গ্রামীণ জনপদের কিছু ফটোগ্রাফি

in Incredible India2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।

Picsart_23-01-21_22-34-47-376.jpg

আজ সকালে খুব তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হতে হয়েছিল। নির্দিষ্ট কিছু ডক্টর কে ভিজিট করে প্রেসক্রিপশন ফটোকপি পাঠাতে হবে। কারণ আজকে একটি প্রোডাক্ট নিয়ে আমাদের প্রেসক্রিপশন ডে পালন করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আগে থেকেই কিছু প্রমোশনাল টুলস পাঠিয়ে দিয়েছিল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল থেকেই শুরু করি বিভিন্ন চেম্বারে ভিজিট করা। সমস্যা দেখা দিল শেষের দিকে এসে। এবার যেতে হবে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে। সে মোটামুটি অনেক রোগী দেখে প্রতিদিন। তাই সব কোম্পানির লোকজন সেখানে গিয়ে ভিড় করে।

একদম পাড়া গায়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর বাঁধ পেরিয়ে নদীর কাছাকাছি গিয়ে তার বাড়ি। তো চলে গেলাম সেই ডাক্তারের বাসার চেম্বারে। অনেক উঁচু-নিচু ভাঙ্গা রাস্তা মোটরসাইকেল ছাড়া কোন যানবাহন তেমন চোখে পড়লো না।

20230121_221830.jpg

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো: @mayedul
জায়গা: বুড়াবুড়ি

ইট পাথরের রাজপথে চলতে চলতে অনেক সময় ক্লান্তি এসে যায়। তাই মাঝে মাঝে যখন গ্রামে মেঠো পথে হাঁটতে থাকি তখন আসলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। মুহূর্তেই মনে পড়ে যায় ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো। নদীর পাশে উঁচু বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছি বদিউজ্জামান সাহেবের জন্য।

ইনি আমার অন্য আরেকজন কলিগ যার মার্কেটে আজ কাজ করতে এসেছি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে। মনে হয় সে বাসায় জরুরী কাজের কথা বলে আমাকে রেখে ভাত খেতে বসেছে হা হা হা।

20230121_221911.jpg

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো: @mayedul
জায়গা: বুড়াবুড়ি

কি আশ্চর্য যেখানে ভাঙ্গা রাস্তায় ঠিক মত গাড়ি চলতে পারেনা, সেখানে কয়েকজন নিয়ে খোয়া ভাঙ্গানোর মেশিন দিব্যি চলে যাচ্ছে। আজকাল গ্রামগঞ্জেও আর কাঁচা বাড়ি নেই। সব জায়গায় এখন সিমেন্টের ঘর চোখে পড়ে। গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেক বেড়ে গিয়েছে, যদিও দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে আমাদের মত মধ্যবিত্তের জন্য।

20230121_222036.jpg
20230121_221801.jpg

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো: @mayedul
জায়গা: বুড়াবুড়ি

গ্রামের এই ব্যাপারগুলো বেশ ভালো লাগে, ছোট্ট একটি জায়গায় তারা সুযোগ পেলেই সবজি চাষ করে। যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছি বর্ষা মৌসুমে একদম পানিতে ভরপুর থাকে। নদী খুব কাছে তাই নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।

অথচ এখন দেখে বোঝাই মুশকিল এখানে আগামী পাঁচ-ছয়টি মাস পানি নিচে থাকবে। মার্স-এপ্রিল থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত অথৈ পানি থাকে এখানে।
আর এখন দিব্যি ধান চাষ করবে এখানে।

20230121_222327.jpg
20230121_222206.jpg

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো: @mayedul
জায়গা: বুড়াবুড়ি

ডক্টর সাহেবের বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। গ্রামে হলেও তিনি অনেক সৌখিন লোক। আর হবেই না কেন, এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন ছাড়াও বাইরের অনেক লোক আসে। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের চাকচিক্যের উপরেও রোগীর আসা যাওয়া নির্ভর করে।

যাইহোক ফুটন্ত গোলাপ গুলো দেখে আমার মন ভরে গেল। আসলে এ কারণেই হয়তো গোলাপ ফুলকে ফুলের রানী বলা হয়। ফুলের সৌন্দর্য্য ও ঘ্রাণ সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। আসলে বাসায় ছোট্ট একটি বাগান করে সেখানে গোলাপ ফুলের চারা লাগালে বাড়ির সৌন্দর্য্য অনেক বেড়ে যায়।

20230121_222628.jpg
20230121_222556.jpg
20230121_222459.jpg

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10
ফটো: @mayedul
জায়গা: বুড়াবুড়ি

গোলাপ ফুলের পাশেই ভিন্ন ভিন্ন কালারের গাঁদা ফুলের গাছ। প্রত্যেকটা গাছে অসংখ্য ফুল ধরেছে। ফুলগুলো এতটাই বড় ঠিক মতো পাতা দেখা যাচ্ছে না। লোকটির রুচি আছে বলতে হয়, বাগানটি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল।

সারাদিন ছোটাছুটি করে অনেক ক্লান্ত ছিলাম মন মেজাজ খিটখিটে হয়েছিল। ফুলবাগানের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে মনটা চন মনে হয়ে উঠল। আরো কিছু ফুল গাছ ছিল কিন্তু ভাগ্যটাই খারাপ ফুল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আর ফটোগ্রাফি করা গেল না।

দিনশেষে একটু ভালো লাগার অনুভূতি নিয়েই বাসায় ফিরতে পারছি। গ্রামীণ দৃশ্যগুলো আসলেই মন ভালো করে দেয়ার মত। এখানে সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে উজাড় করে দেয়া যায়। সবুজের মাঝে কিছুক্ষণ থাকলে মনের সমস্ত ক্লান্তি মুছে যায়।

বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScaQyCM2iuQ1WQQy6nniRf12cc5CtS93357FVJGtsJxDuskm1PhG5v3j8PRTTLNJMvkMUPWrwxdV4doFh5KLHsCHWYfgqWW8XGht9fW3YpYm.gif

Sort:  
Loading...
 2 years ago 

গ্রামের দৃশ্য নিয়ে পোস্ট মানেই সুন্দর কিছু মুহুর্ত অপেক্ষা করছে পোস্টটিতে। হুম আমি সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। গ্রামের মেঠো পথ অতিক্রম করে অগণিত ফুলের সমাহার উপস্থাপন করেছেন। খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম

 2 years ago 
  • আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনযাপন খুবই ব্যস্ততাময়। সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সমস্যা। যার জন্য দেখা যায় দিনশেষে কর্মক্ষেত্র থেকে যখনই আমরা বাড়িতে ফিরি, তখন আর কোন এনার্জি থাকে না শরীরে।

সারাদিন ছোটাছুটি করে অনেক ক্লান্ত ছিলাম মন মেজাজ খিটখিটে হয়েছিল। ফুলবাগানের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে মনটা চন মনে হয়ে উঠল। আরো কিছু ফুল গাছ ছিল কিন্তু ভাগ্যটাই খারাপ ফুল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আর ফটোগ্রাফি করা গেল না।

  • কিন্তু ফুল হচ্ছে ভালোবাসা এবং পবিত্রতার প্রতীক তাই এই ফুল এমন একটা অনুভূতি যোগায় মনে হয় যেন আমাদের শরীরে এনার্জি ফিরে এসেছে। আমি যখন সারাদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করি তখন মাঝেমধ্যে আমার বাড়ির পাশে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেখানে ফুলের বাগান রয়েছে। আমি ঘুরতে যাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60071.31
ETH 2409.83
USDT 1.00
SBD 2.43