চঞ্চলতা ভালো নাকি খারাপ  গুণ।

কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভাল আছেন । চট্টগ্রামের দিকে যারা আছেন তারা অবশ্যই ভালো আছেন কারণ । আবহাওয়া টা আজ বেশ ভালই গরম - ঠান্ডা । এটা বেশব আরামদায়ক বেশি গরমও না , বেশি ঠান্ডাও না । আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়তেছে । আবহাওয়াটা আসলেই উপভোগ করার মত । আবহাওয়া ভালো থাকলে মন মেজাজও ঠিক থাকে । কিন্তু যারা একটু চঞ্চল তাদের মন মেজাজ সবসময় একটু চঞ্চল ই থাকে।

আচ্চা যাহোক এসব কথা এবার মুল কথাই আসি। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রয়েছে । প্রত্যেকে তার সেই ব্যক্তিত্ব অনুসারে চলে , কেউ ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারী , কেউ আছেন চঞ্চল , আবার কেউ আছেন যারা খুবই শান্ত শিষ্ট , আবার এই দুইয়ের মাঝখানে ও অনেকে আছে যারা কিনা , পরিস্থিতি বুঝে নিজের চঞ্চলতা প্রকাশ করে আবার শান্ত ও থাকে। যেমন আমি খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ সবার সাথেই বেশ ভালো ব্যবহার করে থাকি। যে কোন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করি । কেননা আমরা সমাজে তখন একজন মানুষকে আমরা ম্যাচিওর মানুষ বলি যারা কিনা পরিস্থিতি আনুসারে আচরণ করে । আসলে এটা একটি অনেক বড় গুণ মানুষের যারা কিনা পরিস্থিতি আনুসারে আচরণ করতে পারে ।

আমি যদি সাধারন একটি উদাহরণ দেই তাহলে আরো ব্যাপারটি পরিষ্কার বোঝা যায় , ধরেন আপনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বা আপনার চারপাশে অনেক মানুষজন , তখন সেখানে যদি আপনি , জোরে জোরে কথা বলেন তখন আপনি সকলের কাছে বাচাল হিসাবে সবার কাছে পরিচয় পাবেন । কেননা ওই পরিবেশটা এমনই যে আপনাকে অবশ্যই ভদ্র ভাষায় আস্তে আস্তে কথা বলতে হবে । তাতে করে আপনার মর্যাদা বা সম্মান সবার কাছেই বৃদ্ধি পাবে ।

তবে আরেকটি বিষয় হলো , সব সময় সবার কাছে একেবারে চুপচাপ থাকলে আপনাকে ইন্ট্রোবার্ট ট্যাগ দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি যখন আপনার সমবয়সীদের সাথে থাকবেন বা বন্ধু-বান্ধব এর সাথে থাকবেনন। তখন অবশ্যই আপনাকে ওদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশতে হলে একটুখানি হল চঞ্চলতার প্রয়োজন আছে । এই চঞ্চলতাকে আবার খারাপ গুণ বলে না এটাকে বলা হয় মিশুক স্বভাবের মানুষ । যারা খুব দ্রুত সবার সাথে মিশতে পারে ।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

তবে চঞ্চলতা সব সময় খারাপ গুণ হয় না । কেননা যারা চঞ্চল স্বভাবের মানুষ তাদের মনটা খুব ভালো হয়। হয়তো তারা মুখে অনেক উচ্চস্বরে অনেক কথা বলে কিন্তু তাদের মনটা অনেক সরল হয় তারা তাদের কথা সব সময় প্রকাশ করে ফেলে মনের ভেতর কিছু রাখে না। যদিও এটা বেশ ভালো গুণ ।

কিন্তু আমি মনে করি , প্রত্যেক মানুষেরই একটা নিজস্ব লিমিটের মধ্যে থাকা উচিত এবং কখন কোথায় কি ধরণের আচরণ করতে হবে সেই সম্বন্ধে ভালোর জানা থাকা উচিত । এতে করে একজন , মানুষ সাধারণ পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারে । যদিও আমরা সব সময় , পরিপূর্ণভাবে সবকিছু মানতে পারিনা । আমাদের চেষ্টা করা উচিত , সবকিছু পরিপূর্ণভাবে মানতে । যাতে করে সবাই , যাতে আমার ব্যক্তিগত সামান্য কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে । যাতে করে আমরা সবার কাছে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি।

এটা ছিল আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত , অন্য কারো সাথে আর মতামতের মিল না হলে । দুঃখ প্রকাশ করছি । কেননা প্রত্যেকে চিন্তা ভাবনা ভিন্ন হতেই পারে ।