আজ নয় কাল।
আজ- ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, সকলকে নতুন আরো একটি দিনের শুভেচ্ছা । আসলে প্রতিটা সকাল প্রতিটা দিন কিন্তু আমাদের জীবনের জন্য নতুন। একটা একটা দিন পেরিয়ে যাওয়া মানে আমাদের আয়ু থেকে একটু একটু করে সময় চলে যাওয়া। কিন্তু এই বিষয়টা আমরা কেউ মাথায় রাখছি না। কোন না কোন ভাবেই দিনগুলো পার করে ফেলছি। এবং পরবর্তীতে আরো একটি দিনের অপেক্ষায় থাকছি। এবং আমরা আমাদের জীবনের বেশি সময় এভাবেই নষ্ট করছি। এমন অনেক কাজ ফেলে রাখছি আজ নয় কাল এমনটা ভেবে। "আজ নয় কাল" এই চিন্তাভাবনার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক কাজ থেকে পিছিয়ে পড়ছি।
এমনকি আমি নিজেও এই বিষয়টার ভুক্তভোগী। অনেক কাজ শুধুমাত্র আলসেমি না হয় ব্যস্ততার কারণে আজ নয় কাল এমনটা ভেবে ফেলে রাখছি। এইতো বেশ অনেকদিন ধরেই একটি কাজ আটকে রয়েছে শুধু মাত্র প্রত্যেকটা দিন এটাই ভেবে যে আজকে নয় কালকে করব। আর এমনটা ভেবে ভেবে কতগুলো সময় যে পার করে ফেলেছে তা ভাবতেই যেন অবাক লাগছে। আর এই কাল করব এমন করতে করতে অনেকগুলো কাজ আমার জমে পড়ে রয়েছে।
আসলে যে কোন কিছুর ক্ষেত্রে আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো থেকে জীবনের সব থেকে বড় শিক্ষাগুলো গ্রহণ করতে পারি। এই শিক্ষাটা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি যে , কালকের জন্য কোন কাজ রেখে দেওয়া মানে কাজটি থেকে পিছিয়ে আসা।
যেকোনো কাজ সময়ের মধ্যে করে নেওয়ায় সব থেকে উত্তম। পরের জন্য যদি রেখে দেয়া হয় তাহলে সেটি শেষ করতে অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায় । আবার অনেক সময় দেখা যায় সময়ের সাথে সাথে কাজটি না করার ফলে পরবর্তীতে আমরা ভুলে যাই সেটি করতে । তাই সময় থাকতে থাকতে ওই কাজটি করে নেওয়া ভালো। পরবর্তীতে করব ভেবে কাজটি রেখে দিতে দেখা যায় অনেকগুলো কাজ একসাথে জমেছে এবং সেটি করতে ও আরো সময় লেগে যায় বেশি।
তাই আজ নয় কাল এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে যে কোন কাজ আজকের মধ্যেই সেরে নিতে হবে এমন মনোভাব তৈরি করে নিতে পারলেই আমরা সব কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবো।
আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন। আবার ও অন্য কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সময়ানুবর্তিতা একটি উন্নত জীবন পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে মানুষ স্বভাবের বশে পরবর্তী দিন বা সময়ের জন্য নিজের কাজ রেখে দেয় যা একসময় বোঝায় পরিণত হয়।
এ বিষয়টি একটি সাধারণ ঘটনা যা আমাদের সবার জীবনেই কমবেশি ঘটে। এ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরা জীবনকে উন্নত করতে পারি বর্তমানকে মূল্য দিয়ে।
ধন্যবাদ এ বিষয়টি সামনে আনার জন্য।
একদিন একদিন করে আমরা আমাদের সময়কে পার করে ফেলছি।আজ নয় কাল বলে কোন কাজকে ফেলে রাখা উচিত নয়।সময়ের কাজ সময়ে করে নেয়াই উত্তম।নয়তো কাজটি করতে হবে তাও আমরা ভুলে যেতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই বিষয়টিকে নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিলেন আমাদেরকে। চরম বাস্তব সত্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। আমরা অধিকাংশ মানুষই কাজগুলোকে এখন না একটু পরে, আজ না হয় কাল এভাবে করতে করতে সময় পার করে দিই। কিন্তু কাজের বেলা কিছুই হয় না। অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
একটা সময় আমি এমন টা চিন্তা করতাম কাল না আজ করব আজ না এখন করব। সত্যি বলতে এই চিন্তা ধারা নিয়ে আমি অনেকদিন চলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আবার আজ না কাল, কাল না পরশু অবস্থায় চলে এসেছি। এটা অধিকাংশ সময় আমাদের অন্যদের দিয়ে পিছিয়ে দেয়। এবং একটা সময় গিয়ে অনেক প্রেসার সৃষ্টি করে। এইজন্যই দিনের কাজ দিনে শেষ করাই সর্বোওম ব্যাপার।
আজকের কাজ কখনোই আগামী কালকের জন্য ফেলে রাখতে নেই। এতে করে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। আর অতিরিক্ত চাপে থাকলে যেকোনো কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সবসময় সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত। তাহলে জীবনটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমাদের সবার লাইফেই এরকম হয় দাদা। যে কোনো কাজ মনে হয় যে, আজকে না করে কাজটা পরবর্তীতে করে নেব। তবে সমস্যাটা হয় ঠিক সেইখানে, যখন পরের দিনও কাজটা করতে ইচ্ছা করে না এবং একসময় ভুলেও যেতে হয়। তবে যারা প্রকৃত কর্মঠ তারা কিন্তু সময়ের কাজ সময়ে করে। আর এই কারণেই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সময়ের কাজ সময়ে করা। এতে করে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে, এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।