কলকাতা ভ্রমণ - (কলকাতার বিখ্যাত কাঠি রোল)।
আজ - ১১ই, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

গত এক মাস আগে আমরা কলকাতা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই এ বিষয়টি আপনাদের কারো অজানা নয়। কলকাতায় বেশ মজার মজার কিছু খাবার খেয়েছিলাম। তার মধ্যে একটি ব্যতিক্রম খাবার খেয়েছিলাম যেটা আমার কাছে খুবই মজা লেগেছিল। শুধু আমার কাছে না সেই সাথে হাফিজ ভাই সুমন ভাইয়ের কাছেও বেশ মজা লেগেছিল। হাফিজ ভাই তো পরে আর একটি অর্ডার করতে চেয়েছিলেন। এটা ছিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী নিজাম হোটেলের কাঠি রোল। নামটা সর্বপ্রথম শোনা হয়েছিল নির্মল্লভাইয়ের কাছ থেকে।
![]() |
![]() |
প্রথম দিন তো আমাদের দাদার সাথে দেখা করে করে কেটে গেল। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয়েছে মূলত আমাদের ঘুরাঘুরির পর্ব। এবং এটি ছিল কলকাতা ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের ঘটনা। নির্মাল্য ভাইকে বলেছিলাম কলকাতার একটি বিখ্যাত খাবার খাওয়ানোর জন্য। নির্মাল্য ভাই অনেকগুলো খাবারের নামই বললেন। তবে আশেপাশে নিজাম হোটেলটি কাছে ছিল। যার ফলে ওইখানে গেলাম নিজাম হোটেলের বিখ্যাত কাঠি রোল খাওয়ার জন্য।
এটি আমাদের দেশের অনেকটা শর্মার মত। প্রথমে মাটন দিয়ে কাবাব প্রস্তুত করে। এরপর পরোটার মধ্যে কাবাব দিয়ে মুড়িয়ে দেয়। এটি টেস্ট ছিল সত্যিই অসাধারণ। যদিও আমরা হোটেলে বসে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। কারণ ঐদিন এতটাই কাজে ব্যস্ত ছিলাম যে। জাস্ট রোল যে যার যারটা নিয়ে বের হয়ে আসি।
রোলের মধ্যে যে মাংস দেওয়া হয়েছিল তার পরিমাণ ছিল যথেষ্ট, রোলে কামড় দেওয়ার সাথে সাথে বেশ ভালো একটা স্মেল আসছিল । আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মাংসগুলো একবারে সফ্ট ছিল। রোলটি আমাদের সামনে প্রস্তুত করা হয়েছিল যার ফলে অনেক গরম গরম ছিল।
আর নিজাম হোটেল সম্বন্ধে যতটুক জেনেছি, এটি বেশ পুরানো একটি হোটেল ঐতিহ্যবাহী অনেক। আর এই কাঁথি রোলটি উনাদেরই আবিষ্কার। এটাই মোটামুটি ওনাদের একটা সিগনেচার আইটেম। সবাই আসলে এটাই খেতে চাই। আমার বাংলা ব্লগে যারা কলকাতা বাসি আছেন তাদের থেকে মতামত চাই এই কাঠি রোল সম্বন্ধে।
আমার তো খুবই ইচ্ছা পরবর্তীতে আবার যদি কখনো কলকাতা যাওয়া হয় তাহলে এই কাঠি রোলটি আবার অবশ্যই ট্রাই করা হবে।
তো আজ এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR














ঈদ মোবারক ভাইয়া। এই ঈদে মজার মজার খাবার খেতে খেতে আপনার কলকাতার কাঠি রোলের কথা মনে পরে গেল।আপনি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার খুব ভাল লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের শর্মার মতোই।অনেক পুরনো হোটেলের কাঠি রোল।আপনারা সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন আবার কলকাতা গেলে খাবেন, তবে তো বেশ মজারই বলতে হয়।কলকাতা গেলেও আমার খাওয়া হয়নি।কারন আমিতো জানতামই না।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো সবাই পছন্দ করে। যদিও বাংলাদেশে কাঠি রোল পাওয়া যায় না। তবে কলকাতায় গিয়ে এই মজার খাবারটি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে কাঠি রোল খেতে সত্যিই দারুণ ছিল। যাইহোক ভাইয়া দেখতে দেখতে ঈদের কয়েকদিন পেরিয়ে গেল। সেই সাথে বেশ খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে সবার। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া। আপনাকে জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।
নিজাম হোটেলের মটন কাঠি রোল আমি নিজেও দুই একবার খেয়েছি। তারা সবসময়ই কোয়ালিটি বজায় রাখার চেষ্টা করে।তবে আরিফ ভাই একটা জিনিস মিস করে গেছেন, সেটা হল দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি এবং ফিস কাটলেট। এর পরবর্তীতে যখন কলকাতা আসবেন, তখন এই দুটো জিনিস না খেয়ে যাবেন না।
আপনার থামনেইল দেখে আমি ভেবেছি শর্মা কে কাঠি রোল বলছেন। ডিটেইলস পড়ে বুজলাম এটি আসলেই রোল। আমিও কলকাতার নিজাম হোটেলে খেয়েছিলাম কিন্তু রোল খেয়েছি কিনা মনে নেই। আরো অনেক মজার খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে কলকাতায় যেমন রয়েল, আরসালান । আসলে কলকাতায় এত মজার মজার খাবার আছে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নেক্সট যখন যাব আপনার এই স্পেশাল কাঠি রোল অবশ্যই খেয়ে আসব। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া কলকাতার বিখ্যাত নিজম হোটেলের কাঠি রোল সম্বন্ধে ধারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। যদি কখনো যাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই নিজাম হোটেলে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কাঠি রোলটা দেখেই খুব ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজাম হোটেলের বিখ্যাত কাঠি রোল দেখে তো জিভে পানি চলে এলো ভাইয়া। এটা ঠিক বলেছেন কাঠি রোল দেখতে আমাদের দেশের শর্মার মতোই লাগে। নির্মল্ল ভাইয়ের কাছ থেকে তো মজার একটি খাবারের কথা জানতে পেরেছেন আপনারা। মজার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন আপনারা। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তো তাহলে বেশ ভালই খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে এই কয়দিন । রোস্ট ,কাচ্চি থেকে শুরু করে আরো কত কি! এই কাঠি রোল তাহলে তো একদিন খেতেই হচ্ছে। এত সুন্দর যখন খেতে। নির্মাল্য দাদা তো দেখছি আপনাদের খুব টেস্টি একটা খাবারের সন্ধান দিয়েছে। বাহ্, ভিতরে মটন দেয়া ছিল ওয়াও খুব টেস্টি!
কোলকাতা ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনে নির্মাল্য ভাইয়ের থেকে জেনে নিজাম হোটেলের বিখ্যাত কাঠি রোল খেয়েছিলেন,যেটা আপনাদের সবার ভালো লেগেছিল।এই রেসিপিটি নিজাম হোটেলের আবিষ্কার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নিজাম হোটেলের বিখ্যাত কাঠি রোল খাওয়ার কথাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে, কলকাতার সবচাইতে সেরা খাবারটি খেয়ে এসেছিলেন। ভাইয়া এবার কলকাতার কাঁঠি রোল খাওয়ার জন্য আরো একবার কলকাতায় যাবেন। কাঠি রোল খাওয়ার দারুন অনুভূতির কথাগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।