কিছু না পাওয়াই থাক!!
আজ- ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের জীবনটা অনেকটা ছোট। আর জীবনটা ও একটাই । আর এই এক জীবনে সবকিছু কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়। কিছু কিছু না পাওয়া থেকে যায়। আর এই না পাওয়া বিষয়গুলো বাদ দিয়ে আমরা যদি জীবনে কি পেয়েছি সে হিসাবগুলো মেলাতে যায় তাহলে জীবনটা সুন্দর।
আমাদের অনেক অভিমান অভিযোগ এটা কেন পেলাম না, ওটা কেন পেলাম না, এটি হলো না, ওটি কেনো হলো না এই নিয়ে । সাময়িক সময়ের জন্য না পাওয়া বিষয়টি নিয়ে আফসোস হলেও কিন্তু কোন এক সময় দেখবেন আপনার কাছে মনে হবে ওই না পাওয়াটাই ভালো ছিল। আমাদের ধর্মেও আছে, সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য ভালো কিছু রেখেছেন আর এই ভালো কিছুর জন্যেই এই না পাওয়া গুলো। অবশ্য আমাদের বিশ্বাস এবং ভরসা রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তার ওপর, আমাদের এত চাওয়ার পরে ও না পাওয়ার কারণ হিসেবে বুঝে নিতে হবে আমাদের জন্য সেগুলো নিশ্চয়ই মঙ্গলজনক নয়।
অনুপম রায়ের সেই গানটির কথা মনে আছে আপনাদের ? "কিছু না পাওয়াই থাক, সব পেলে নষ্ট জীবন " । আসলেই তাই জীবনে সবকিছু পেলে হয়তো জীবনটা খারাপের দিকে যেতে পারে । আর সবকিছুই যে চাইলে পেতে হবে এমন মন মানসিকতা থেকে দূরে সরে আসা উচিত। তাছাড়া কোন কিছু না পাওয়ার মধ্যেও একটি আলাদা গভীরতা রয়েছে।
আমরা মোটামুটি প্রত্যেকেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান । আর এই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা ছোটবেলা থেকেই সবকিছু চাইলে কখনোই পাইনা। কিছু না পাওয়া তাদের মধ্যে থেকে যায়। কিন্তু দিন শেষে এ না পাওয়া সন্তান গুলোই কিন্তু মানুষ হয় এবং উচ্চ পদে পৌঁছায় । দেখবেন আজ পর্যন্ত যত ব্যক্তি সফল হয়েছে তাদের সফলতার গল্প গুলো কিন্তু এই না পাওয়া বিষয়টি রয়েছে। তারা এই না পাওয়া বিষয়গুলোর সাথে মানিয়ে নিয়েছে এবং নিজের চেষ্টায় সফল হয়েছে। কিন্তু এখনকার জেনারেশনের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। তারা তাদের বাবা মার কাছ থেকে যখন যেটা চাই সেটাই পেয়ে যায়। ফলে যখন তারা তাদের বাবা-মার সামর্থের বাহিরে কিছু চায় আর সেটি যখন দিতে পারে না তখন তখন তাদের প্রতিক্রিয়া হয় ভয়ংকর।
আমি বলবো প্রত্যেক গার্ডিয়ানদের উচিত তার সন্তান যখন যেটা চাইবে সেটা না দেওয়া। সমর্থ্য থাকলেই যে দিতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। যদি বাচ্চাটি যেটা চাই সেটা পেয়ে যায় তাহলে সে না পাওয়ার অনুভূতিটা তার উপলব্ধি হবে না। পরবর্তীতে সে যখন বড় হবে তখন কোন কিছু না পাওয়ার সে বিষয়টি তার মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে।
তাই আগে থেকেই বাচ্চাদেরকে চাইলেই দিয়ে দিতে হবে সবকিছু এমন চিন্তায় ধারা থেকে অভিভাবকদের দূরে সরে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। এর ফলে বাচ্চাদের একটি বদ অভ্যাসে পরিণত হবে।
আমরা আমাদের ছোটবেলাটাতে সাধ্যের বাহিরে অনেক কিছু পায়নি বলেই হয়তো এখন অনেক কিছু মানে নিতে আমাদের আর সমস্যা হয় না। কিন্তু যারা পেয়েছে তাদের মানিয়ে নিতে কিন্তু ঠিকই সমস্যা হয়।
যাইহোক আজ এ পর্যন্ত এখানে বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমরা যখন জীবনে অতিরিক্ত পাওয়া পেয়ে থাকি তখন জীবনের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা কমে যায়। এক জীবনে যে সকল চাওয়া পাওয়া পেতে হবে এটা কখনো সম্ভব না। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কিছু অপূর্ণতা থেকে যাই। আসলেই জীবনটা এমন করে সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাঠিয়েছেন। যদি না পাওয়াটাই না থাকতো তাহলে জীবনের এত মায়া থাকত না। আপনি ঠিক বলছেন আসলে কিছু না পাওয়াই থাক। তাহলে আমরা খুব সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
কিছু কিছু জিনিস না পাওয়ার আক্ষেপ ভেতরে থেকেই যায়, তবে পরবর্তীতে মনে হয় সত্যিই সেই না পাওয়াটা আমার জন্য মঙ্গল বয়ে এনেছে। তাইতো না পাওয়ার আক্ষেপ গুলো ইদানিং তেমন আর মনে আসে না। একটা জিনিস সবসময়ই মাথায় থাকে সন্তানদের অনেক কিছু দিতে পারছিনা, এটার জন্য আক্ষেপ থাকে আমার বহুগুণ। দোয়া করবেন যেন সেই দিতে না পারার আক্ষেপ যেন কমাতে পারি। আর আমার কাছে ওদের মুখের হাসি বেঁচে থাকার সবথেকে প্রাপ্তি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।আমরা জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি আবার অনেক কিছু পাইনি।যা পাইনি তা আমাদের ভাগ্যে তো ছিলই না হয়তো না পাওয়াতে আরও ভালো হয়েছে।আমাদের জীবনে অনেক কিছুই পাওয়া হয়েছে সেটার হিসাব করে খুশি থাকলেই ভালো থাকা যায়।আর বর্তমানে আমি এমন অনেক দেখেছি, বাচ্চা বাবা-মার কাছে যা চেয়েছে তা সবসময় দিতে দিতে এখন বাচ্চার জেদের মাত্রা বেড়ে গেছে। আর কোনো কিছু না দিলেও ভাঙচুর করে। এমন বাচ্চারা শুধু যে ছোট বেলায় এমন করবে তা কিন্তু নয়,তারা বড় হলে আরো বেশি উগ্র হয়ে যাবে।
বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আচ্ছা আমাদের কেন এত চাহিদা? কেন এক জীবনে সব কিছু পেতে হবে? আর সব কিছুই যে আল্লাহ আমাদের কে দেবে এমনটা ভাবনাও কিন্তু ঠিক না। তবে একথা ঠিক যে প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত শিশুকাল হতে ছেলেমেয়েদের কে অভাবটা বুঝিয়ে দেওয়া। তাহলে বড় হলে না পাওয়ার কষ্ট তারা ভুলে যাবে সহজে। বেশ দারুন ছিল কিন্তু আজকের পোস্টটি।
কথায় আছে আল্লাহ যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করে এবং এটা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি। যাইহোক আমাদের এই ছোট্ট জীবনে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব থাকবেই, তাই বলে এসব নিয়ে আফসোস করাটা ঠিক নয়। কারণ এতে করে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর নারাজ হয়। আল্লাহ তায়ালা হচ্ছে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। আর বর্তমান জেনারেশনের বাচ্চাদেরকে অবশ্যই ছোট থেকে কিছুটা অভাব অনটন দেখানো উচিত। এতে করে তাদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ছোট্ট জীবনে মানুষের আকাঙ্ক্ষার শেষ নাই যত পায় ততই চায়। সেজন্য জীবনে অনেক কিছু না পাওয়ার থাকতেই পারে সেজন্য আশা হারা হওয়া যাবে না । জীবনে যার যতটুকু পাওয়া দরকার সে ততটুকুই পাবে । এটা নিয়ে খুশি থাকা উচিত হয়তো জীবনে অতিরিক্ত কিছু পাওয়াটা ভালো নয় যেটা অস্বাভাবিকের বিষয়টি উপলব্ধি করিয়ে খারাপ দিকে নিয়ে যায়। খুবই ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো ভাই। আসলে জীবনের যতটুকু চাওয়া ততটুকু না পাইলেও জীবনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আর বর্তমান সময়ে এর বাচ্চার া চাহিবার আগেই সবকিছু পেয়ে যায় যেটা তাকে বাস্তবতা সম্পর্কে উপলব্ধি করায় না।
যেটা ছিল না ছিল না সেটা না পাওয়াই থাক। সব পেলে নষ্ট জীবন। আসলেই ভাই জীবন টা অপূর্ণ অবস্থায় বেশি সুন্দর। অন্তত পাওয়ার আকাঙ্খা তো থাকে। আর সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য সবসময় উওম কিছুই রেখে দেন। সর্বোপরি উচিত বাচ্চাদের সব ইচ্ছা পূরণ না করা ওদের অভাব শেখানো। তবে তাদের মধ্যে অতিরিক্ত আবদার এর উপস্থিতি আর হে না।।