শৈশবের ঈদ আনন্দ।
আজ- ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যারা শহর অঞ্চলে পরিবার থেকে দূরে বসবাস করেন তাদের কাছে তো সব থেকে বড় বিষয় হলো ঈদের এই ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করা। একমাত্র তারাই সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারবে এই আনন্দটুকু, যারা কিনা পরিবার থেকে দূরে বসবাস করে এবং ঈদের এই সময় গুলোতে পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে যাই। ট্রেনে টিকিট পাওয়া, বাসের টিকিট, লাঞ্চের টিকিট এগুলো যেন ওই সময়টাতে সোনার হরিণ হাতে পাওয়ার মত ব্যাপার হয়ে ওঠে।
শহরে বসবাস করা বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু গ্রামে চলে যাই তাদের পরিবারের সাথেই ঈদ উদযাপন করতে আর তখন পুরো শহরটা হয়ে উঠে ফাঁকা। তখন শহরের এক ভিন্ন রূপ দেখতে পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে এখন থেকে শহরটা একটু একটু করে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাটে মানুষজনের খুব একটা আনাগোনা নেই। যেখানে ব্যস্ত শহর ছুটে চলত ঘড়ির কাটা কাটায় সেখানে শহরটা যেন অন্য এক রূপ নিয়েছে। আমরা যারা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা তারা শহরের এমন ভিন্ন রূপ দেখে মাঝে মাঝে আশ্চর্য হয়। সময় শেষে আবারো সকলে ফিরে আসবে তাদের নিজ নিজ বাসস্থানে তখন আবারো শহরটা হয়ে উঠবে যান্ত্রিক।
আসলে এটাই জীবন। মানুষ যখন কাজের পিছনে ছুটে চলবে তখন তার জীবনটা হয়ে উঠবে যান্ত্রিক আর মানুষ যখন অলসতা দিন কাটাবে তখন সেটি হয়ে উঠবে জীবনের বোঝা স্বরূপ। আসলে জীবনের সবকিছু ব্যালেন্স করে চলতে হবে। তবে এটা ঠিক যে জীবন কখনো পারফেক্ট হয় না জীবনটাকে পারফেক্ট করে নিতে হয়। যে যেই পর্যায়ে আছে সে পর্যায়ে থেকে জীবনটাকে উপভোগ করতে হয়।
যাইহোক, জীবনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছি। কেননা জীবনের সংজ্ঞা এতটা সহজ কোন বিষয় নয়। জীবনটা অনেকটা বৈচিত্র্যময় আর এই বৈচিত্র্যময় জীবনের সবটাই আমাদের পক্ষে জানা ও সম্ভব নয়।
যাইহোক, সে সব কথা বাদ দিয়ে এবার ফিরে আসি আমাদের ছোটবেলার সেই কাটানো ঈদগুলোর কথায়। বিষয়গুলো মাঝে মাঝে ভাবতে খুবই অদ্ভুত লাগে। ছোটবেলায় সেই ঈদগুলো কতই না আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল কিন্তু এখন তেমনটা যেন আর নেই। এই কোরবানি ঈদের কথায় যদি বলি, তাহলে গরু কেনা নিয়ে কতই না উল্লাস আনন্দ মেতে থাকতাম। হাট থেকে গরুকে মালা পরিয়ে বাড়ি আনা এরপর ওই গরুকে ঘাস খাওয়ানোর ওই গরুর পিছনে পিছনে সারাক্ষণ সময় ব্যয় করা। আবার কোরবানির দিন গরুকে গোসল করানো। এসব কিছু যেন অন্যরকম একটা ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল। মাংস রুটি নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া। সময় গুলো আসলেই আনন্দ পরিপূর্ণ ছিল।
কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ততা এবং বাস্তবতার কারণে এইসব বিষয়গুলো থেকে যেন অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। এখন আর সেভাবে হাটে গিয়ে গরু কেনা হয় না। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও যাওয়া হয় না। ব্যস্ততা এমন বাস্তবতার বেড়াজালে কাটছে সময়।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আসলে ঈদের সময় আসলে শহরের অস্থায়ী বাসিন্দারা চাই গ্রামে গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ উপভোগ করতে। আর সবাই একসাথে চাওয়া এক হওয়ার কারণে পাওয়া যায় না কোন গাড়ির টিকিট। মাঝে মাঝেই তো বিভিন্ন নিউজ এর মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি সবাই বাড়ি ফেরার জন্য কতটাই ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। আসলে এটাতেই তাঁদের আনন্দ। আর শৈশবের ঈদ যেটা অনেকেরই বেশ মধুর হয়ে থাকে। তাই এখন এই ব্যস্ততার মাঝে নিজের স্মৃতির পাতা থেকে খুঁজতে থাকে শৈশবের ঈদের আনন্দ গুলোকে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া যখন সবাই ঈদের ছুটিতে গ্রামে যায় তখন শহরটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আবার সবাই যখন ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসে আবার যান্ত্রিক জীবন শুরু হয়ে যায় ।তবে শৈশবের ঈদের আনন্দ একদমই অন্যরকম ছিল। কোরবানি ঈদ ছিল এক আলাদা অনুভূতি যা গরুকে নিয়ে তৈরি হতো ।এখনকার ঈদে সেরকম আনন্দ খুঁজে পাই না । আত্মীয়ের বাড়িতে তো সেরকম ভাবে আগের মত যাওয়াই হয় না ।আমরাও যেন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ।
শৈশবের ঈদের আনন্দের সাথে এখনকার ঈদের আনন্দ আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলা হাট থেকে গরু কিনে অনেক দূর দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসতাম। তারপর গরু বাসায় আনার পর যে কি আনন্দ লাগতো, সেটা বলে বুঝানো যাবে না। সেই দিনগুলো খুবই মিস করি। এখন গরু কিনতে হাটে গেলেও ততোটা আনন্দ লাগে না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।