আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় বন্ধুরা
আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগতম |
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও বুক ভরা ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি ,আজকে আপনাদের মাঝে আমি ঐতিহ্যবাহি গ্রাম বাংলার ধান সিদ্ধ নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করবো আশা করি আপনাদের অনেক ভালোই লাগবে । |
আমাদের বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ !গ্রামের অনেক মানুষ কৃষির উপর নির্বরশীল । আর শুধু গ্রামের মানুষেরা না এদেশের প্রধান খাবার বা এই দেশের মানুষের প্রিয় খাবার হচ্ছে ভাত ,আর ধানকে সিদ্ধ করার জন্য ধানকে প্রথমেই পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় । আমাদের গ্রামে অনেক মানুষরা ধানকে পানিতে ভিজার জন্য কেউ বস্তার মধ্যে ধানকে টুকিয়ে পুকুরে কিছু দিন রেখে দেয় , আবার কারো কারো বাড়িতে ধানকে ভিজিয়ে রাখার জন্য হাউস বা চাড়া আছে । যাদের বাসায় হাউস বা চাড়া আছে তারা বাসাতেই কিছু দিন চাড়া বা হউস ধানকে ভিজিয়ে রাখে,আসলে আমাদের এইদিকে যেইখানে ধানকে ভিজিয়ে রাখবে সেটার নাম কেউ চাড়া বলে আবার কেউ হাউস বলে আপনারা কি বলেন আমি বলতে পারব না । |
| |
ধান সিদ্ধ করতে তো নিশ্চায় চুলা লাগবে চুলা না হলে ধানকে কি ভাবে সিদ্ধ করবে। যাই হউক 1 থেকে 2 দিন পর ধানকে পুকুর বা চাড়া এবং হাউস থেকে মানে যেখানে আপনারা ধানকে ভিজিয়ে রাখবেন সেখান থেকে ধান উঠিয়ে অনেক বড় একটা পিতল কিংবা সিলভারের পাতিলে ধানকে দিতে হবে বা রাখতে হবে,আমাদের এইদিকে সবাই বড় পাতিলের মধ্যে ধান রাখে যেন 20 থেকে 30 কেজি ধান সিদ্ধ করা যায় ।আর হে ধানকে চালে রুপান্তরের জন্য সবার প্রথম ধানকে সিদ্ধ করতেই হবে । আর এখন কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার মানুষের হাড়ি পাতিলে ধান সিদ্ধ হারিয়ে যাচ্ছে ,আর ধান সিদ্ধ করার জন্য চুলাতে আগুন দিতে হয় । |
চুলাতে যেন ও বেশি করে আগুন জ্বলে সে জন্য তুষ দিতে হয় চুলাতে ।আর যখন চুলার মধ্যে তুষ দিবেন আপনারা তখন দেখবেন কেমন জ্বলে চুলা কেন জানি চুলাতে তুষ দিলে দাউ দাউ করে চুলা জ্বলে ওঠে । তার পর ধান সিদ্ধ হয়ে গেলে ছাউনি দিয়ে চুলা থেকে ধান নামাইতে হবে,গ্রামের মানুষরা আর আপনারা পোস্টের ছবির মধ্যে দেখতেই পাচ্ছেন আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন কেমন করে ধান সিদ্ধ করে গ্রামের মানুষরা ।তার পর ধান সিদ্ধ করা হলে ধানকে রোদে মেলে দেয়। |
আর এই পিকের মধ্যে যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম হচ্ছে ছাউনি ,আর ধান সিন্ধ হয়ে গেলে ছাউনি দিয়েই চুলা থেকে ধান নামাইতে হয়।যাই হউক আজকের এই ছিল আমার পোস্ট গ্রামের ধান সিদ্ধ নিয়ে।আমার পোস্ট পড়ার জন্য সকল বন্ধুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। |
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কথা মনে পড়ে গেল।আমাদের গ্রামেও আমার মা চাচীরা এভাবেই ধানের মৌসুমে ধান সেদ্ধ করেন।ধান সেদ্ধ করার পরে যে গন্ধ টা বের হয় সেটার অনুভূতি বলে বোঝার মত নয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমাদের বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, ধান সিদ্ধ অনেক পুরাতন এবং ঐতিহ্য বাহী পথা, অনেক আগে থেকেই গ্রামের মানুষ এভাবে ধান সিদ্ধ করে থাকে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করছেন ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
প্রতি বছর আমরা ধান সিদ্ধ করে থাকি। ধান সিদ্ধ করে ২-৩ দিন রোদ দিয়ে শুকানোর পর আমরা ধান কুটে থাকি।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামে প্রতিটি বাসায় হাড়ি পাতিলে ধান সিদ্ধ করা হয়। কেননা গ্রামে ধান সিদ্ধ করার জন্য এখন ও চাতাল মিল চালু হয় নি। হাড়ি পাতিল একমাত্র ভরসা গ্রামের মানুষের জন্য।
আপনি অসাধারণ একটা বিষয় নিয়ে আমাদের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এই ধান ভাপা গ্রামের মানুষেরা এখনও করে থাকে পাতিলে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এলাকায় আমরাও এই ভাবে ধান সিদ্ধ করি,আমারা যেই দিন ধান সিদ্ধ করবো সেই দিন আমরা ফজরের দিকে উঠি,আমি যখন ছোট ছিলাম আমাদের যখন ধান সিদ্ধ করে তখন আমি ফজরে করে উঠি, খুব সুন্দর লেখছেন ভাই, আপননকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য
এই প্রক্রিয়া বেশ পুরনো এবং এটির মাধ্যমেই ধানকে সংরক্ষণের প্রথম মাধ্যম। ভালোই লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য 💝
খুবই ভালো ছিল পাতিলে ধান সিদ্ধ করা। ধান সিদ্ধ করার জন্য এই সময় অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এটি হলো একটি প্রাচীন কালচার। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা
সব জায়গায় প্রায় এভাবেই ধান সিদ্ধ করা হয়। শীতকালে ধান সিদ্ধ করতে তেমন কষ্ট হয় না কিন্তু গরমের সময় ধান সিদ্ধ করতে অনেক কষ্ট হয়। আগে গ্রামের বাড়িতে যখন এরকম ধান সিদ্ধ করতে দেখতাম তখন গরম ছাইয়ের মধ্যে মিষ্টি আলু পোড়া দিয়ে খেতাম। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল