চুপ থাকতে শিখাটা জরুরী।
আজ - ১৪ই ভাদ্র |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমি প্রায় সময় একটা জিনিস খেয়াল করি যে কোন ঝগড়ার সময় কিংবা তর্ক বিতর্কে সময় কোন একজন যদি চুপ থাকে তাহলে এক কথা থেকে আর দুই কথা হয়না ওই জায়গায়তে। কিন্তু এক পক্ষ যদি অন্যপক্ষকে সমানে তাদের যুক্তি বুঝাতে থাকে তাহলে সেখানে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। একটা জিনিস কিন্তু মাথায় রাখবেন কেউ কারো কথা কখনোই নিচে রাখতে চাই না প্রত্যেকে চায় তার কথাটা সবসময় উপরে থাকবে। আর প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা, যুক্তি ওপরে রাখতে গিয়েই কিন্তু ঝগড়াঝাটির সৃষ্টি হয়। আর অধিকাংশ ঝগড়া সৃষ্টি হয় কিন্তু সামান্য কিছু কারণ থেকে। কোন এক পক্ষ যদি অন্যপক্ষকে কিছু বলার সুযোগ দেই, এবং নিজে চুপ থাকে তাহলে সেখানে দ্বিতীয়বার আর কথা হয়না।
তবে পৃথিবীর সবথেকে কঠিন কাজ কি জানেন তো চুপ থাকা। আর এই চুপ থাকাটা হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত ঝগড়ার অবসান। আমি এই কথাই বিশ্বাসী, যে সব মানুষরা নিজেকে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে নিজের মুখটাকে সংযত রাখতে পারে সে মানুষটাই সবথেকে বেশি বুদ্ধিমান। কারণ কথায় কথা বাড়ে, তর্কে তর্ক বাড়ে, কিন্তু চুপ হয়ে গেলে সেখানে দ্বিতীয় কথাটা আর হয় না।
মনে রাখতে হবে একহাতে কখনো তালি বাজে না। যেকোনো ঝগড়াই কিংবা তর্কে যদি একজন চুপ থাকে তাহলে অন্যজন সেই ঝগড়াটাকে আর বেশি দূরে নিয়ে যেতে পারবে না। ফলে এই ঝগড়ার ওখানেই সমাপ্তি ঘটে । তাই সময় অনুযায়ী চুপ থাকাটা শ্রেয়।
কিন্তু অনেকের কাছে এই চুপ থাকাটা অনেকটাই কঠিন কাজ। অপর পক্ষের মানুষটা যখন নিয়মিতভাবে কথা বলেই যাচ্ছে, দোষারোপ দিয়ে যাচ্ছে, অপমান করে যাচ্ছে তখন আসলে চুপ থাকাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ওই পরিস্থিতিতেও যদি চুপ থাকা যায় তাহলে মনে করবেন নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আর প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ কিন্তু আমরা এই কাজটি প্রত্যেকেই পারি না।
আর এই চুপ থাকার সাথে রাগের সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি মনে করি। চুপ না থাকার ফলে দেখা যায় ঝগড়া বাধে ফলে আমাদের রাগ বেড়ে যায় অনেক। কিন্তু রাগটা আমাদের জন্য বয়ে আনে ভয়ংকর বিপদ। কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন এই কথাটা তো আমরা থেকে জানি, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তবে আমরা তা মানিনা। বাস্তব জীবনে আমরা এই কথাটার অনেক সময় কোন ভিত্তি দেই না । যদি আমরা এই কথাটি মেনে নিতাম তাহলে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যেত।
যাইহোক আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমি আর আমার হাসবেন্ড গতকাল সন্ধ্যায় এই টপিক্স নিয়ে আলোচনা করছিলাম আরিফ ভাই।যাদের বাসা একতলা বা দোতলায়, মেইন রাস্তার দিকে তাদের আসলে কোন কিছুতেই শান্তি নাই। ঘুমাতেও পারে না ঠিকঠাক, গাড়ির হর্ণ, রাস্তার হাউকাউ এর কারণে।
আপনি আপনার সুন্দর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছেন আজকের পোষ্টের মাধ্যমে। রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন-আমরা কমবেশি সবাই জানি, তবে মানি না। আর তাছাড়া রাস্তাঘাটে অপরিচিত মানুষ জনের সাথে কী ভেবে মানুষ ঝগড়া করে, এটাও আমার মাথায় আসে না।
এক কথায় অসাধারন কিছু কথা আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চুপ থাকা। বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চুপ থাকতে পারলেই কিন্তু আমাদের জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকেই চুপ থাকার অভ্যাস করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
বর্তমানে যেকোনো সাধারণ বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি করার প্রবণতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় সব জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সবাই চায় নিজের কথা উপরে থাকুক। যুক্তি ছাড়াই অনেক মানুষ কথা বলে,আবার সেই কথার উপর ভিত্তি করে তর্কাতর্কি করতে থাকে। আর এতে করে ঝগড়া আরো বাড়ে। ঝগড়ার সময় এক পক্ষ চুপ থাকলে খুব সহজেই মীমাংসা হয়ে যায়। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই কম পাবলিকই চুপ থাকতে পারে! এটা সমাজে দেখা যায়ও বেশি! যার জন্য ঝগড়াফাসাদ প্রতিদিন লেগে থাকে। অথচ এক পক্ষ চুপ থাকলে চিত্রটা অন্যরকম হতো। চুপ থাকাটাও একটা ইবাদত!
কথায় আছে,বুদ্ধিমান মানুষেরা একটু চুপচাপ স্বভাবের হয়। তারা কথা খুবই কম বলে।কথায় আছে,বুদ্ধিমান মানুষেরা একটু চুপচাপ স্বভাবের হয়। তারা কথা খুবই কম বলে।বর্তমান সময়ে বুদ্ধিমান মানুষের সংখ্যা কমে গেছে।কারণ কেউ একজন তাকে কিছু বললে সাথে সাথে তাকে জবাব না দিলে তার যেন ভাত হজম হয় না।কিন্তু এক পক্ষ যদি চুপচাপ থাকে তাহলে কিন্তু এই বিতর্কটা আর বেশি দূর যায় না।কিন্তু তা তো আর কেউ করবে না।যেকোনো উপায়ে হোক না কেন সে নিজেকে ঠিক বলে প্রমাণ করেই ছাড়বে। এইসব নিয়েই এক পক্ষ অন্য পক্ষের সাথে তর্কাতর্কির শেষ নেই।আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে এইসব সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানলাম।আমিও আপনার মত মনে করি,সকল পরিস্থিতিতেই চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটা ট্রপিকস নিয়ে আজকে আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আসলেই আমাদের চুপ থাকতে শেখাটা অনেকটাই জরুরী। কথায় কথা বাড়ে, ঝগড়াঝাটি বৃদ্ধি পায়। এর থেকে ভালো চুপ থাকা। যেকোনো পরিস্থিতিতে চুপ থাকা হল বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে তর্ক তখনিই বেশী হয় যখন দুই পক্ষেই কথা বলা বন্ধ না করে। আজ আমাদের সমাজে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয় বলেই আজকে সামান্য একটা বিষয় নিয়ে ও অনেক কিছু হয়ে যায়। তবে দুই পক্ষের তর্কের সময় যদি এক পক্ষ চুপ থাকে তাহলে সেটার কোনো জটিলতার প্রভাব থাকে না। তবে আপনার পোস্টটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি শিক্ষোনীয় বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
রাগ সব সময় আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাগ যখন হয় তখন ওই সময়টাতে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। আমরা সবাই জানি চুপ থাকলে অনেক কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায় কিন্তু এটা খুব কম মানুষই পারে। কথা যদি কম বলা যায় তো নিজের ভুলটা কম হয়। তাই আমাদের সবার চুপ থাকার অভ্যাসটা করা উচিত। অনেক মূল্যবান কথা আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপনি ভাইয়া।কেউ তার নিজের কথাকে নিচে রাখতে চায়না কখনো।আর নিজের কথা উপরে রাখার জন্যই তর্ক করতে গিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়।এক হাতে তালি বাজে না এটা তো সবসময় সত্য।কারণ একজন চুপ থাকলে ঝগড়া বা তর্ক কোনোটাই দীর্ঘ হয়না।চুপ থাকা জরুরি যেকোনো পরিস্থিতিতে।ভালো লেগেছে পোস্টটি, অনেকটাই শিক্ষণীয় ছিল লেখাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।