খেজুর পিঠার রেসিপি।
আজ-৪ঠা কার্তিক ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |বুধবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে মজাদার খেজুর পিঠার রেসিপি শেয়ার করব।
এই পিঠাটিকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় খেজুর পিঠা। আর এটি বলার কারণ হচ্ছে এই পিঠাটি দেখতে কিছুটা খেজুরের মতো। যদিও এবারের পিঠাটি তৈরী করার সময় আকৃতি ঠিকঠাক হয়নি। কেননা তাড়াহুড়া করে বানানো হয়েছিল । যাইহোক খেতে কিন্তু অনেক মজা হয়েছিল। আর এই পিঠাটি যেহেতু আনেক নারকেলর ব্যবহার করা হয় তাই এই পিঠাটি থেকে খাওয়ার সময় একটি সুন্দর ঘ্রাণ আসে। এবং খেতে ও অনেক মুচমুচে। যারা এই পিঠাটি কখনো খেয়ে দেখেছেন তারাই এর মজাটা বুঝবে। আর আপনারা কেউ যদি এই পিঠাটিকে অন্য নামে চিনে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই জানাবেন।
ছবিঃ খেজুর পিঠা।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- সুজি।
- নারকেল।
- ডিম।
- চিনি।
- লবন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে একটি নারকেল কে কুড়িয়ে নিয়েছি। এবং পরবর্তীতে নারকেলটিকে বেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর বেটে নেওয়ার নারকেল গুলোতে ডিম, চিনি, লবন ও সুজি দিয়ে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
- এরপর সবগুলো মিশ্রণকে একত্রে মেখে রেখে দিব কিছুক্ষণের জন্য।
চতুর্থ ধাপঃ
- তৈরি করে রাখা ওই ডো গুলো দিয়ে নিচের ছবির মত লম্বা লম্বা করে তৈরি করে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
- এবার কড়াইতে তেল গরম দিয়ে দিয়েছি। বেশ অনেকগুলো তেল নিতে হবে। কেননা পিঠাগুলো কে ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- হালকা আঁচে পিঠাগুলো কে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
- পিঠাগুলো ভাজতে-ভাজতে পিঠা রং যখন কিছুটা গাড় হয়ে আসবে তখন পিঠাগুলোকে নামিয়ে নিব।
অষ্টম ধাপঃ
- ব্যাস এভাবে তৈরি হয়ে গেল মজাদার খেজুর পিঠা। এই পিঠাটি তৈরী করাটা খুব সহজ তাই না।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
একটি unique রেসিপি share করেছেন।খেয়ে যে মজার ছিলো সেটা বোঝায় যাচ্ছে।অনেক ধন্যবাদ।।
আমাদের ও এই পিঠাটা বানায়। তবে আমাদের অঞ্চলে এটাকে সুজির পিঠা অথবা সুজির বিস্কুট বলে। আমার অনেক ভালো লাগে এটা। খাওয়ার সময় একটু কুড়মুড় করে এটা আরো বেশি ভালো লাগে।
ভাই এটার সেই স্বাদ, গ্রামের বাড়ীতে গেলেই বৈয়াম ভরে নিয়ে আসি তারপর একটু একটু করে খাওয়া শুরু করি। অনেক স্বাদের পিঠা এগুলো এবং আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। ধন্যবাদ ভাই
আমাদের বাসায় এটাকে খেজুরি বলে।একদম সেইম এভাবেই বানায়। আমিও বানাতে পারি এই খেজুরি। যা মজা হয়। 🤩তবে নারকেলের সাথে কোনোদিন খাইয়া হয়নি আমার।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া খেজুরের পিঠা খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।খেজুরের মতো দেখতে হবে খেজুরের পিঠা নাম। নারকেল ব্যবহার করায় স্বাদ অনেক গুন বেড়ে গেছে সুন্দর ভাবে বাখ্যা করেছেন। সত্যিই ভাইয়া আকৃতি বলছেন পুরোপুরি ঠিক ঠাক হয় নি বলছেন। আমি বলবো রেসিপি যা বানিয়েছেন ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো বলুন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্য।
আমাদের এখানে এটিকে বিস্কুট পিঠা বলে।দারুণ লাগে এটি আমার কাছে খেতে।বাসায় সচরাচর না বানালেও গ্রামের বাসায় গেলে নানী এই পিঠাটি খুব তৈরি করতো।অনেকদিন খাওয়া হয়নি পিঠাটি তাই আপনার পোস্টে আজ হঠাৎ দেখে খুব ভালো লাগলো।সবিশেষে আপনার নারিকেলের ঝুরি দিয়ে পরিবেশনা দারুণ ছিল ভাইয়া।এবার বাসায় তৈরি করলেই নারিকেলের ঝুরি দিয়ে ট্রাই করে দেখবো কেমন লাগে।শুভকামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।❤️
বাহ্! কি সুন্দর পিঠা তৈরি করেছেন ভাই। খেজুর পিঠা কোন দিন খাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপির মধ্যে ইউনিক কিছু দেখতে পেলে খুবই ভালো লাগে। এতো সুন্দর পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে খেজুর পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। রেসিপিটি মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু। আমাদের এদিকে সাধারণত এটিকে সুজির পিঠা বেশি বলে। যাই হোক এই রেসিপিটা অনেক মজাদার ছিল । ইউনিক কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া, খুবই সুস্বাদু একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।এই পিঠাটি খুবই সুস্বাদু একটি পিঠা। আমাদের জেলায় এগুলোকে নারিকেল পিঠা বলে। আপনার পিঠা গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মুচমুচে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া, সুস্বাদু একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
খেজুর পিঠা খুব সুস্বাদু হলেও কখনো খাওয়া হয়নি এই পিঠা। খুব সুন্দর এবং সহজভাবে এই পিঠা তৈরি করেছেন। একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।