সুস্থতায় সবকিছু।
আজ- ১০ই পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আর আমাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তো কতটুকু উন্নত তা আমরা সকলেই জানি। প্রথমে কিছু ওষুধ দেবে এরপর ওই ওষুধে কাজ না করলে এরপর ওষুধ আবারো চেঞ্জ করে দিবে। এরপর ওই ওষুধে কাজ না করলে আবার ওইটাও চেঞ্জ করে দিবে। এভাবে বিভিন্ন রকমের প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় ঔষধ দিবে আর চেঞ্জ করতেই থাকবে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় সামান্য কিছু অসামান্য তে পরিণত হয়। আমি মনে করি সব রোগের চিকিৎসা আছে কিন্তু রোগ নির্বাচন করাটাই হচ্ছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
যাই হোক, আমরা বাঙালিরা সাধারণভাবে এই সকল সামান্য সর্দি কাশির জন্য কখনোই ডাক্তারের সানাপন্ন হয় না। নিজে নিজেই ভালো হওয়ার চেষ্টা করি। তবে অতিরিক্ত কোন সমস্যা না হলে আমি মনে করি ঘরেই ট্রিটমেন্ট করা ভালো। যেমনটা আমি করছি, নিয়ম করে প্রতিদিন দুই বেলা লাল চা, মধু, খেজুর এসব কিছু খেয়েই চলেছি। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তেমন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না, মুখে রুচি নেই খুব একটা তাই এসবের উপরেই আছি। মধু আমাদের শরীর গরম রাখতে অনেক বেশি উপকারী, আর খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনাগুন যেগুলো আমাদের দেহের শক্তি যোগায়। এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ আছি। তবে আমি কিছুটা সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে বাসার অন্য মেম্বারদেরও সর্দি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এটা অবশ্য নতুন কিছু নয়, বাসায় একজন অসুস্থ হলেই একে একে সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ে।
সুস্থতায় সব থেকে বড় নেয়ামত এই বিষয়টা আমাদের অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। একটু অসুস্থ হলেই বুঝতে পারি সুস্থতার মর্ম কতটুকু। যেমনটা আমি এই কয়দিন বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছি। কোন কিছুই যেন ভালো লাগতো না, কোন কাজে যেন মন বসত না, রাতে ঘুম হত না, খাওয়া-দাওয়া খেতে ইচ্ছে করতে না, মেজাজ খিটখিটে থাকতো, সামান্য কিছুতেই যেন বিরক্ত চলে আসতো। অসুস্থতা শুধুমাত্র আমাদের শারীরিকভাবে নই সেই সাথে মানসিকভাবে ও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই শীতের সকলের জন্য পরামর্শ থাকবে একটু সচেতন থাকার এবং নিয়মমাফিক চলাফেরা করার। অনিয়ম যে কোন কিছুই কিন্তু আমাদের শরীর খারাপের কারণ হয়ে ওঠে। আর সব সময় হাতের কাছে প্যারাসিটামল রাখবেন। যাতে সময়ে অসময়ে ফার্মেসিতে যেতে না হয়।
আজ এ পর্যন্তই এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকালে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন আর একটু সচেতন থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার মতে ছোটখাটো সমস্যাগুলোর জন্য ঘরে বসে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট গুলো নেওয়া উত্তম। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের ডাক্তারেরা শুধু একের পর এক ওষুধ লিখতে থাকে আর ঘন ঘন রিপোর্ট করাতে থাকে কারণ সেখানে তো তাদের কমিশন হচ্ছে।
দোয়া রইল আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের জন্য। যেন বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। আর এ দেশের ডাক্তারদের কথা আর নাই বা বললাম। তবে আমার মনে হয় আমাদের সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কেই চেষ্টা করে যেতে হবে। আমাদের সব সময়ই একটু সাবধানে থাকতে হবে। আর প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধ হাতের নাগালের মধ্যে রাখলে মনে হয় আমরা অনেক সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারি।
জি আপনি ঠিক বলেছেন একদম ভাইয়া,এই শীতের সিজনে মানুষ একটু বেশিই অসুস্থ হয়।এখন আপনি সুস্থ কিন্তু আপনার বাসার অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।যাদের ইমিউনিটি দুর্বল তাদের জ্বর,সর্দি তে বেশি পড়তে হয়।এছাড়া আবহাওয়ার বিষয় তো রয়েছেই।দোয়া রইল আপনার পরিবারের জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুস্থ্যতা আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নেয়ামত। অসুস্থ হলে আসলে বুঝা যায় সুস্থ্যতা কত বড় নেয়ামত ছিল। সবথেকে ভালো লাগলো আপনি ঘরোয়াভাবে ট্রিটমেন্ট নিয়েছেন। মধু আর খেজুর আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। আমি নিজেও প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে আপনার সুস্থ্যতা কামনা করছি 🌼
আমার কাছে মনে হয় অসুস্থ হলেই বোঝা যায় সুস্থতা কত বড় নেয়ামত। আজকে সারাদিন প্রায় অসুস্থতায় ভুগছি। তাই আপনার এই কথার মূল্য আমি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারছি। আপনার মত ঠিক আমিও সবাই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য গুতোগুতি করলেও আমার যেতে কোন ইচ্ছাই থাকে না। ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানেই একগাদা ওষুধ ধরিয়ে দেওয়া। তা একদমই বিরক্ত কর আমার কাছে। আর ঘরোয়া যে ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন এর থেকে আর ভালো কোন ট্রিটমেন্ট হতেই পারে না। তবে এ দুটো জিনিস আমি কেন জানি খেতে পারি না।
সত্যি ভাইয়া শীতের সময় ভালো থাকাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আর সবচেয়ে বড় কথা হল রোগ নির্ণয় করা এখন অনেক মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মেডিসিন খেতে খেতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ভাইয়া আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে সুস্থতা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। তবে অসুস্থ হলেই আমরা বুঝতে পারি সুস্থতার মর্মতা কতটুকু। যাইহোক বর্তমানে ঠান্ডা সর্দি তে অনেকেই ভুগছে। তাই আমাদের সবার উচিত আরো বেশি সতর্ক হওয়া। মধু এবং খেজুর খাওয়া এমনিতে ও খুব ভালো। আমি এগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। অসুস্থ থাকলে সবকিছুই বিরক্ত লাগে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ভাই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে অসুস্থ হলেই বোঝা যায় সুস্থতা কত বড় একটা নিয়ামত। আর অসুস্থ হলে কোনো কিছু খেতে ভালো লাগে না অল্পতে রাগ হয় মেজাজ খিটখিটে হয় মানে আপনার যেমনটা হচ্ছিল। যাই হোক আমি জানি যে বাংলাদেশের চিকিৎসার ব্যবস্থা অতটা উন্নতি না তবে সব জায়গায় এক না। অর্থাৎ যারা সৎ ভাবে চিকিৎসা করতে চাই তাদের কাছে গেলে এমনিতেই ভালো চিকিৎসা টাই পাওয়া যায়। তবে যারা চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা করে তাদের কাছে গেলে একটু সময় লাগে। ধন্যবাদ