সমাজ।

কি অবস্থা সকলের? কেমন কাটছে সকলের দিনকাল। আশা করছি ভালই কাটছে। কিছুদিন আগে লাগাতার বৃষ্টিতে পুরো শহরটাই তলিয়ে দিয়েছে। ভেবেছিলাম এটাই হয়তো বছরের শেষ বৃষ্টি। তবে এখন আবার নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে আসলে খারাপ লাগছে না বেশ ভালই লাগছে এবং পরিবেশটা ঠান্ডা ঠান্ডা আছে । তবে এই বৃষ্টির কারণে সব থেকে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে চলাফেরা। একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের শহরে দেখা যায় পানি উঠে যাই । তাই বৃষ্টির সময় প্রয়োজন ব্যতীত বাহিরে বের হওয়া যায় না । তবে যাদের প্রয়োজন তারা তার ঘরে বসে থাকতে পারেনা। যতই বৃষ্টি বাদল হোক না কেন তাদের অবশ্যই বের হতে হয় ।

প্রাকৃতিকভাবে যতই দুর্যোগ হোক না কেন ছুটে চলতে হবে তাদের কর্মক্ষেত্রে। আমি আমার আব্বুকে ছোটবেলাই দেখে এসেছি কর্মক্ষেত্রের প্রচন্ড পরিমাণে সৎ। তিনি সবসময় বলতেন যে কর্মটা আমাদের জীবিকা নির্বাহের করছে সে কর্মক্ষেত্রের সাথে কখনো বেইমানি করতে নেই। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সব সময় প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালো করার চেষ্টা করেছেন। এবং কখনো তার কাছে ফাঁকি দিতেন না। যতই অসুবিধা হোক না কেন যতই শরীর খারাপ হোক না কেন তিনি সবসময় কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতেন।

যদিও এই সমাজে ভালো মানুষের দাম নেই তাই প্রতি পদে পদে তার সৎকর্মের জন্য বাধা বিপত্তি সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তারপরে ও আব্বু ছিলেন তার কর্মে অটুট এবং নিষ্ঠাবান । আসলে আমি আমার এই জীবনে কর্মক্ষেত্রে এতটা সৎ মানুষ খুবই কম দেখেছি।

তাই সব সময় চেষ্টা করি যে কোন কর্ম ক্ষেত্রে নিজেকে পরিষ্কার রাখার। নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তোলার যাতে কেউ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে না পারে আমার কোন দোষ। আমি সব সময় কাজে বিশ্বাসী মুখে নয়। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজের আধিপত্য টাকে ধরে রাখতে নিজের অবস্থানটাকে শক্তভাবে গড়ে তুলতে।

জীবনে নিজের আধিপত্যটা ধরে রাখাটা আসলে খুবই প্রয়োজন সেটা কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যক্তি জীবনে। এমন ভাবে নিজের কাজের মাধ্যমে নিজের বিস্তার ঘটাতে হবে যাতে করে কেউ চাইলেও সরিয়ে দিতে না পারে। নিজের অবস্থান নিজেকেই গড়ে তুলতে হবে।

আসলে একটি জিনিস কি এ পৃথিবীতে কেউ কাউকে ছেড়ে দেয় না। আপনি যত উপর উঠে যাবেন দেখবেন আপনাকে টেনে ছিড়ে ততোই নিচে নামিয়ে দিবে। আপনি দুই কদম আগালে এক কদম পিছিয়ে যেতে বাধ্য করবে সমাজ । তাই বলে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সমাজ আমাদের অনেক কথাই বলবে, সমাজ আমাদের ভুল ধরিয়ে দিব। তাই বলে সমাজের কথা সবসময় মেনে চলা যাবে না।

আমরা সামাজিক জীব সামাজিকভাবে আমাদের বসবাস করতে হবে তবে এই সমাজকে যে আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে ও খুব বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলতে হবে তা কিন্তু না। মনে রাখতে হবে আগে আমাদের ব্যক্তির জীবন তারপরে সমাজ।

সমাজ ভালো কাজে প্রশংসা করে খুব কম এবং মন্দ কাজে নিন্দা করে সব থেকে বেশি। আসলে আমার মধ্যে সবথেকে বেশি ওই মানুষগুলোর যে মানুষগুলো সুখী যারা কিনা সমাজের ধার ধারে না সমাজের নিন্দিত মানুষগুলোকে পাত্তা দেয় না তাদের জীবনে। যখনই আপনার সমাজ কি বলবে সমাজ কি বলবে এমন চিন্তায় মগ্ন থাকবেন তখনই দেখবেন আপনার প্রতিটা পদে পদে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকটাই পাছে লোক কিছু বলে ওই কবিতাটার মত।

যাইহোক, আজ এই পর্যন্তই, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন নতুন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy