মানিয়ে নেওয়া ।
আজ- ১৯শে কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
এই কয়দিন ধরে আমার সকালটা প্রচন্ড বিরক্ততার মধ্যে দিয়ে কাটছে । আমাদের ঠিক সামনের বিল্ডিংটাতে কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে যার কারনে বিরক্তিকর কিছু সাউন্ড সব সময় হয়ে চলেছে। আর এই শব্দগুলো এতটাই তীব্র যে বাসায় একজনের কথা আমরা আরেকজন শুনতে পাইনা । এমনকি ভয়েস টাইপিং করতে ও আমার অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখন জানালা সব বন্ধ করে তারপরে ভয়েস টাইপিং করতে হচ্ছে ।
সত্যি এই সকল সাউন্ড গুলো খুবই খুবই বিরক্তিকর। সে সকাল থেকে বিকাল অব্দি চলে এই সাউন্ড গুলো । নির্মাণ কাজের সময় টুকটাক শব্দ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে ওই ড্রিল মেশিনের শব্দটা সব থেকে বেশি বিরক্তকর। ঠিক সকাল আটটা থেকে এই ড্রিল এর কাজটি শুরু হয়। আর একদম নির্দিষ্ট সময়ের এ কাজটি শুরু হয় বলে ঘড়ি না দেখেও ঘুমের মধ্যেই আন্দাজ করা যায় যে তখন কয়টা বাজে। এই শব্দটি এখন আমার কাছে অনেকটা অ্যালার্মের মত কাজ করে। সকাল আটটার আগে যত ঘুমানোর ঘুমানো যায় সমস্যা নেই কিন্তু ওই সকাল আটটার পরে অর্থাৎ কাজ শুরু করার পর শান্তিতে আর ঘুমানোর কোন সুযোগ নেই। তবে এর ফলে এক দিক দিয়ে বেশ লাভই হয়েছে তা হল সকাল সকাল ঘুম ভেঙে যাওয়া। ফলে সকালে ঘুম ভাঙার একটা অভ্যাসা তৈরি হয়ে গেল। বিষয়টি বিরক্ত হলেও এই শব্দটি আমার ক্ষেত্রে এখন অ্যালার্ম এর কাজ করছে।
যাই হোক, এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝলাম তা হলো কিছু কিছু বিষয়ে আসলে আমাদের কাছে বিরক্তিকর হলেও তা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে হয়। কেননা এখানে না মেনে নেওয়ার তো কোন অপশনই নেই। আমাদের অসুবিধার কারণে যে তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে হবে সেটা তো আর হতে পারে না। তাই আমাদের অনেক অসুবিধা হলেও বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
আসলে আমাদের জীবনে এরকম ছোটখাটো অনেক অনেক ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়। আর না মেনে নেওয়ার ও কোন উপায় থাকে না। অনেক সময় এ সকল ছোটখাটো ঘটনা আমরা মেনে নিতে চাইনা বলেই এত এত সমস্যার সৃষ্টি করে ফেলি। আমি সব সময় বিশ্বাস করি মেনে নেওয়া কিংবা মানিয়ে নেওয়ার মতো শান্তি আর কোন কিছুতেই নেই। আমরা যদি খুব সহজে অনেক কিছুকেই মেনে নিই তাহলে অনেক দ্বন্দ্ব অনেক ঝগড়াঝাঁটি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আর আমরা যদি ভাবি আমরা কেন মেনে নিব কিংবা কেন মানিয়ে নিব তখন দেখা যায় অনেকটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কোন একটি বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ যদি মেনে নেয় তাহলে সেখানে দ্বিতীয় কথাটি আর আসে না। কিন্তু আমরা যদি তা না করে নিজেদেরকে সব সময় উপরে রাখার চেষ্টা করি সে ক্ষেত্রে এত সব সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সময়ের সময়ে অনেক কিছু মেনে নেওয়াটাই উত্তম।
যাইহোক, আজ এই পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাড়িতে আসার পরে আবওহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার বেশ অসুবিধা হচ্ছে ভাই। পাশাপাশি শরীর এবং মনটাও খারাপ। আমরা আমাদের সামান্য বুদ্ধি এবং একটু ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থেকেই এড়িয়ে যেতে পারি অনেক ঝামেলা। কিন্তু এই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। ড্রিল মেশিনের শব্দ সত্যি বেশ বিরক্তিকর। এটা নিয়ে বিরক্ত হওয়া একেবারে স্বাভাবিক।
সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই কোন কিছুই আসলে আমাদের হাতে না, সৃষ্টিকর্তা যেটা লিখে রাখছে সেটা হবেই আর সেই পরিস্থিতি সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া উত্তম।
ঠিক বলেছেন ভাই ,ওয়েদার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে খুব দ্রুতই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি । আজ সকাল ধরে সকাল থেকেই প্রচন্ড জ্বরে ভুগছি সাথে মাথা ব্যথা । যাক মানিয়ে নেয়ার অভ্যাসটা আসলেই খুব ভালো । কারণ আমাদের লাইফে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে যে মুহূর্তগুলোতে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হয় সেটা হোক আমাদের কাছে বিরক্তিকর । তবে আপনার অভ্যাসটা কিন্তু ভালো করে উঠেছে । সকাল আটটার মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে পড়তেছেন ,এটা অবশ্য ভালো ভাই ।
কন্সট্রাকশনের কাজ চললে বিরক্তিকর সাউন্ড খুবই খারাপ লাগে। আর নিজের কাজগুলো করা অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে। ভাইয়া আপনি অনেক সমস্যার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন বুঝতেই পারছি। তবে কি আর করার সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে।
আসলেই ভাই কনস্ট্রাকশন কাজ করার সময় প্রচুর সাউন্ড হয়। ঘুমের বারোটা বেজে যায় একদম। বেশ কয়েকমাস আমার বাসার নির্মাণ কাজ চলার সময় বুঝেছি কতোটা কষ্ট হয় ঘুমাতে। যাইহোক নীরবে সবকিছু মেনে নেওয়ার মধ্যে অন্য রকম প্রশান্তি কাজ করে মনের মধ্যে। যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। তাইতো ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে একে অপরের মধ্যে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই এটাই বাস্তবতা কারণ আমার অসুবিধা হলেও অন্যের কাজটা তো সম্পন্ন করতে হবে। তাই একটু বিরক্ত কর হলেও তার কাজটা সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিজেকে ধৈর্য ধরে বা মানিয়ে নেওয়াই সর্বোত্তম।
খুব সুন্দর পোস্ট মানিয়ে নেয়া।আসলেই ঠিক কোন কোন পরিস্থিতিতে পড়লে আমাদের কে মানিয়ে নিতে হয়।কিচ্ছু করার থাকে না।সত্যি তো আপনার কিংবা আশেপাশের বিল্ডিং এর মানুষ দের অসুবিধের কথা ভেবে তো কাজ বন্ধ রাখতে পারবে না।বরং আশেপাশে মানুষ দের মানিয়ে নিতে হবে।তবে সত্যি আপনার জন্য একটু হলেও উপকার হয়েছে। সকাল সকাল ঘুৃম থেকে উঠে পড়তে হচ্ছে বাধ্য হয়েই।ঠিক বলেছেন আপনি মেনে নেয়া বা মানিয়ে নেয়ার মতো শান্তি আর কিছুতে নাই।কাজ সারাজিব থাকবে না আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।তাই আমাদের সবার মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস করা দরকার।