মন ছুঁয়ে যায় ||ফটোগ্রাফি পর্ব -১||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
বন্যা পরবর্তী সময়ে নদীর পানি শুকিয়ে গেলেও পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকাগুলোতে এখনো পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়নি। জায়গা গুলো এখনো পতিত রয়েছে কোন ফসলের চাষ করা হয়নি। কিন্তু সেই অঞ্চল গুলো দিয়ে হেটে বেড়াতে বেশ ভালই লাগলো। আমার ভালো লাগার কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। অনেকদিন থেকে কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট করা হয় না। তাই ইচ্ছা ছিল আজকে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করা।
নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। তাই নদীর মাঝখানে নতুন নতুন চর জেগে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কয়েকদিনে বৃষ্টি পাতে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কচুরিপানা গুলো ভেসে এসেছিল। পরবর্তীতে পানির স্রোত কমে যাওয়ার পরে কচুরিপানা গুলো আশেপাশেই আটকে যায়। ব্রিজের উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতে বেশ ভালই লাগলো।
ব্রিজ পার হয়ে যখন সামনে একটু এগিয়ে গেলাম দেখতে পেলাম একটি ছেলে আমার বাইকের সামনে দিয়ে স্কেচ করে যাচ্ছে। দেখে খুব ভালো লাগলো কিন্তু ব্যস্ত রাস্তায় এভাবে যাওয়াটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলো। মাঝে মাঝে আমার কাছে দেখে একটু ভয় লেগেছিল। ছেলেটিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম তার কাছে নাকি সবকিছু স্বাভাবিক লাগছে। সে এভাবেই ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে শহরের মধ্যে চলে যায়।
এই জায়গাগুলো সবুজ ফসলে ভরে উঠবে কিছুদিন পরে। এখনো বন্যার পানি ঠিকমতো শুকিয়ে যায়নি তাই এখানকার লোকজন ফসলের চাষ এখনো শুরু করেনি। দৃশ্যটি বেশ মনোরম।
এই জমিগুলোতে বেশিরভাগ সময়ে সবজির চাষ করা হয়। এতদিনে হয়তো চাষাবাদ শুরু হয়ে যেত কিন্তু নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে এই অঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরো অঞ্চলে সবজি খেতে ভরে যাবে। তখন এই সবুজ মাঠ দেখতে খুব ভালো লাগবে।
ব্রিজ থেকে নিচে নেমে গেলাম, নদীর কাছাকাছি গিয়ে নদীর পানিতে পা ভেজাতে ইচ্ছে করল। আমার মত আরো দুইজন লোক বাইক নিয়ে নিচে চলে এসেছে। সামনে লক্ষ্য করলাম একটি ছেলে নদীতে মাছ ধরা শেষে বাড়ি ফিরছে। নদী তীরবর্তী জীবিকা নির্বাহ অনেকাংশে নদীর উপর নির্ভরশীল। যাইহোক সব মিলিয়ে বিকালটা অনেক ভালো কাটলো।
জানিনা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লাগবে। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই আমার সার্থকতা। আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লাগলো মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশা করছি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বন্যা পরবর্তী দৃশ্যটা আসলেই চেনা যায় না।প্রকৃতিকে একদম নতুন মনে হয় বন্যার পরে।তবে কচুরিপানা গুলো আটকে থাকলে ও দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।এই বন্যা গুলো আমাদের চাষের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি করে।বিকেল বেলা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
সবগুলো খুব ভালো হয়েছে।নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। জলাভূমি ই তো এর সৌন্দর্য। কচুরিপানাগুলো জায়গায় জায়গায় মাঠের মত হয়ে আছে। দেখতে ভালো লাগছে। গঙ্গার বুকেও যখন এভাবে কচুরিপানা ভেসে যায়, মন ভীষণ আনন্দে ভরে ওঠে।
নদীর কিনারার দৃশ্য গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয় ভাইয়া, সত্যি আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে, তবে ঐ ছেলেটি সত্যি বলেছে ওদের ওই ভাবেই রাস্তায় চলাফিরা করে তাদের কাছে যেনো কিছুই মনে হয় না, যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন ভরে গেলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
অপরূপ সুন্দর দৃশ্যের ফটোগুলো দেখে আসলেই মন ছুয়ে গেছে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি বিশেষ করে ব্রিজের উপর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমার বেশি ভালো লেগেছে।
সিত্রাং এর কারণে এবারের শীত মনে হয় একটু আগেই চলে এসেছে। কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূত হয় রাতের বেলায়। নদীর পানি কমে গিয়ে যে চড় উঠে তা দেখতে খুব ভালো লাগে। পুরোপুরি পানি কমে গিয়ে যখন সবজি চাষ হবে নিশ্চয়ই সেই ছবিও আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এই ছবিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলোও সুন্দর হয়েছে সব।
নদীর চরে গিয়ে এই সবজি ক্ষেতগুলো থেকে আমি নিজ হাতে সবজি তুলে নিয়ে এসেছিলাম। কয়েক মাস আগে আমার সেই অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করা হয়েছিল।
এবারও ইচ্ছা আছে টাটকা সবজি সংগ্রহ করার।
বিকেল বেলা যেমন বাইরে সময় কাটাতে ভালো লাগে তেমনি বিকেলবেলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। কারণ বিকেল বেলার সময়টা অনেক সুন্দর হয়। আর আপনার তোলা বিকেল বেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর হবেন ফটোগ্রাফি গুলো করার পাশাপাশি বর্ণনা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
বন্য কবলিত এলাকায় অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট ছোট জায়গা গুলো দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে এবং হালকা ঘাস থাকার কারণে। আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার টাইটেল এর সাথে ফটোগ্রাফি গুলো পুরোই মিল। সত্যিই মন ছুয়ে যাওয়া অসাধারণ ফটোগ্রাফি ছিল এগুলো ইচ্ছে করছে এভাবেই তাকিয়ে থাকি আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর দিকে। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল। আমার কাছে আপনার প্রথম দুটি ফটোগ্রাফি একটু বেশি ভালো লেগেছে।