শৈশবের স্মৃতি।
আজ- ১৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
মানুষ যদি তার জীবনের কোন সময় কিনতে পারতো তাহলে আমার মনে হয় শৈশবকালটাকে কিনে নিত। কেননা একমাত্র সেই সময়কালটাতেই রয়েছে প্রশান্তি। প্রত্যেকের জীবনে শৈশবকালটা রঙিন ঘুড়ি উড়ে বেড়ানো মত, রঙিন আকাশে পাখি যেমন উড়ে বেড়ায় ঠিক তেমনি আমাদের মনটাও উড়ে বেড়াতো এবং সব সময় রঙিন থাকতো শৈশব কালটাতে।
আমরা যত বড় হতে থাকি যত বাস্তবতার খুব কাছাকাছি আসতে থাকি ততই আমাদের জীবনের রঙগুলো ফ্যাকাসে হতে থাকে। কিন্তু আমাদের শৈশব গুলো থাকে রঙিন কারণ তখন আমরা বাস্তবতা থেকে অনেকটা দূরে নিজের কল্পনার এক রঙিন জগতে বসবাস করা হত ।
শৈশবের এই সময়গুলোতে নিজস্ব এক চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিয়ে থাকা হতো সব সময়। এমন এমন কিছু ধারনা এমন এমন কিছু স্বপ্ন থাকতো যেগুলো বাস্তবের সাথে সম্পন্ন অমিল। তারপর ও অবুঝ ওই মনে অবাস্তব ওই স্বপ্নগুলো নিয়ে যেন নিজের মধ্যে হারিয়ে যেতাম।
জীবন যত গড়াচ্ছে, সময় যতই যাচ্ছে , বয়স যত বাড়ছে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো যেন আরো খুব বেশি করে মিস করছি। মাঝে মাঝে এখনো ইচ্ছে করে শৈশবের সেই সময়টার মতো করে নিজের জীবনটাকে আবারো পরিচালন করতে। কিন্তু সেটি শুধুমাত্র নিছক কল্পনাতেই সম্ভব। বাস্তবে এটি কখনোই আর সম্ভব নয়। কেননা ভয়ংকর বাস্তবতা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে রেখেছে । জীবনের দায়িত্ববোধের চাপে আমরা নুয়ে পড়ছি। ব্যস্ততার চাপে আমরা অস্থির হয়ে উঠেছি ।
সময় নেই আমাদের আর নিজেদের মধ্যে কল্পনার জগতে ভেসে যাওয়ার। এখন চাইলেও আর আগের মতো করে নিজের কল্পনায় ডুবে থেকে নিজের সম্রাজ্য তৈরি করা সম্ভব হয় না।
জীবনটা প্রতিনিত হয়ে উঠছে যান্ত্রিক। একটি ডেইলি রুটিনের মধ্যে বদ্ধ আমাদের জীবন। সময় কই আর আমাদের কল্পনার জগতে নিজেকে হারিয়ে নেওয়ার। তাইতো মাঝে মাঝে কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে না পারলেও শৈশবে স্মৃতিতে হারিয়ে যায়। আর সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলোর কিছুটা অনুধাবনের চেষ্টা করি।
শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে এখনো মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। পছন্দের মানুষগুলো যারা কিনা আজ পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই তবে তাদের সাথে কাটানো সেই সময় গুলো যেন এখনো চোখে ভাসে। ইচ্ছে করে মানুষগুলোকে আবারও ফিরে পাওয়ার।
যাইহোক সকলের মনে শৈশবের সেই সুন্দর স্মৃতিগুলো বেঁচে থাকুক আজীবন। শৈশবের সময়গুলোতে ফিরে যেতে না পারলেও অন্তত শৈশবের সেই সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকাটাও আনন্দের।
আজ তাহলে এখানে বিদায় নিচ্ছি ।সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন। আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি সত্যি বলেছেন ভাই যদি টাকা দিয়ে মানুষের জীবনের কোন মুহূর্তকে না যেতো তাহলে শৈশবের মুহূর্তটাই মানুষ কিনতো। প্রতিটি মানুষেরই শৈশব অনেক সুন্দর হয়। এটা সত্যি যে যতই দিন যাচ্ছে মানুষ ততই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে শৈশবের সময় গুলোতে ভাবনা ছিল অন্যরকম। সেই সময় এমন কিছু ভাবনা ভেবে রাখতাম যেগুলো কখনোই বাস্তবে সম্ভব না। আর এখন তো সেরকম ভাবনা ভাবারো সময় হয় না, কারণ বাস্তবতার এই ভাবনা ভাবতে ভাবতেই দিন কেটে যায়। তাইতো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে শৈশবের স্মৃতিগুলো একটু মনে করে আনন্দ ফিল করার। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই শৈশবের স্মৃতি নিয়ে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই সময় টাকে যদি কিনতে পারা যেত তাহলে মনে হয় সকলেই শৈশবটাকে কিনতে যেতো।প্রত্যকের জীবনে শৈশবে টাকে মিস করে,সকলেরই আপসোস থাকে যদি শৈশব টাকে কিনতে পারা যেত।বয়সের সাথে সাথে ব্যস্ততা বাড়ে চাইলেন ব্যস্ততাকে ওভারটেক করা যায় না।
শৈশবের স্মৃতিময় মুহূর্ত গুলো মনে পড়লে অটোমেটিক হাঁসি চলে আসে। কত না দুষ্টামি আর খেলাধুলা করেছি। অনেক সময় দুষ্টামি করতে করতে মায়ের মাইর খেয়েছি। সারাদিন কত ধরনের খেলাধুলা তার শেষ নেই। সত্যি বলতে টাকা দিয়ে শেই দিন গুলো ফিরে পাওয়া গেলে সবাই সেটাই নেওয়ার চেষ্টা করতো। তবে শৈশবের সেই স্মৃতিময় মুহূর্ত গুলো নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশব থেকে ঘুরে আসলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া , শৈশবে আমরা কতই না মজা এবং আনন্দ করে কাটাতাম। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে দিন দিন সবকিছুই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। আসলে ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়লে ইচ্ছে করে এখনো ফিরে যেতে। কিন্তু বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। আপনার কথাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এইভাবে স্মৃতিগুলো ধরে রাখলেও কিন্তু কিছুটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
ভাইয়া, শৈশবের স্মৃতিগুলো সত্যিই অনেক মধুর হয়। শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে করতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, যদি কখনো সময় কেনা যেত, তাহলে সকলে শৈশবের সেই মধুর সময়টাকে কিনতে চাইতো। বর্তমানে সাংসারিক প্যারা ও ব্যস্ততার দিন আমাদের জীবনকে যেন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আর এই সময়ে এসে যখন আমরা শৈশবের সেই সেই মধুর স্মৃতিগুলো মনে করি, তখন মনের মধ্যে খুবই আনন্দ অনুভূত হয়। ভাইয়া, শৈশবের স্মৃতি নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলেই ভাই শৈশবের সময়টা কিনতে পারলে ঠিকই কিনে ফেলতাম। যাইহোক শৈশবের দিনগুলো সত্যিই মধুর ছিলো। সারাদিন খেলাধুলা করতাম এবং হৈ-হুল্লোড় করতাম। মনের মধ্যে কোনো টেনশন ছিলো না। কিন্তু এখন তো দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। ব্যস্ততার কারণে জীবনটাকে উপভোগ করাও সম্ভব হয় না। যাইহোক মাঝেমধ্যে শৈশবের স্মৃতিতে হারিয়ে যেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রত্যেকটা মানুষই তার শৈশবে ফিরে যেতে চায়। কারণ আমরা যত বড় হই তত বেশি বাস্তবতার সম্মুখীন হতে থাকি এবং জীবনের রংগুলো ততই ফ্যাকাসে হয়ে যায়। আমরা প্রতিনিয়ত যান্ত্রিকতায় অভ্যস্ত হচ্ছি এবং আমাদের জীবনটা একটা রুটিনের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকছে। আমারও দাদা ছোটবেলার কথা অনেক মনে পড়ে। সব থেকে খারাপ লাগে সেই মানুষগুলোর জন্য, যাদের সাথে একসময় প্রচুর সময় কাটিয়েছি এবং সেই মানুষগুলো এখন পৃথিবীতে নেই, এটা ভাবলে।
একটা সময় খারাপ লাগত এটা ভেবে কবে যে বড় হবো। আর এখন আফসোস হয় আর কী সেই শৈশব ফিরে পাব। এখনও যখন শৈশবের মূহুর্ত গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে খুবই ভালো লাগে। নিজের অজান্তেই হেসে উঠি। শৈশবে না ছিল কোন চিন্তা না ছিল টেনশন হা হা। আর এখন সবসময় একটা পেইনে থাকা। খুবই ভালো লিখেছেন ভাই। একেবারে অতীতে ফিরে গেলাম।