাফল্য।
অপূর্ণতা বলতে আমরা চাহিদাকে বুঝে থাকি। মানুষের চাহিদা শেষ নেই। যার যত আছে সে অধিগত চেয়ে থাকে। আর এই চাওয়ার কারণে মানুষের জীবনে অপরিপূর্ণতা থেকেই থাকে। ভাই অপরিপূর্ণতা নিয়ে আপনি খুব চমৎকার একটা উদাহরণ দিয়েছেন। এই ভাঙ্গা কলসের মতো জীবন যদি আমাদের থাকতো তাও নিজেকে ধন্য মনে করতাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
একজন মানুষ কখনোই সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ হতে পারে না, কিছু তো অপূর্ণতা থাকবেই। তবে মানুষ চাইলে এই অপূর্ণতাকে আস্তে আস্তে পরিপূর্ণ করতে পারে এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য আর পরিশ্রমের। তবে মানুষ যদি তার নিজের ভেতরে থাকা অপূর্ণতাকে নিজের দুর্বলতা বানিয়ে ফেলে তাহলে যে পূর্ণতাটুকু মানুষের মাঝে আছে সেটুকুও আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।এই অপূর্ণতা কাজে লাগাতে পারলে তো ভালোই হতো।তবে কজন বা পারে রাগ জিদ কাজে লাগাতে।এগুলো অকাজেই বেশি লাগে।যার ফলে ভুগতে হয় পরবর্তীতে।কলসির গল্পটি ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাহ দারুন একটি উদাহরন দিছেন তো। আমরা শুধু নিজেদের লাভটাই বেশি দেখি। অন্যের লাভটা দেখতে চাই না। বুড়ি জানে কলসি ছিদ্র তারপরও গাছগাছালির চিন্তা করে ছিদ্র কলসি দিয়ে পানি আনে। আর আমরা হলে নিজের চিন্তা আগে করতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া।এটা সত্যি আমরা সবাই পরিপূর্ণ নয়।আমাদের মধ্যে অপূর্ণতা আছেই। আমাদের উচিত হবে অপূর্ণতাকে নিয়ে লজ্জা না পেয়ে পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাওয়া।আপনি দারুন একটি গল্প দিয়ে আমাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন।খুব ভালো লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সত্যি ভাই আমার নিজের অপূর্ণতা নিয়ে আমি আগে কখনো এমনটা ভাবিনি। দারুণ বললেন কিন্তু আপনি। আমার অনেক ভালো লেগেছে। পাশাপাশি অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আসলেই কোনো কিছুই অপূর্ণ না শুধু তার প্রয়োগটা সঠিক জায়গাই করতে হবে হা হা। যেমনটা বুড়ির ঐ ভাঙা কলসির ক্ষেএে হয়েছে। চমৎকার ছিল ভাই আপনার লেখাটা।।
জীবন মানে হচ্ছে পূর্ণতা এবং অপূর্ণতা। জীবন যেখানে আছে সেখানে পূর্ণতা ও থাকবে এবং সেখানে কিছু কিছু অপূর্ণতাও থাকবে। একজন মানুষের কখনো সবগুলো পূর্ণতা থাকতে পারে না। সেই সাথে অপূর্ণতা ও মানুষের জীবনে থাকে। আপনি ঠিক বলছেন সেই অপূর্ণতাকে নিয়ে হতাশ না হয়ে যদি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো। এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের অনেক বেশি রাগ এবং জেদ থাকে। আসলে ওই জেদি মানুষগুলো থেকে অনেক বেশি সফলতা আসে। অনেক ভালো লেগেছে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।