একটি শীতের সকাল
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে একদিকে যেমন গরমের সময় অসহ্য গরম হয় অপরদিকে শীতের সময়ও মাথাতিরিক্ত ঠান্ডা দেখা যায়। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা বিষয় উত্তরে হিমালয় পর্বতের উচ্চতা একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদি এরকম ভাবে চলতে থাকে তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সমুদ্র তীরবর্তী অনেক শহর ও দেশের চিহ্ন থাকবে না। এখনই তার কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সামান্য ঝড় বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে দেখা যায়। নদ-নদী ও সমুদ্রের পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। সময়ে হয়েছে এখন নিজেদের পরিবর্তন করার তা না হলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক হুমকির মুখে থেকে যাবে।
ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের দেশে পালাক্রমে ছয়টি ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। পৌষ ও মাঘ মাস নিয়ে শীতকাল। এই দুটি মাস ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মত অবস্থা হয়। শীতকাল ঠান্ডা হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আতঙ্কের বিষয় বর্তমানে গড় তাপমাত্রা অনেক নেমে গিয়েছে। সে কারণেই আমাদের দেশকে আর নাতিশীতোষ্ণ বলতে ইচ্ছা করে না।
আজকে সকালের চিত্র এটি। সকালে বেরিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে ভোরবেলা বেরিয়েছি। তা কিন্তু মোটেও নয়, আমি যখন বাসা থেকে বের হই তখন ৮:৪০ মিনিট। কিন্তু কয়েক হাত সামনেও কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
প্রচন্ড কুয়াশার মাঝে আজ রাস্তায় একদমই দেখা যাচ্ছিল না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঠান্ডার মাঝে বেড়িয়ে আসতে হয়েছিল আমাকে। আমার রিজিওনাল ম্যানেজার ট্যুরে এসেছিল আমার জেলায়। তাই আজকে ঠান্ডা সহ্য করে সকাল থেকে রাত দশটা অবদি বাইরে কাটাতে হয়েছে।
আর এম স্যার এসে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা আমাদের সামনে বর্ণনা করলো। আজ সকালে আনুমানিক ৯:০০ টার দিকে কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলায় দুটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে ২-৩ জন আনুমানিক মারা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে তাই আনুমানিক বললাম।
শীতকালে যখন প্রচন্ড কুয়াশা পড়ে তখন এরকম সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেশি হয়। দুর্ঘটনা হওয়ার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। প্রথমত ড্রাইভাররা বেপরোয়া গাড়ি চালায় সব সময়। এরকম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তারা মোটেও সতর্ক থাকে না। অথচ গাড়ির গতি কমিয়ে যদি সতর্কভাবে চালানো হতো তাহলে হয়তোবা অনেক দুর্ঘটনা কমে যেত।
শীতকালেরও কিছু আলাদা সৌন্দর্য আছে। কুয়াশার মাঝে গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে অনেক জমিতে আলুর চাষ হয়। এ সময় শিশির ভেজা এই পাতাগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। এমনি একটি ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেরে যাচ্ছিলাম। তখন এই দৃশ্য গুলো ভালো লাগা থেকেই ক্যামেরাবন্দী করি।
আলুর ক্ষেতের ওপাশে একদম সাদা অংশ দেখে মনে হচ্ছে কুয়াশার চাদরে ঢেকে রেখেছে পুরোক্ষেত। কিন্তু এরকম প্রচন্ড শীতের কারণে আলু উৎপাদনে অনেক কমে যায়। আমাদের দেশে আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া কারণে এখন শীতকালীন অনেক সবজি উৎপাদন কমে গেছে।
আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেককেই সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে। যত্রতত্র গাছ কেটে বনভূমি ধ্বংস করা কোনভাবেই উচিত হবে না। বরং পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করা উচিত। আবার দেশের নদনদী গুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে।
অবৈধ দখলদার ও অবৈধ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে আমাদের নদ-নদী গুলো দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এবং দখলদারদের কারণে নদীর পরিধি অনেক কমে গিয়েছে। তাই আমরা নিজেরা ভালো থাকতে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে হ্যালো রাখতে এখনই কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। সত্যি বলতে এটা কখনো জানতাম না। আসলে শীতের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সাধারণ তো শীতের সময় তাপমাত্রা দেখা যায় ১৩-১৪ c° কিন্তু আজকে এই মুহুর্তে দেখতে পেলাম ৯ c° বগুড়াতে।
এমন অবস্থা হতে থাকলে তো সামনে ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধ মানুষদের জন্য মারাত্মক।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে রক্ষা করুক।আমিন।
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আসসালামু আলাইকুম
শুধু তাই নয় ভাই বর্তমানে আমাদের দেশের তাপমাত্রা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছিল ৩° এর নিচে।