অতিষ্ঠ জনজীবন।
আজ - ২২ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
গ্রীষ্মকালের গরম হবে এটাই স্বাভাবিক আর সব সময় এটিই হয়ে আসছে। তবে এই বছরের গরমটা মাত্রা অতিরিক্ত। গ্রীষ্মের সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পূর্বে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের গরম। তবে সব কিছু শেষে এই গরমে তীব্রতাটাও মানা যেত যদি না লোডশেডিং এর কোন ঝামেলা না থাকতো। কিন্তু এই তীব্র গরমের মাঝে লোডশেডিং সত্যি অসহ্য থেকে অসহ্যনিও পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
লোডশেডিং এর কথা আর কি বা বলব এটি তো বহু পুরনো বিষয়। এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যত দিন যাচ্ছে লোডশেডিং এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন নেই রাত নেই হুটহাট করে যখন তখন লোডশেডিং হচ্ছে। আসলে আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল আসতে দেরি লোডশেডিং হতে দেরি নেই। দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই কারেন্ট থাকছে না। বর্তমানে কারেন্ট এখন সোনার হরিণের মতো। যাকে কিনা পাওয়াই যাচ্ছে না।
নতুন করে নাকি আরো এক ঘটনা যোগ হয়েছে কিছুদিনের উৎপাদনের একটি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হতে চলল। জানিনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা কতটা পূরণ করা সম্ভব হবে। তবে বেশ আশঙ্কায় রয়েছি সামনের এই দিনগুলোর জন্য।
গরমের এতসব বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে একমাত্র আমাদের শান্তির বার্তা নিয়ে আসতে পারে বৃষ্টি। জানিনা কখন সে দেখা দেবে আমাদের। তবে তার অপেক্ষায় দিন গুনছি আমরা সকলেই। তবে এখন যে পরিমাণ গরম পড়ছে তাতে খুব সম্ভাবনা রয়েছে সামনে কোন এক ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার। আসলে প্রতিবারই এমনটা হয়। প্রচন্ড এ তাপদাহের পর দেখা যায় সাগরের নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় আর তার থেকেই তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়। কিছুদিন পর পর প্রচন্ড গরম সাগরের নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে ঘূর্ণিঝড় হয় এরপর ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে গরমের মাত্রা আবারো বৃদ্ধি পায় এর ফেলে আবারও সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়ের এরপর আবার গরম । আসলে এভাবেই চলে মোটামুটি প্রতিটা গ্রীষ্মকাল।
সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই এ প্রচন্ড গরমে সকলে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এবং নিজেদের যত্ন নেবেন এমন প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। কেননা এই গরমের একমাত্র ওষুধ হচ্ছে পানি। যে যত বেশি পানি পান করবে এই প্রচন্ড গরমে সেটাতে বেশি সতেজ এবং সুস্থ থাকবে। তো আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
যা বলেছেন ভাই,গতকাল মাত্র একঘন্টা ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিতে গেছি।পরীক্ষার হলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘামে খাতা ভিজে গিয়ে বিশ্রী অবস্থা। আপনিও সুস্থ সতেজ থাকুন এই প্রার্থনা করি।
সত্যি ভাইয়া আজ জনজীবন অতীষ্ঠ গরমে।সবাই একটু বৃষ্টির অপেক্ষায়।সেই শুভক্ষন যে কখন আসবে তা জানা নেই।কারেন্ট ত যায় আর আসে।এখন সুস্থ থাকাটা খুব কষ্টের হয়ে যাচ্ছে।এসময় খুব দরকার না হলে বাইরে না বের হওয়াই ভালো।আপনিও সুস্থ থাকবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
গরম দেখলে লোডশেডিং অনেক অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় । তারপরে আবার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে কি যে অবস্থা হবে আল্লাহই জানে। আর এই গরমে অতিষ্ঠ হওয়া থেকে আমাদের একমাত্র বৃষ্টিই রক্ষা করতে পারে । এবার তো বৃষ্টির চেহারা দেখতেই পাচ্ছি না জানি না কবে দেখবো। একেবারে ঝুম বৃষ্টি কবে নামবে নামলেই রক্ষা।
একদম সঠিক কথা গুলো বলছেন ভাই আপনি আসলে গ্রীষ্মকালে গরমের কথা তো সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এবছর গরমের পরিমাণ একটু বৃদ্ধি পেল। প্রতিবছর এরকম একটু একটু করে গরমের মাত্রা যোগ হচ্ছে আমাদের দেশে। তবে গরম যখন বৃদ্ধি পায় লোডশেডিং এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু এই বছর নতুন একটি সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণে লোডশেডিং এর পরিমাণ ও বৃদ্ধি পেল। তবে আমরা যারা শহরে আছি তারা একটু আরাম আছি কিন্তু গ্রামের মানুষ খুব বেশি কষ্ট পাচ্ছে লোডশেডিং এর কারণে। পুরো দিন মিলে মনে হয় দুই ঘন্টা ও বিদ্যুৎ দিচ্ছে না গ্রামে।
সত্যই বলেছেন গরমের দিনে গরম তো থাকবেই। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে গরম পড়ে। কিন্তু এবারে গরমটা মনে হয় অনেকটা বেশি। তার মধ্যে হানা দিচ্ছে বিদ্যুৎ। এক ঘন্টা যায় তো এক ঘন্টা আসে। নিজের দুর্বিষহ অবস্থা। তাকি আর বলতে। আবার তার সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধের ঘোষণা। কে জানে কি আছে কপালে।
ভাইয়া এমনিতে প্রচণ্ড গরম এবং তার উপরে তীব্র লোডশেডিং এ জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে গেছে। তবে এই গরম মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম তাই ভাইয়া,👍গরমে কেউ ভালো নেই।যতই দিন যাচ্ছে ততই গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই সময়ে বৃষ্টির কামনা করছে সবাই।কারন গরমে বিদ্যুত সমস্যা দেখা দেয় খুবই, তাই বৃষ্টিই একমাত্র শান্তি দিতে পারে।ভালো মনের ভাব প্রকাশ করেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।