Better Life With Steem || The Diary game || 30 June 2024 ||
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ সকাল
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার নাম মোঃ শাহিন আপনাদের সাথে যুক্ত রয়েছি মালয়েশিয়া থেকে। বন্ধুরা আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটি দিনের কার্যক্রম নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। ২০২৪ সালের আরো একটি মাস শেষের পথে, এভাবেই একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে ২৪ সাল। ২৫ সাল আস্তে আস্তে ঘনিয়ে আসছে।
যাই হোক প্রতিদিনের মত আজও সকালে ঘুম ভাঙ্গলো এ্যালামের এর শব্দে ঘুম থেকে উঠে অজু করে ফ্রেশ হয়ে ফরজের নামাজ আদায় করে নিলাম। গতকাল থেকেই শরীর অনেকটাই অসুস্থ কেননা অনেক ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে আমার বন্ধু যেহেতু দেশে যাবে তাই তার শপিং থেকে শুরু করে প্রতিটা কাজে তাকে সহযোগিতা করতে হচ্ছে।
যেহেতু সে একেবারে দেশে যাচ্ছে তাই অনেক কিছুই কেনাকাটা করতে হচ্ছে ইনশাল্লাহ আগামীকাল এই সম্পর্কে একটি আর্টিকেল আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব। যেহেতু আমার বাড়ির পাশে তাই তার হাত দারাই আমার আম্মার জন্য কিছু ঔষধ ও দুইটা শ্যাম্পু কিনেছি।
প্রতিদিনের মতো আমরা আমাদের মিনি বাসে করে কোম্পানিতে এসে পৌঁছেছি সকাল সাতটা বেজে ৩০ মিনিটে এরপর আমি এক কাপ চা ও দুইটা বিস্কুট দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিয়েছি। প্রতিদিনের মতো আজ ও আটটা থেকে কাজ শুরু।
কিছু সময় কাজ করতে না করতেই আমাদের সুপারভাইজার এসে বলল যে আজকে কিন্তু মিটিং আছে এগারোটার সময় সবাই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবা অফিসের ভেতরে। ১১ টা থেকে ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মিটিং হল আর আজকে মিটিংয়ের বিষয় ছিল তিন মাসে আমাদের কোম্পানি কত টাকা লাভবান করছে এবং কোন কোন খাতে এগুলো লাভ হয়েছে যেগুলো সব তুলে ধরছে। আলহামদুলিল্লাহ তিন মাসে আমাদের কোম্পানি ২১ লক্ষ্য রিঙ্গিত লাভবান হয়েছে।
দুপুর বেলা
১২:৪৫ মিনিটে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিয়েছি এরপর আবারো কাজ করতে শুরু করেছি। কিছু ট্যাংকি বিক্রি হয়ে গিয়েছে তাই গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে স্টিকার লাগাচ্ছিলাম এমন সময় আমার তামিল এক বন্ধু এসে বলল যে আরো কিছু কাজ করতে হবে আমার হাতের কাজগুলো শেষ হলে তার সাথে যেন দেখা করি।
কাজের ভিতর দিয়ে কখন যে সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে তা কল্পনায় করতে পারি নাই ঘড়ির কাটাই তখন তিনটা ত্রিশ বাজে এরপর আমি অজু করে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
বিকাল বেলা
বিকাল ৪:১০মিনিটে আমার পোষা প্রাণী বিড়াল গুলোকে খেতে দিয়েছে। এরা অনেকটাই অলস সকাল বিকাল রাত্রে সব সময় ঘুমিয়ে থাকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার একটি ছবি আমি উঠেছি।
আনুমানিক ঘড়ির কাঁটায় তখন চারটের ৩০ মিনিটের উপরে বাজে এমন সময় দুইজন ব্যক্তি আসলো, দুইটা মেশিন নিয়ে এর পর দেখি ধুম্মা দিচ্ছে আমাদের কোম্পানিতে মশা তাড়ানোর জন্য । এমনকি এই ধোয়া গুলো দিলে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমে যায়। মালয়েশিয়ায় যেহেতু প্রচুর পরিমাণ জঙ্গল তাই মশা মারার জন্য এর কোন বিকল্প নাই
যেহেতু আজ কাজ ছিল পাঁচটা পর্যন্ত তাই ডিউটি থেকে বাসায় গিয়ে খেলা করতে গিয়েছিলাম তবে আমার শরীর একটু অসুস্থ ছিল তাই আমি বেশি সময় খেলা করি নাই তবে আমার বন্ধুরা পিংপং খেলা করছে দেখে অনেকটাই আমার হাসি লাগছে। কেননা এরা আগে কখনোই এই খেলা করি নাই। বল এমন জোরে জোরে মারছে ওপার প্রান্তে যে রয়েছে সেই ঠেকাতে পারছে না আবার সে যখন মারছে আরেকজন ঠেকাতে পারছে না। যাইহোক খেলাধুলা করলে অনেকটাই মন ফ্রেশ থাকে।
ছবিটা বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নেয়া হয়েছে |
---|
সন্ধ্যাবেলা |
---|
সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম এরপর প্রতিদিনের মতো আজও রান্না করছি আজকের রান্না করছি গরুর মাংস ভুনা।
আমার বন্ধু আরো একজনকে দাওয়াত দিছে সেই জন্য প্রায় তিন কেজির মতো মাংস রান্না করছি। রান্না শেষ করতে করতে প্রায়ই নয়টার উপরে বাজে। এরপর আমরা ঝটপট করে গোসল করে নিলাম তারপর সবাই একসাথে মিলে খেতে বসেছি খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি লিখতে বসেছি আমার একটি দিনের কার্যক্রম।
তো বন্ধুরা গতকাল দিনটা আমার যেভাবে কেটেছে পর্যায়ক্রমে আপনাদের কাছে সেগুলো উপস্থাপনা করেছি যদি লেখার ভেতরে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
Hi, @mdsahin111,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
- Explore Steem using our Steem Blockchain Explorer
- Easily create accounts on Steem using JoinSteem
- Delegate to @ecosynthesizer and wtiness vote @symbionts to support us.
যাই হোক আপনি আপনার প্রতিদিনের কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করুন যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, আজকে আপনি আপনার বন্ধু সম্পর্কে কিছু কথা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন যেটা ও আসলে ভালো ছিল।
তার ছাড়া ভালো ছিল আপনার গরুর ভুনার রেসিপিটা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু চলে যাবে জন্য সকাল থেকে একটু ব্যস্ত ছিলেন আসলে এতদিন এক সাথে থাকার পর বন্ধু চলে যাবে তাই সবকিছু গুছিয়ে দেওয়া নিজের একটা দায়িত্ব।। প্রতিদিনের মতো আজকেও কাজে গিয়েছিলেন আর সেখানে সকালে নাস্তা করেছেন।। এটা শুনে ভালো লাগলো মশা তাড়ানোর জন্য ধমা দেওয়া হচ্ছে।।
অবশ্যই দায়িত্ব তো কিছুটা পালন করতেই হবে কেননা আমরাই তো ভালো বন্ধু আমরাই তো একে অপরের উপকারকারী আমরাই তো একটি পরিবার।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জি অবশ্যই আর ইমরান ভাইয়ের সাথে কথা হলো সুস্থভাবে বাসায় এসেছে শুনে অনেক ভালো লেগেছে।। আর আপনার জন্য দোয়া রইল ভালো থাকবেন সব সময়।।
আপনার বন্ধু দেশে ফিরবে তাই তাকে তার জিনিসপত্র গুছিয়ে দিতে হচ্ছে। কোম্পানির কাজের ফাঁকে এসব করতে গিয়ে আপনার অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন পর দেশে ফিরছে আপনার বন্ধু হয়ত খুব আনন্দিত। মায়ের জন্য অসুধ ও শেম্পু পাঠিয়ে দিচ্ছেন বন্ধুর হাত দিয়ে। সারাদিন কাজ করে বাসায় এসে রান্না করতে খুব কষ্ট হয়ে যায় তারপর প্রতিদিন রান্না করতে হয়। সাবধানে থাকবেন।