কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে।
আজ- ২৪শে বৈশাখ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![lightning-1056419_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZYv1BfX6hpZcJa9JteXJ9P4gz52H8e6JAW61ujpEyB22/lightning-1056419_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
জুস খেয়ে বাইরে বের হতে না হতেই দেখি চকচকে রোদের আলো নিমেষের মধ্যে ঘন কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে। মধ্য দুপুর সময় তখন আনুমানিক তিনটা কিংবা পৌনে তিনটা বাজে। আর এই মুহূর্তে কালো মেঘে পুরো আকাশ দেখে মনে হতে লাগল এই যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ওয়েদারের এমন পরিবর্তন দেখে সত্যি আশ্চর্য হয়ে পড়েছি। এই তো কিছুক্ষণ আগে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে ঠান্ডা আইসক্রিম হাতে নিয়ে মলের ভিতর ঢুকেছি আর বের হতে না হতেই দেখা যায় মুহূর্তে শীতল বাতাসে চারদিক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক পরবর্তীতে এই মধ্যে দুপুরেও তখন সন্ধান নামার মত অন্ধকার হয়ে পড়েছে দেখে আমি তাড়াহুড়া করে গাড়িতে উঠে পড়ি। কেননা ওয়েদার দেখে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। ক্রমশ পরিবেশটা অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকার হয়ে আসছে। বৃষ্টি হবে হবে এমন পরিস্থিতি বেশ অনেকক্ষণ বিরাজমান ছিল। অবশেষে ঘন অন্ধকার হয়ে হালকা বৃষ্টি থেকে থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হল। সাথে ক্রমশ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তার ওপর ঝড়ো হওয়া বইছে। ওই মুহূর্তে আমি বাসে ছিলাম আর আমার গন্তব্য পৌঁছাতে আর দশ মিনিটের মতো বাকি ছিল। কিন্তু বাহিরে যে হারে ঘন বর্ষণ শুরু হয়েছে তাতে অনেকটাই চিন্তা ব্যস্ত হয়ে পড়েছি বৃষ্টির মধ্যে কিভাবে গাড়ি থেকে নামবো।
অবশেষে আমি গন্তব্যে পৌঁছালাম তবে তখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বাস থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে একটি দোকানে নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তবে মুহূর্তের মধ্যে পুরোই ভিজে গিয়েছিলাম। ওই দোকানে আমার মত আরও অনেক পথচারী ছিল যারা কিনা আমার মত অর্ধ ভিজে অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। ভেবেছিলাম একটু বৃষ্টিটা কমলে কোন সিএনজি রিক্সা ঠিক করে বাসায় চলে যাব কিন্তু ওয়েদার আরও খারাপের দিকে যেতে লাগলো। বৃষ্টি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এক পর্যায়ে প্রচন্ড জোরে ঘূর্ণিঝড়ের মতো বাতাস বইতে শুরু করল। আসলে ওই মুহূর্তে বাতাসের যে তীব্রতা ছিল তা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয় । ঝড়ো বাতাসে নিমিষের মধ্যে বড় গাছের ডালগুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং সব কিছু চোখের সামনেই তছনছ হয়ে যাচ্ছে। একটু দূরে আমার সামনে এই ঝড়ো বাতাসের কারণে রিক্সা দুটি উল্টে গিয়েছে। ওই মুহূর্তে বেশিরভাগ দোকানে শাটার বন্ধ করে দিয়েছে। আমিও যে দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলাম ওই দোকানটাতেও শাটার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এরপর প্রায় আধা ঘন্টার মত এভাবে ঝড়ো হাওয়া বইতে লাগলো। আর এই কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে পুরো রাস্তাঘাট একেবারে পানি গিয়েছিল। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে একটা রিক্সা নিয়ে নিয়ে বাসায় ফিরে আসি। চোখের সামনে কালবৈশাখের ওই ঝড়টা অনেকটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল মনের মাঝে।
আমরা বড় বড় দালানকোঠায় বসে এ বৃষ্টি গুলোকে উপভোগ করি অথচ দ্বীপ অঞ্চলে কিংবা চরাঞ্চলে এরকম ঘূর্ণিঝড়ের কাবলে পড়া মানুষগুলোর কতটাই না করুণ পরিস্থিতি হয় সেটা হয়তো আমরা ধারণা করতেও পারি না।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার এখানেও ২/৩ দিন বেশ ভালোই ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ওয়েদার এখন মোটামুটি শীতল হয়ে গিয়েছে। যাইহোক কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বেশ ভালোই ঝামেলায় পরেছিলেন ভাই। ঝড়ের সময় বাহিরে থাকাটাও রিস্ক। কখন গাছগাছালি ভেঙে নিজের উপর পড়ে যায়, সেটা তো বলা যায় না। অবশেষে ঠিকঠাক মতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শপিংমলে ঢোকার সময় আইসক্রিম খেতে খেতে ঢুকলেন আর বেরিয়ে এরকম অবস্থা জেনে একটু অবাক হলাম। আপনার পোস্টটি পড়ে যতটুক বুঝতে পারলাম মনে হচ্ছে বেশ ভালই ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়টাতে। আর হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন অনেকেই বড় বড় দালান থেকে এই ঝড় বৃষ্টি গুলোকে ইনজয় করে কিন্তু যারা আসলে এই ঝড় বৃষ্টির মোকাবেলা করে তারাই জানে এটা তাদের জন্য কত বড় দুর্যোগ।
কালবৈশাখী ঝড় অনেকাংশেই মনে ভীতির সঞ্চার করে, বিশেষ করে যখন ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে আর তার সাথে ভারী বৃষ্টি।
সবচেয়ে বড় বিষয়ট হলো ঘরের বাইরে থাকা ঝড়ের সময়, যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না ঝড়টা, তবে নিরাপদে কোথাও দালানের সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নেয়া ভালো।
আপনার অভিজ্ঞতাটি শুনে ভালো লাগলো।
কালবৈশাখী ঝড়ের প্রকোপ থেকে জনজীবন রক্ষা পাক, এই দোয়া করি।
আমরা শীতলার পরশ পেয়েছি। অথচ শীতলতার পরশ আনা বৃষ্টিই কখনও কখনও কালবৈশাখী ঝড় হয়ে ফিরে আসছে আমাদের মাঝে। যা কিনা অনেক জায়গায় ক্ষতির কারন হচেছ। বুঝতে পেরেছি সেদিন বেশ র্দূভোগের কবলে পড়েছিলেন আপনি।
ভাইয়া এমন পরিস্থিতিতে আমি অনেক বার পড়েছি। অবশেষে ভিজে ভিজে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। তবে লাষ্টের দিকে একটি দারুন কথা বলেছেন। বৃষ্টি সবার জন্য আনন্দের হয় না। যারা চরে থাকে,পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে,ফুটপাতে ব্যবসাকরে সংসার চালায় তারা বুঝে বৃষ্টি কি জিনিষ। যায়হোক তারপরও বলতে চাই, বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার একটি রহমত। ধন্যবাদ।