বৈচিত্র্যময় এই বিশ্ব।
আজ - ২৯শে ভাদ্র |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আপনারা ভাবতে পারেন হঠাৎ করে এসব কথা কেন বলছি। আসলে এর বিশেষ একটি কারণ রয়েছে। আসলে আজকে একটি প্রতিবেদন দেখলাম। আর ওই প্রতিবেদনটা দেখে আমার কাছে বিষয়টি ভারী অদ্ভুত লেগেছে। তাই ভাবলাম বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। হয়তো আমার মত আপনারাও অবাক হবেন বিষয়টি জানার পরে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের পীরপাল গ্রাম। ওই গ্রামের অঞ্চলের মানুষরা মাটির খাটে থাকে অর্থাৎ মাটি দিয়ে তারা উঁচু করে খাট তৈরি করে এরপর ওখানেই থাকে। তারা কখনোই কাঠের তৈরি খাটে ঘুমান না। শত শত বছর ধরে তারা এরকম একটি রিচুয়াল পালন করে আসছে। ওই গ্রামে ধনী গরিব প্রত্যেকে এরকম মাটির খাট তৈরি করে থাকে। শুধুমাত্র কাঠের খাটই নয় বরং চেয়ার টেবিল এই ধরনের কোন কাঠের জিনিস তারা ব্যবহার করেন না। কেননা তারা মনে করেন কাঠের খাটে তারা ঘুমালে পীর বাবা তাদেরকে খাট থেকে ফেলে দিবে। তাই তারা সব সময় এসব কাঠের জিনিসের থেকে দূরে থাকে।
বিষয়গুলো নিঃসন্দেহে কুসংস্কার তবে তাদের বিশ্বাস, তাদের ধারণা গুলোকে আমরা নিশ্চয়ই কেউ জোর করতে পারিনা। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা বিষয়টিকে কুসংস্কার বলে ধারণা করলেও তাদের কাছে বিষয়টি ভক্তির এবং অনেক বড় বিষয়। প্রত্যেকের ধারণা প্রত্যেকের বিশ্বাস প্রত্যেকের কাছে। তাই সেখানে কারো কোন কথা বলার অধিকার নেই। তবে সত্যি বলতে এই বিষয়টা আমার কাছে বড় আশ্চর্যের মনে হয়েছে। এ প্রতিবেদনটি দেখার আগে আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি এরকম কোন কালচারও থাকতে পারে। নিশ্চয়ই আমাদের অজানা এমন অনেক অনেক কালচার লুকিয়ে রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের কোন আইডিয়া নেই।
তাই বলছি আমাদের পৃথিবীটা আসলেই বৈচিত্র্যময়। শুধুমাত্র যে প্রাকৃতিক দিক থেকে তা কিন্তু নয় বরং মানুষের ধর্ম বর্ণ কর্মসংস্কৃতি সবকিছুতেই কিন্তু এই বৈচিত্র্যটা পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে এই বৈষম্যটা বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া প্রকৃতির মায়াবী সুন্দর্যের বৈচিত্র্যতা তো আছেই। প্রকৃতির এই সকল বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার পর্যটক বিদেশ ভ্রমণে বেরোই । এখন আমাদের দেশের প্রকৃতির সৌন্দর্যে সে বৈচিত্র্য উপভোগ করতেও অনেক পর্যটক এখানে এসে হাজির হয়।
যাইহোক আজ আর বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। এখানে বিদায় নিচ্ছে । আর হ্যাঁ আপনাদেরও এই প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভিডিওটা দিয়ে দিচ্ছি। আশা করছি বিষয়টি জানার পরে আমার মত আপনারা বেশ অবাক হবেন। যারা এই ভিডিও এর আগেও দেখেছেন তাদের তো নতুন করে কিছু বলার নেই বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনারা জানেন। যাই হোক আজকের এই ভিন্ন আয়োজন আপনাদের কেমন লেগেছে তা জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য আরেকটি বিষয় নিয়ে। আল্লাহাফেজ।
খুব অবাক করা বিষয় তো।আমি আগে কখনও এমনটা শুনিনি।তবে মাটির ঘর করে বসবাস করে এটা শুনেছি।আর এরা মাটির খাট করে ঘুমায়।পীরকে সম্মান করে তারা এমনটা করছে।খুবই অবাক হলাম।ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জানতে পারলাম দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের এই বিষয়টি।তারা কাঠের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করেন না।আসলেই বৈচিত্র্যময় এক এক এলাকার সংস্কৃতি। পীর বাবা খাট থেকে ফেলে দেয় অবাক কান্ড, হাহা।এই যুগে এসেও এই অবস্থা।প্রতিবেদন টি দেখে ভালোই লেগেছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এই জিনিসটা আমি বেশ কিছুদিন আগে ইউটিউবে দেখেছিলাম।তারপর ভুলেই গিয়েছিলাম। আজকে আপনার লেখা পড়ে নতুন করে মনে পরে গেল।পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
এই প্রথম শুনলাম এমন একটি বিষয়। পীর বাবার এমন ভক্ত হয়েছে, যে খাটে ঘুমানো যাবে না। এগুলো কুসংস্কার ছাড়া কিছুই না। আসলে আমরা একই দেশে বাস করি, তবুও মানুষের মন-মানসিকতার কতো পার্থক্য। আর অন্যান্য দেশে গেলে তো আরও কতকিছুই দেখা যায়। অনেক সময় অদ্ভুত টাইপের কিছু দেখলে নিজের চোখ দুটি বিশ্বাস করা যায় না। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।