পুরনো স্মৃতিগুলো!!

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago

আজ- ২৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000053786.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এ রমজান মাসটা সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে কাটানো হলেও সময়টা কিন্তু অনেকটাই ভালো কাটছে। রমজান মাসটা চলে যাওয়ার পর এ সময় গুলোকে খুব বেশি মিস করব। কেননা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট টাইমে সেহরি খাওয়া, ইফতার করা এ বিষয়গুলো আসলেই অন্যরকম এবং অনেকটাই ভালো লাগার । আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকের নিজ নিজ কাজে নানাভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ি ফলে পরিবারের সদস্যরা একসাথে বসে সবসময় খাবার খাওয়া সেই সুযোগটা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু রমজান মাসে দেখা যায় সে সুযোগটা খুব সহজেই তৈরি হয়। তখন পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতার করা সেহরি খাওয়া হয়ে থাকে। আর এর মাধ্যমে পরিবারের মধ্যে একটা ভালো সময় কাটানো সম্ভব।

ছোটবেলার সেই রমজান গুলোর কথা আসলে এখনো মনে পড়ে। ছোট থাকতে রোজা রাখার জন্য কতইনা বায়না করতাম। কিন্তু আম্মু রোজা রাখতে দিত না আর বলতো যে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নাকি বাচ্চাদের একটা রোজা হয়ে যায়। আর আমিও তাই বিশ্বাস করতাম। ফলে আমিও ঠিক তাই করতাম, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত না খেয়ে থাকতাম আর ভাবতাম আমার বুঝি একটি রোজা হয়ে গেল।

তাছাড়া ইফতারের সময় তো অন্যরকম এক মজা!! কিছু খায় না খায় সমস্ত ইফতারের আইটেম গুলো প্লেটে থাকা লাগবেই। এরপর আব্বুর সাথে মসজিদ থেকে আসার সময় হাতে করে জিলাপি আনা। ট্যাঙ্ক হাতের তালুতে নিয়ে খেয়ে জিব্বা লাল করে ফেলা। আসলে এই সব স্মৃতিগুলো অনেকটা আনন্দ দেয়। আবার খুব মিস ও করি এই সময় গুলোকে।

রমজানের শেষ সময়গুলোতে ঈদের শপিং করা এবং গ্রামে চলে গিয়ে আত্মীয়দের সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করার এ বিষয়টি ছিল অনেকটা আনন্দের। কিন্তু বর্তমানে আমরা নিজেদের কর্মকান্ড এবং সামাজিক পরিবেশে এমন এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে যে এ সকল আনন্দ গুলো আমরা চাইলেও আর নিজেদের মধ্যে নিতে পারি না।

বর্তমানে, যৌথ পরিবারের তুলনায় একক পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। মানুষ তাদের নিজ নিজ কর্মকান্ডের কিংবা নিজেদের সুবিধার জন্য একক পরিবার গঠন করে শহর অঞ্চলের গুলোতে বসবাস করে। ফলে এই সকল একক পরিবারের ছোট সদস্যরা বেড়ে উঠার জন্য মানুষের সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হয়। তারা নিজেদের মতো করে নিজেরা বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে সময় কাটায়। অথচ যৌথ পরিবারের চিত্রটা অনেকটাই ভিন্ন। ওই পরিবারের ছোট সদস্যরা সকলের সাথে হেসে খেলে আনন্দ উল্লাসের সাথে সুন্দর সময় পার করতে পারে। এবং তাদের শৈশবের স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 22 days ago 

পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়লে মনটা ভরে যায়। সময় কত দ্রুত বদলে যায়, কিন্তু কিছু মুহূর্ত চিরকাল মনে থাকে।আপনার পোস্ট পড়ে আমারও ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বিশেষ করে বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে খেলার দিনগুলো... সত্যিই অসাধারণ ছিল।আপনার পোস্টে সেই স্মৃতিগুলোকে আবার জীবন্ত করে তুলেছে। খুব সুন্দর লিখেছেন।আপনার স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 22 days ago 

ছোটবেলার রমজান মাসগুলোর স্মৃতি গুলো খুবই আনন্দের।সেই দিনগুলো এখনো মিস করি আসলে।যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠা বাচ্চা গুলো আনন্দ অনুভূতি নিয়ে বড় হয়।যা একক পরিবারে সম্ভব হয়না।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 22 days ago 

আমাকে ছোটবেলায় বলতো দুপুর ১২টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে অর্ধেক রোজা হয়ে যাবে এবং আমিও সেটাই সত্যি মনে করতাম হা হা হা। যাইহোক যৌথ পরিবারে থাকার মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। কিন্তু এখন রোজা কেনো, ঈদেও তেমন আনন্দ লাগে না। সবাই এখন নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

New to Steemit?

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.24
JST 0.031
BTC 82846.68
ETH 1787.34
USDT 1.00
SBD 0.86