ভোর দেখার সৌন্দর্য এবং ঘুমানোর আনন্দ একসাথে পাওয়া সম্ভব নয়।
আজ- ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আর হ্যাঁ, শীতের এই সময় গুলোতে একটু চেষ্টা করবেন সাবধানে থাকার। কারণ শীতের এই সময়টাতে ঠান্ডা জনিত রোগবালাই এগুলো সব থেকে বেশি দেখা দেয়। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে পারি অসচেতনামূলক কর্মকাণ্ডের ফলে। একটু সচেতন হলে যদি ভালো থাকা যায় তাহলে সচেতন থাকলেই তো হয়ে যায়।
যাইহোক, আজকের দিনটা আমার কাছে অনেকটাই অন্যরকম মনে হচ্ছে,কারণ আজকে খুব ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠেছি আর ভরে ভরে ঘুম থেকে উঠে পোস্ট রেডি করছি । এই সকালটা আমার খুব বেশি দেখা হয়না ঘুমিয়ে থাকার কারণে। কিন্তু আজ এই সকালটা দেখে দারুন এক ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। সত্যিই সকালটা খুবই সুন্দর। পাখির মিছিমিছি শব্দ , হালকা কুয়াশা, আরেকটু শীতলতা সব মিলিয়ে এই ভোরবেলাটা যেন অন্য রকম একটি দিন। এই সুন্দর সকাল গুলো আমার মত বেলা করে ঘুম থেকে উঠা মানুষগুলো জীবনে খুবই কমই এসেছে ।
একটি বিষয় দেখবেন , ভোরের সৌন্দর্য আর ঘুমানোর আনন্দ দুইটি একসাথে কখনোই পাওয়া যায় না। আমরা যদি ভোর বেলার ওই শান্তির ঘুমটা চাই তাহলে আমাদের এই সুন্দর সকালটি দেখা হবে না। আর যদি আমরা এই সুন্দর সকালটিকে উপভোগ করতে চাই তাহলে আমাদের ভোরের শান্তির ঘুমটি হবে না। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আসলে এরকম দুইটি দিক কখনো একসাথে পাওয়া যায় না। আপনাকে একটি পেতে হলে অন্যটি ছাড়তে হবে। এখন এটাই ভাবার বিষয় যে আপনি কোন বিষয়টি ছাড়তে চান আর কোন বিষয়টি আয়ত করতে চান।
যেমন আপনি ইউরোপের কোন একটি দেশে বসে তুষারপাত উপভোগ করতে পারবেন ঠিক আবার একই সময়ে আপনি বাংলাদেশের কুয়াশাগুলোকে উপভোগ করতে পারবেন না। হয় এদিক পাবেন না হলে ওদিক যেকোনো একটি দিক আপনি পাবেন আর কখনো দুইটি দিক একসাথে পাওয়া সম্ভব না।
আমাদের জীবনের লক্ষ্যগুলোও এমন। আপনাকে একটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। অনেকগুলা লক্ষ্য আপনি কখনো একসাথে পূরণ করতে পারবেন না। তবে ধাপে ধাপে সেটি পূরণ করা সম্ভব।
জীবনটা বড়ই কঠিন আবার জীবনটা খুবই সহজ। এ কঠিন এবং সহজের মাঝে যেকোনো একভাবে আপনি আপনার জীবনটাকে বরণ করে নিতে হবে। আপনার কাছে যদি মনে হয় জীবনটি কঠিন তাহলে আপনি খুবই পরিশ্রমী হবেন। আর যদি মনে হয় জীবনটা খুবই সহজ তাহলে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে। অথচ এই দুইটি আপনার জীবনে সমানভাবে উপকারী।
যাই হোক, আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে, নতুন কোন আলোচনা। আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
সত্যি বলতে শীতকালে সকাল বেলা ঘুমাতে বেশি ভালো লাগে। তবে শীতের সকালের ঘুমের কথা যদি বলি তখন কিন্তু উঠতে মন চায় না, ঘুম যেতে মন চায় শুধু। এখন বিষয় হচ্ছে শীতকালের ভোরের সৌন্দর্য অন্যরকম, যেটি আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক ছোঁয়া হৃদয়কে অন্যরকম ভাবে নাড়া দেয়। আর সেটি দেখতে হলে অবশ্যই ঘুমকে নষ্ট করতে হবে। ঘুম নষ্ট না করতে পারলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাই একটা পেতে হলে একটাকে তো অবশ্যই সেক্রিফাইস করতে হবে। তবে পরিশেষে যেটি বলেছেন যে জীবনটা কঠিন চিন্তা করলে পরিশ্রমী হবে, আমি মনে করি এটাই চিন্তা করা উচিত। সত্যিই তো জীবনটা কঠিন,তাহলে পরিশ্রমি হয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
সকাল দেখার অনুভূতি সত্যি দারুন হয়। তবে আমাদের উল্টোপাল্টা ঘুমের রুটিনের কারণে আমরা এই সকালটা উপভোগ করতে পারি না। এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা, ভোরের সৌন্দর্য ও ঘুমানোর আনন্দ দুটো কখনোই একসাথে পাওয়া যায় না। শান্তির ঘুম অথবা সকালের সৌন্দর্য যে কোন একটাকেই বেছে নিতে হবে আমাদের। অনেকগুলো লক্ষ্য কখনোই একসাথে পূরণ করা সম্ভব হয় না।
শীতের শুরু হয়ে গেছে আর এই শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আমাদেরকে গ্রামেই যেতে হবে। শহরে থেকে শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। শীতের সকালটা গ্রামে সত্যিই অসাধারণ হয়। পাখির ডাক, চারদিকে হালকা কুয়াশা, ঠান্ডা ঠান্ডা ব্যাপার সবকিছু মিলিয়ে দিনের শুরুটা খুব সুন্দর ভাবে শুরু হয় গ্রামে।
সত্যি ই ভাইয়া শীতকালের মজা শুধু গ্রামে গেলেই উপভোগ করা যায়। শহরে শীতের বা কুয়াশার দেখা এখনও মেলেনি।আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এটা খুব সত্যি কথা একসাথে অনেক গুলো ইচ্ছে পূরণ করা যায় না।সকালে ঘুম থেকে উঠলে যেমন ভালো লাগা কাজ করে।ঠিক তেমনি সকালের ঘুমটা কিন্তু অনেক আরামের।দুটো ই ভালো কিন্তু দুটোকে একই সাথে উপভোগ করা যায় না।তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একই সাথে অনেক কাজ বা বিষয় চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।ধাপে ধাপে কাজ করে যেতে হবে।এটাই হচ্ছে নিয়ম।আর এভাবে করেই একদিন সফলতা আসবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা তো অবশ্যই জীবনে চলতে হলে তো সেক্রিফাইস করতেই হবে। দুটো বিষয় কখনওই একই সাথে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই একটি জিনিসে সফলতা পেতে চাইলে অনায়াসে অন্য জিনিস হতে দূরে সরে আসতে হবে। বেশ দারুন কিছু উদাহরন দিয়ে বিষয়টি আমাদের কে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
দারুন লিখেছেন ভাই। আসলেই এখন আর তেমন সুযোগ হয়না শীতের সেই কুয়াশা মাখা সকাল উপভোগ করার। এই তো গত বছর ও যা সব উপভোগ করেছি এবার আর কিছুই হবেনা। চাকরী জীবনটা আমাদের অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। নাহলে প্রতি বছর শীতের সময় গ্রামে যাওয়া হতোই। কিন্তু এবার আর তা হবেনা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আসলেই ভাই সুযোগ থাকলে গ্রামে গিয়ে শীত উপভোগ করা দরকার সবার। কারণ গ্রামে শীতকালটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। যাইহোক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন ভাই। আমিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি সকালটা উপভোগ করার। যাইহোক একসাথে কয়েকটি কাজ করতে গেলে বা কয়েকটি ইচ্ছে পূরণ করতে গেলে এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। তখন কোনো কাজ বা ইচ্ছে তেমন ভালোভাবে পূরণ করা যায় না। সুতরাং ধাপে ধাপে বা একটি একটি করে সবকিছু করতে হয়। এটাই হচ্ছে প্রকৃত নিয়ম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দারুণ একটি কথা লিখেছেন ভাই, জীবনটা খুব সহজ, আবার খুব কঠিনও... সহজ করলেই সহজ, কঠিন করলেই কঠিন। আর যারা ভোর বেলার সৌন্দর্যের স্বাদ পেয়েছেন, তারা অবশ্যই ভোর বেলার ঘুমের থেকে ভোর বেলার সৌন্দর্যকেই প্রাধান্য দিবে বলে আমার ধারণা।