কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি।।10% beneficiary to @shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। মোবাইল ফটোগ্রাফি করতে আমার ভাল লাগে। মোবাইল ক্যামেরা আমাদের ফটোগ্রাফি করাটা আরো সহজ করে দিয়েছে। যখন যেখানে ইচ্ছা মোবাইল বের করে ছবি তুলে নেয়া যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে।


IMG_20230111_103222.jpg

ফটোগ্রাফি ০১

IMG_20230111_103400.jpg

what3words লোকেশন

গত দুদিন আগে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে কি পরিমান কুয়াশা এবং ঠান্ডা পড়েছে তা আপনারা সবাই উপলব্ধি করেছেন। গাড়ি যখন মেইন রোড দিয়ে যাচ্ছিল রীতিমত ভয় পেয়েছিলাম কারণ ২-৩ গজ সামনে কি আছে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না এবং ড্রাইভার হেড লাইট জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল। আমরা যখন ডেমরা সুলতানা কামাল ব্রিজ ক্রস করছিলাম তখন দেখি শীতলক্ষা নদীর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তখন এই ছবিটি তুলে রাখলাম।

ফটোগ্রাফি ০২

IMG_20230111_103222.jpg

what3words লোকেশন

এই ছবি আজ সকালে ঠিক একই জায়গা থেকে তোলা কিন্তু একটু ভিন্ন আবহাওয়ায়। দেখুন দুদিন আগে একই সময়ে এখানে কি কুয়াশা ছিল আর আজ রোদের তাপে মনে হচ্ছে আকাশ পুরে যাবে, হা হা হা। গতকাল ও রোদ উঠেছিল কিন্তু এত কড়া রোদ ছিল না। আমার কাছে খুব ভাল লাগছিল রোদের তাপ শরীরে নিতে ।

ফটোগ্রাফি ০৩

IMG_20230111_103532.jpg

what3words লোকেশন

সেদিন বাসা থেকে অফিসের উদ্যেশ্যে বের হয়ে হাঁটছিলাম। হাঁটার পথে দেখি এত সবুজ গাছের মধ্যে একটি গাছের সব পাতা একদম শুকিয়ে আছে । আমি কারণটা বুঝিনি কারণ শীতে সব গাছ পাতা সবুজ থাকে। তবে এত সবুজের মধ্যে শুকনো পাতা দেখতে ভাল লাগছিল তাই ছবি তুলে নিলাম। গাছের পাশের যেই উচু দালান দেখা যাচ্ছে এটি হচ্ছে সালাহউদ্দিন হাসপাতাল।

ফটোগ্রাফি ০৪

IMG_20230111_103652.jpg

IMG_20230111_122216.jpg

what3words লোকেশন

সেদিন শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য বাসা থেকে পিঠা খাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলাম। পিঠা খাব ত একটু আয়েশ করেই খাই। বাসা থেকে অনেক দূরে ৮০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে চলে গেলাম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে। আমার কয়েকজন ভাগ্নি সেখানে পড়ে। তাদের ভাষ্যমতে সেখানকার পিঠা খুব মজা যেমন চিতই পিঠার সাথে ভর্তাগুলো মজার এবং মালপোয়া পিঠাও নাকি মজা।

ফটোগ্রাফি ০৫

IMG_20230111_105432.jpg

what3words লোকেশন

এই সেই বিখ্যাত খালার বিখ্যাত চিতই পিঠা এবং মালপোয়া পিঠা। পিঠা বানানোর এবং সংরক্ষণের জায়গা ততটা হাইজেনিক ছিল না কিন্তু স্ট্রিট ফুড বলে কথা, টেস্টই হচ্ছে আসল ব্যাপার। আমি শুধু মালপোয়া খেয়েছিলাম খুবই টেস্টি ছিল। চিতই এর সাথে ভর্তা খেয়ে আমার ওয়াইফ দেখি হু হা করছে আবার বলছে খুব মজার, হা হা হা। আমার মেয়ে অবশ্য আমার সাথে মালপোয়া খেয়েছে আবার তার মার কাছ থেকে চিতই পিঠা খেয়েছে।

ফটোগ্রাফি ০৬

IMG_20230111_103736.jpg

what3words লোকেশন

পিঠা খাওয়ার সময় খেয়াল করলাম এক চাচা পান সিগারেটের বাক্স নিয়ে কানটুপি আর শীতের চাদর পড়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে। উনার চাহনি দেখে মনে হল তেমন ইনকাম হয়নি আজ, কাস্টমারের আশায় এক দৃষ্টিতে কলোনির দিকে তাকিয়ে আছে। আমার ইচ্ছে হল কিছু একটা কিনি। কিন্তু পান সিগারেট কোন কিছু খাই না বলে কিনতে পারিনি ।

ফটোগ্রাফি ০৭

IMG_20230111_103842.jpg

IMG_20230111_103811.jpg

what3words লোকেশন

এই ছবি দেখে অনেকেই হয়ত বুঝতে পারবেন না। এটা হচ্ছে ডাক বিভাগের গাড়ি। আমরা ৯০ এর দশকের যারা আছি তারা দেখেছি চিঠপত্র চালাচালির ব্যাপারগুলো। তখন এই ডাক এর গাড়ি তেমন দেখা যেত না। এই ডাকের কাজ করতেন ডাক হরকরার লোক। এই গাড়ি দেখে সেই ডাক হরকরার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।

ডিভাইসঅপ্পো এ ৫৪
বিষয়ফটোগ্রাফি
ক্রেডিট@miratek

আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 2 years ago 

আগের থেকে শীতের অবস্থা এখন অনেকটা কম।গত কয়েকদিন শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই যাচ্ছিল না।তবে পিঠার ছবিগুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে 😋।ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটাই শীত কম এদিকে।বিগত কয়েকদিন যে পরিমাণ শীত ছিল তা বলার মতো না।
ডাকবিভাগের গাড়ি আমি এর আগে দেখিনি,আজই প্রথম দেখলাম।
ভালো ছিল ছবিগুলো,শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে যারা ফটোগ্রাফি করে থাকে তারা সবসময় চেষ্টা করে কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার কিছু দৃশ্য ফোনের মধ্যে ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে। আপনিও দেখছি তাদের মধ্যেই একজন খুবই চমৎকার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তিন নম্বর ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

শীতের সময় পিঠা খেতে সত্যিই দারুন লাগে। তবে এটা ভালো লাগলো আপনি একেবারে পিঠা খাওয়ার জন্য ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে গিয়েছেন। পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশি সুস্বাদু হবে, কিন্তু জায়গাটা একটু অন্যরকম লাগলো। ঠিকই বলেছেন স্ট্রীটফুড এজন্য।আর আপনি তো দেখলাম মালপোয়া খেলেন। আমার কাছে চিতই পিঠার সাথে ভর্তা এটাই বেশি ইন্টারেস্টিং লাগছে, যেটা আপনার স্ত্রী খেলো। এছাড়াও শীতের কুয়াশার ফটোগ্রাফিটা ও ভীষণ ভালো লেগেছে ‌ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

শীতের সময় শহরের বিভিন্ন মোড়ে এভাবে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। মেসে থাকাকালীন অনেকবার খেয়েছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগলো যেটা মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে করা হয়েছে।

 2 years ago 

এই শীতে কতজন কত ভাবে নিজের জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করছে। কেউ বা পিঠা বিক্রি করছে। আর কেউ বা খদ্দেরের অপেক্ষায় বসে আছে। যাই হোক পিঠাগুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। আর শীতের সময় প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে ভালোই লাগে। আপনার ভাগ্নির স্কুলের সামনে পিঠার দোকান গুলো দেখলে ভালো লাগে। ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে যায়। কত পিঠা খেতাম দোকান থেকে কিনে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন গত কিছুদিন বেশ কুয়াশার প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। আপনার কুয়াশার ফটোগ্রাফি টা ভীষণ ভালো লেগেছে। আর শীতকাল মানেই তো পিঠা পুলির দুম। কিন্তু দেখছি আপনি তো একেবারে ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে পিঠা খেতে চললেন। পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছেন এটা ভীষণ ভালো লাগলো। চিতই পিঠা খেতে আমার কাছে ভীষণ মজা লাগে। তবে আপনি তো দেখছি মালপোয়া খেলেন। আপনার স্ত্রী ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেয়েছে শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু বেশ ভালো হয়েছে।

 2 years ago 

দুদিন আগেও অনেক কুয়াশা ছিল এখন কিছুটা কমেছে।আপনার তোলা কুয়াশার ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায়।এজন্য শহরের নানা জায়গায় জীবিকা নির্বাহের জন্য এই শীতের মধ্যে ও পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে থাকে।আপনি পিঠা খেতে গেলেন।আমিও পোয়া পিঠা খুব পছন্দ করি।সব গুলো ফটোগ্রাফি ই দারুন ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 2 years ago 

দুই দিনের রোদে সব শীত উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে শীতের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমার কাছে এই সময়টা খুব ভালো লাগে। আপনি অফিসে যাওয়ার সময় খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মোবাইল আমাদেরকে সবকিছু অনেক সহজ করে দিয়েছে।বর্তমানে নেটওয়ার্কের যুগে তো বলতে গেলে সবকিছু আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে আছে।তবে মোবাইল থাকার কারণে ফটোগ্রাফি গুলো নিতে আরো বেশি সহজ হয়েছে।আপনি অনেক সকালেই ঢাকা শহরের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়েছেন দেখতে অনেক ভালো লেগেছে।বিশেষ করে শুকনা গাছটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60352.73
ETH 2410.03
USDT 1.00
SBD 2.44