কার জীবনের সমাপ্তি কোথায়?

আচ্ছা কার জীবনের সমাপ্তি কোথায় আমরা কি কেউ বলতে পারি। কোন প্রাণীর কি এটা জানা সম্ভব যে সে আর কতদিন বাঁচবে? কখনো এমনটা সম্ভব নয়। হয়তো কোন মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তার আনুমানিক একটা আয়ুষ্কাল ধারণা দিতে পারে তবে এটি একেবারে ফিক্সড নয়। যেমন কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে আর কতদিন সময় আছে সেটার একটা আনুমানিক ধারণা দেওয়া যায় তবে সেটি শুধুমাত্র অনুমানের উপরে। সেটা কখনোই ফিক্সড থাকে না। আর মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা জনিতে মৃত্যুগুলো সেটা তো সম্পন্নই অপ্রত্যাশিত।

সম্প্রীতি সময়ে একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ তোলপাড় জাগিয়েছে আর তা হল একজন পাইলটের মর্মান্তিক মৃত্যু। নিজের জীবন বাজি রেখে লোকালয় থেকে দূরে যাতে করে আরো কিছু মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে এজন্য নিজের জীবনটাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে পাইলট। আর তার এই এমন মহত্তের পরিচয় সারা দেশের মানুষের কাছে সারা জাগিয়েছে। তিনি চাইলে কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে নিজের জীবনটাকে বাঁচিয়ে নিতে পারতো তবে তাতে করে বিমানটি যখন নিচে পড়বে তখন লোকালয়ে এসে পড়বে এবং এতে করে আরো অনেক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটবে আর এমন আশঙ্কায় তিনি তার জীবনের বিনিময়ে অনেকগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে তিনি যে মুহূর্তের পরিচয় দিয়েছেন তা মানুষ কখনোই ভুলবে না।

আমরা যেখানে আশা করি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমরা বৃদ্ধ হব এবং তখনই আমরা এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিব কিন্তু দেখুন কোন পর্যায়ে এসে মানুষটা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে গেল। এটাই সত্য যে মৃত্যুর কোন বয়স হয় না কার মৃত্যু কখন কিভাবে কোন পর্যায়ে হবে তা কেউ বলতে পারে না। তবে কিছু কিছু মৃত্যু আসলে এতটা বেদনাদায়ক যে তা প্রত্যেকের মনে দাগ কেটে যায়। প্রতিটা জীবেরই মৃত্যু আছে এটা অবশ্য চিরন্তন সত্য তবে এই মৃত্যুটা যখন অকাল মৃত্যু হয় হয়তখন সে জিনিসটা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়। পাইলটের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার পরিবারের মানুষগুলোর আহাজারি গুলো দেখলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। তার ছোট দুইটি সন্তান তার স্ত্রী তার মা কতটা অসহায় পড়েছে এই মৃত্যুতে তা দেখলেই বোঝা যায়। এই গভীর শোক এ আহত মানুষগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোন ভাষায় থাকে না। সময়ের সাথে সাথে এই ঘটনাটাও এক সময় মানুষ ভুলে যাবে সবকিছু আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে কিন্তু মানুষটার পরিবার হারানো শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।

এ অপ্রত্যাশিত এবং দুর্ঘটনা জনিতায় মৃত্যুরও আমাদের জীবনে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে। এমন কি আমি আপনিও এই সব দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারি। আসলে প্রতিনিয়ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে হয়তো আমাদের অগোচরে।

আর এই সকল আবরাত্তা সেটা দুর্ঘটনা গুলো থেকে আমরা যতই পরিস্থিতি কিংবা অন্যকে দোষ দেই না কেন তাতে কোন লাভ নেই কেননা ভাগ্যে আমাদের এমনটা ছিল আর ভাগ্যকে আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময় এর জন্য ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy